পাবনার ‘এম আর অ্যাগ্রো খামারের’ প্রতিষ্ঠাতা মো. রাজু আহম্মেদ। কোরবানি ঈদের জন্য তার খামারে ৩২টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছিল। অনলাইনে ইতোমধ্যে ৩০টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এবার তার খামার থেকে ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১০, ১৫ ও ২০ লাখ টাকার ষাঁড়ও বিক্রি হয়েছে।
জানা গেছে, এবার জেলাতে যে কয়টি বিশাল আকৃতির পশুর নাম আলোচনায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘পাঠান’ ও ‘কালাপাহাড়’।
পাকিস্তানি শাহীয়াল জাতের ২৫ মণ ওজনের ষাঁড় পাঠান। ইতোমধ্যে পাঠানকে ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন খামারি। আর হলস্টিইন ফ্রিজিয়ান সংকর জাতের ২৮ মণ ওজনের ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা পাহাড়’। এটি বিক্রি হয়েছে ১৪ লাখ টাকায়।
পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী বিশাল আকৃতির এই ষাঁড় দুটি মোট ৪০ লাখ টাকায় কিনেছেন।
খামারের মালিক মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, ২০১৫ সালে বিএসসি শেষ করে বসে না থেকে এই গরু ব্যবসা শুরু করি। ৪টি গরু দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করে ভালো টাকা পেয়েছিলাম। পরের বছরই ২০টি গরু কিনে লালনপালন করে বেশ লাভবান হয়েছি।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাংগ কুমার তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, এবারের কোরবানির ঈদের পাবনা জেলাতে প্রায় সাড়ে ৬ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে জেলার চাহিদা সাড়ে তিন লাখ পশু। বাকি তিন লাখের বেশি পশু সারাদেশে সরবরাহ করা হবে।