গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়ন, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি কমে গেছে।
গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৭ সেন্টিমিটার কমে পানি বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া করতোয়া নদীর ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগপ্রবণ ৪টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় ৫০ ব্যাগ শুকনো খাবার, নগদ অর্থ ১৫ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ২ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ৫ লাখ টাকা করে উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চারটি রেসকিউ বোট ও ৩৮৪ টন চাল মজুদ রয়েছে এবং স্থায়ী-অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা (নগদ), পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, এক হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণ মঞ্জুরী বাবদ ৩০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকার বরাদ্দের চাহিদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন