কালভার্ট ভেঙে বাঁশের সাঁকো, গ্রামবাসীর কষ্ট
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আড়পাড়া গ্রামের পরামানিক পাড়া থেকে দরগা হয়ে বিহারী মোড় পর্যন্ত পাকা সড়কে একটি কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়। কালভার্টটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
জানা যায়, যশোর মহাসড়কের পাশ দিয়ে পরামানিক পাড়ায় ঢুকতেই পার হতে হয় এই কালভার্টটি। গেল বর্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করার জন্য এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে পূর্ব থেকেই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকা কালভার্টটি সম্পূর্ণরূপ ভেঙে ফেলে। দ্রুত কালভার্টি পুনঃনির্মাণের কথা বলে তৎক্ষণাৎ একটি অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরি করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সময় পরিক্রমায় বাঁশ দিয়ে নির্মিত ওই সেতুটি বর্তমানে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বাঁশের সেতু ব্যবহার করে পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারলেও তা ভারী যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণরূপ অনুপোযোগী। ফলে এসব যানবাহনকে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করে দীর্ঘ পথ ঘুরে আড়পাড়ার ভেতরে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
পৌর এলাকার মধ্যে ওয়ার্ড ভিত্তিক আড়পাড়া গ্রামে প্রবেশের অন্যতম চওড়া এ রাস্তাটির উপর বাঁশের সেতুটি ভেঙে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
কালভার্টের পাশের চা দোকানী দীপঙ্কর সাহা বলেন, প্রায় তিন মাস হলো পৌরসভার লোকজন এসে কালভার্টটি ভেঙে বাঁশের সেতু করে দিয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত পৌরসভার কেউ এসে খোঁজ নেয়নি বাঁশের সেতুটির কি অবস্থা। দুঃখজনক হলেও সত্য এই সেতুর কারণে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কিন্তু পৌরসভা নেবে না। আমরা বাঁশের সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি। অতিসত্বর বাঁশের সেতুর স্থানে কংক্রিটের কালভার্ট নির্মাণ করে স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ কমাতে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী কবির হাসান জানান, ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়ক সিক্স লেন প্রকল্পে সড়ক ও জনপথ যে জায়গা রাস্তার দুধার থেকে অধিগ্রহণ করছে সেই জায়গার মধ্যে পড়েছে পরামানিক পাড়ার কালভার্টটি। যে কারণে পৌরসভার পক্ষ থেকে ওখানে আর নতুন করে কালভার্ট নির্মাণের সুযোগ নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওই জায়গায় উন্নত মানের আধুনিক ড্রেন নির্মাণ করে দেবে। যার উপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে এলাকার লোক যদি বর্তমানে বাঁশের সেতুটি সংস্কারের জন্য পৌরসভায় লিখিত আবেদন করেন, সে ক্ষেত্রে ওই সেতুটি সংস্কার করা যেতে পারে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌর প্রশাসক দেদারুল ইসলাম জানান, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন