স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করতে এসে হত্যার শিকার হয়েছেন সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টি (৩৩)। এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফকিরহাট মডেল থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর।
গ্রেপ্তাররা হলেন—নড়াইল এলাকার সাইদুর রহমান (৩৫), ফকিরহাট জয়পুর এলাকার মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়ন (৩২) ও মাহিন্দ্রাচালক শহিদুর রহমান (৪৫)।
ওসি এস এম আলমগীর কবীর জানান, নড়াইল জেলা সদর উপজেলার আলাদাতপুর এলাকার মৃত আবদুল করিম মোল্লার মেয়ে নিহত সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টির সঙ্গে আসামি সাইদুর রহমনের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩১ জানুয়ারি দৃষ্টি তার স্বামীকে ছেড়ে সাইদুর রহমানকে বিয়ে করার জন্য বান্ধবীর স্বামী মাহিন্দ্রাচালক আজিজুর রহমান নয়নের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাটে আসেন। একই সময় প্রেমিক সাইদুর রহমানও একই স্থানে আসেন।
ওসি জানান, ওই দিন রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িতেই দৃষ্টিকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইদুর রহমান নিজেই। পরে আজিজুর রহমান নয়ন ও অপর এক সহযোগী মাহিন্দ্রাচালক শহিদুর রহমান তিন জন মিলে পার্শ্ববর্তী জয়পুরের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের বাড়ির পুকুরে ইট বেঁধে লাশ ফেলে দেয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের পুকুর থেকে শরীরে ইট বাঁধা ও গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা সবেজান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করেন ফকিরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানান। প্রধান আসামি সাইদুর রহমানকে নড়াইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আনার জন্য ফকিরহাট থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছেছেন।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরটিভি/এএএ-টি