কসবায় শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে অসদাচরণের দায়ে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের বহিষ্কার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করেন এবং অবস্থান নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিলা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ, অশ্লীল বাক্য ব্যবহার ও মনের জেদ মেটাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলেন। কয়েক বছর আগে একই অভিযোগে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বদলি করেছিলো উপজেলা প্রশাসন। কিছুদিন পর কীভাবে যেন আবারও এই প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসেন তিনি। আসার পর থেকে আবারও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার ইচ্ছেমতো আচরণ করছেন।
অপর শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার বলেন, স্যারের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। প্রধান শিক্ষকের নিকট একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে পড়তে আসে, গালাগালি শোনার জন্য নয়। তিনি মুখে যা আসে সেভাবেই গালাগালি করেন। স্যারের নিকট প্রাইভেট না পড়লে খাতায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। একজন শিক্ষক পিতৃতুল্য। ওই শিক্ষক যদি ছাত্রীদের সঙ্গে এমন বাজে আচরণ করেন, তাহলে কীভাবে ছাত্রীরা পড়াশুনা করবে। তিনি শ্রেণিকক্ষে আসলে আমরা আতঙ্কে থাকি। আমরা অবিলম্বে এই শিক্ষকের বহিস্কার চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহাম্মদ বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবির স্যারকে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য সাবধান করা হয়েছে। আজ শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেন সেটাই আমরা গ্রহণ করবো।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৌহিদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দশ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন