বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) মারা যান পাপড়ি নামের এক নারী। তিনি বরগুনা পৌর শহরের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা মোফাজ্জেলের স্ত্রী। এর আগে বুধবার মারা যান আরও দুইজন—এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চান মিয়া ফকির (৭৫) এবং বরগুনা পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কের বাসিন্দা গোসাই দাস (৭০)।
বরগুনা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ জানান, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭২ জন রোগী, এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৩১ জন।
তিনি আরও বলেন, অনেক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আমরা তাদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেই। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বজনরা রোগীকে বরিশালে নিয়ে যান না, ফলে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমরা সংকটে পড়ি।
চান মিয়া ফকির গত সোমবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৪ হাজার।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বরগুনায় মোট ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৫ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বরগুনা শহর ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও স্থানীয়রা বলছেন, তা পর্যাপ্ত নয়।
আরটিভি/এএএ