সেনবাগে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
সড়কের কোনো কোনো অংশ ভেঙে পড়ছে পুকুরে, কোথাও গাছের শিকড় গজিয়ে উঠছে সড়কের মাঝে, কোথাও আবার উড়ছে বালু আর ধুলো। ২০ বছর আগে উপজেলা এলজিডি অফিস থেকে কয়েকজন লোক এসে রাস্তা মেপে গেছে । এরই মধ্যে অনেক নতুন সড়ক হলেও পুরাতন সড়কটির বেহাল দশা।
এটি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর উত্তরপাড়া-হাজীরহাট সড়কের চিত্র। একই চিত্র দৌলতপুর-নাজিরনগর ও ছিলোনিয়-মানিকপুর সড়কের।
দীর্ঘ ২ দশকে সংস্কারের কোনো কাজ না হওয়ায় এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কগুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য স্থানে গর্তের কারণে বর্ষকালে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। দূর থেকে মনে হয় সড়কটি পুকুর কিংবা ডোবা। একটু বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে যায় কাদাপানি, ফলে চলাচল করতে মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। গাড়িতে চলাচলে প্রতিনিয়ত গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিকশাভ্যানও যাত্রী ও মালামাল যেতে চায় না দুর্ঘটনার ভয়ে। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতকারীরা। বেহাল দশার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
অটোচালক আবদুর রহিম বলেন, আমরা গরিব মানুষ গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বেশির ভাগই সড়কের কারণে গাড়ি ঘন ঘন নষ্ট হয়ে মোরামতেই খরচ করতে হয়।
স্কুলছাত্র কমারুল হাসান নাহিদ জানান, সড়কে গাড়ি যাওয়ার পর আর হাঁটা যায় না ধুলোবালুর কারণে। মনে হয় গ্রামে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকার ব্যবসায়ী লায়ন মো. জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি এ সড়ক। এর করুণ দশা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক বার যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনো ফল আসেনি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে এলাকার মানুষের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন জানান, তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেছেন। এর আগে কয়েক বার এলজিইডি অফিস থেকে লোকজন এসে মেপে নিলেও কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর আলম জানান, সড়কগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। সংস্কারের জন্য আমাদের যে বরাদ্দ আসে সেগুলো উপজেলার এলজিইডির সড়কগুলোকে দিয়ে শেষ হয়ে যায়। ইউনিয়নের সড়কগুলো করার আর সুযোগ থাকে না।
মন্তব্য করুন