সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাইতুস সালাম নূরানী নামে একটি মাদরাসায় ২ শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় শিক্ষক মাওলানা আবু হুজাইফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সিলেটের কানাইঘাট এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শহরের হাছননগর এলাকার এক শিশুর চাচা শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা আবু হুজাইফার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করার পর শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাইতুস সালাম নূরানী আবাসিক মাদরাসায় শিক্ষক মাওলানা আবু হুজাইফা হোস্টেলের দায়িত্বে ছিলেন। গত জানুয়ারি থেকে শিক্ষক হুজাইফা মাদরাসার কয়েক শিশুছাত্রকে বলাৎকার করে আসছিলেন। রমজান মাসের আগে শিশুদের সঙ্গে এমন কাজ করেন শিক্ষক হুজাইফা। ওই সময় এক শিশু বিষয়টি তার অভিভাককে জানিয়ে দেয়। এরপর মাদরাসা সুপার সালাহ উদ্দিনকে অবহিত করেছিলেন ওই অভিভাবক। কিন্তু সে সময় ওই অভিভাবককে উল্টো ধমক দেন মাদরাসা সুপার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, ঈদের ছুটিতে মাদরাসা বন্ধ হলে শিশুরা বাসাবাড়িতে আসে। এ সময় শিশুরা ওই শিক্ষকের ঘটনা জানায়। পরে এক অভিভাবক সুপার সালাহ উদ্দিনকে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, বলাৎকারের ঘটনা বাড়ির মালিককে নিয়ে সমাধান করা হয়েছে।
অপরদিকে শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা হুজাইফা শিশুদের বলাৎকারের ঘটনা স্বীকার করেছেন। ভিডিওতে দুজন শিশুকে বলাৎকার করেছেন বলে অকপটে স্বীকার করতে দেখা যায় তাকে। তিনি আর এমন ঘটনা করবেন না এবং এখন থেকে কোন মাদরসায় শিক্ষকতা না করে অফিসে কাজ করবেন বলে জানান। এ সময় স্থানীয় জনতা তার মাথা ন্যাড়া করে দেন।
মাদরসার সুপার সালাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, রমজানের আগে ওই শিক্ষক দুই শিশুকে বলাৎকার করেছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি জানার পরপরই তাকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, শহরের উকিলপাড়া এলাকার বাইতুস সালাম নূরানী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু হুজাইফার বিরুদ্ধে শিশু বলৎকারের ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরটিভি/এমকে