• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
কিশোরগঞ্জে মাইক ভাড়া করে চোরকে গালাগালি
কিশোরগঞ্জে অটোরিকশা-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জগন্নাথপুর এলাকায় সিএনজি ও কার্ভাড ভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হয়েছেন।  সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর কার্ভার ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়। নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে—সিএনজি চালক শাহিন ও যাত্রী রাজন। তাদের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দিতে। আর বাকি ৩ জন নারীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নরসিংদীর নিলকুটি এলাকা থেকে সিএনজিসহ দুটি কার্ভাড ভ্যান ভৈরবের উদ্দেশ্যে আসছিল। কার্ভাড ভ্যান দুটি ভৈরবের জগন্নাথপুর ব্রিজ অতিক্রম করার সময় ওভারটেক করতে গিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আরএকেটি কাভার্ড ভ্যানের মধ্যে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালকসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজু মিয়া জানান, নিহতদের মধ্যে চালকসহ দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এছাড়াও বাকি ৩ জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।  আরটিভি/এমএ-টি
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, বিএনপি নেতা শরীফ
মেঘনায় ধরা পড়লো সাড়ে ৯ কেজি ওজনের আইড় মাছ
ইসকনের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
ভৈরবে আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর করা হবে: এম সাখাওয়াত 
ভৈরবে আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  এ ছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় নয়জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খরব পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তফাজ্জল হকের লোকজনের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে কাইয়ুম মিয়া নিহত হন। নিহত কাইয়ুম বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহর সমর্থক ছিলেন।  জানা গেছে, মৌটুপি গ্রামে সরকার বাড়ির বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফায়েত উল্লাহ ও কর্তা বাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জল হক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে প্রায় এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ঈদের পরদিন তোফাজ্জল হকের পক্ষের নাদিম মিয়া সরকার বাড়ির লোকজনের আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এরই জের ধরে কয়েক দিন পর কর্তা বাড়ির লোকজনের হাতে সরকার বাড়ির ইকবাল খুন হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের কয়েক শ’ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। দুটি খুনের ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০০ আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরইমধ্যে কর্তা বাড়ির নাদিম হত্যা মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে চলে এলেও সরকার বাড়ির ইকবাল হত্যা মামলার আসামিরা জামিন না নিয়ে বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে আসলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামলে কাইয়ূম মিয়া বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। এ ব্যাপারে সরকার বাড়ির বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাফায়েত উল্লাহ বলেন, কর্তা বাড়ির নাদিম মারা গেলে আমাদের গোষ্ঠীর কমপক্ষে দুইশ বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ৫২ বছর যাবত তোফাজ্জল হক তার বংশের লোকজন নিয়ে আমাদেরকে অত্যাচার-নির্যাতন করছে আসছে। আমার দুই ভাইকে তারা হত্যা করেছে। আজও আমার বংশের কাইয়ুমকে তারা হত্যা করল। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। অপরদিকে প্রতিপক্ষ কর্তা বাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, আজ আমার বংশের লোকজন বাড়িতে গেলে সরকার বাড়ির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আমরা অত্যাচার নির্যাতন করি না বরং সরকার বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সংঘর্ষে একজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ। আরটিভি/এএএ/এসএ
ভৈরবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শিক্ষার্থীরদের ওপর হামলার মামলায় শেখ রাজু নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শেখ রাজু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। তিনি পৌর শহরের আড়াই বেপারীর বাড়ির শেখ তারা মিয়ার ছেলে। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ফেরিঘাট মিনাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. শহিদুল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে চলতি মাসে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে একই মামলায় এজাহারভুক্ত আরও ৭জন নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে আরও জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ২৭ ও ২৮ আগস্ট ভৈরব থানায় দুটি ও ১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ আদালতে একটিসহ মোট তিনটি মামলা করেন মামুন, রুবেল ও আলম। রোববার দুপুরে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে শহরের ফেরিঘাট মিনাবাজার এলাকা থেকে আলী মনসুর রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার মামলায় শেখ রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আরটিভি/এমকে/এআর
ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় ব্রিজ থেকে ছিটকে পড়ে নারীসহ নিহত ২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নিচে পড়ে অজ্ঞাতনামা একজন নারী ও একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন।  রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রেলপথের রেলওয়ে সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে রেলওয়ে সেতুর নিচে তাদের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তখন নারীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত পুরুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে পুরুষটিও মারা যান। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্ত না করা গেলেও ধারণা করা যাচ্ছে তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। এবং অসাবধানবশত তারা ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীম হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া তাদের পরিচয় শনাক্তেরও চেষ্টা করছে পুলিশ।
ভৈরবে জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে এসে দুই রোহিঙ্গা আটক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে এসে নারীসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।  আটকৃকতদের নাম- হামিদা বেগম (২৮ ) ও এরশাদ (২২)। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন অফিসে তারা ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হলে জন্ম সনদ দেখে নির্বাচন অফিসারের সন্দেহ হয়। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই দুইজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন অফিসার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।  এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রলয় কুমার সাহা জানান, গতকাল বিকেলে তারা দুজন আমার অফিসে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে চায়। এ সময় তারা জানায়, তাদের বাড়ি পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে, অর্থ্যাৎ তারা ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ সময় তাদের কথাবার্তা আমার সন্দেহ হয়। এ ছাড়াও তাদের আবেদনে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজুর স্বাক্ষর দেখতে পায়। আসলে আবেদনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. দ্বীন ইসলামের স্বাক্ষর থাকার কথা। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা জানায়, হামিদা বেগমের বাড়ি কক্সবাজার হালদার পাড়া ও এরশাদের বাড়ি কক্সবাজার রামু এলাকায়। এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে দুজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে দুজনই রোহিঙ্গা। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। আজ দুপুরে দুজনকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সৌদিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরগঞ্জের ২ যুবকের মৃত্যু
সৌদি আরবের রিয়াদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন।  স্থানীয় সময় রোববার (২৬ মে) দুপুরে রিয়াদ শহরের একটি বিল্ডিংয়ে এসি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারা মারা যান। নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের হাজী বাড়ির সাত্তার মিয়ার ছেলে সাফিকুল মিয়া (৩২) ও একই এলাকার বাওয়াল বাড়ির আওয়াল মিয়ার ছেলে মোজাহিদ (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাফিকুল মিয়া ৭ বছর আগে কাতার যান। বছর দুয়েক আগে দেশে আসেন। ২ সপ্তাহ আগে সাফিকুল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পাড়ি জমান। আর মোজাহিদ আড়াই বছর আগে রিয়াদে যান। একই এলাকার হওয়ায় মোজাহিদ ও সাফিকুল রিয়াদ শহরের ইশারা ডাইরেক্টর এলাকায় একসঙ্গে থাকতেন। কাজও একসঙ্গে করতেন। রোববার রিয়াদ শহরে একটি ভবনে এসি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুজন একসঙ্গে মারা যান। আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দুটি পরিবারেরই উপার্জনকারী ছিল তারা। মরদেহ দুটি যেন ঠিকভাবে দেশে আনতে পারে সেজন্য মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। আল্লাহ পরিবার দুটির শোক সহ্য করার তৌফিক দান করুক।’
র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, আরও ৩ সদস্য প্রত্যাহার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‌্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের আরও তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরবে নবযোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি আব্দুল হাই। প্রত্যাহারকৃত র‌্যাব সদস্যরা হলেন, ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ইকবাল হোসেন, কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম ও কনস্টেবল মনির হোসেন। এএসপি আব্দুল হাই বলেন, ‘র‌্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. ফাহিম ফয়সালসহ আরও তিনজন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মোট ৪ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) র‌্যাবের প্রধান কার্যালয় থেকে এ আদেশ আসে।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সুরাইয়া খাতুনকে আটক করে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরদিন শুক্রবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান র‍্যাব সদস্যরা। আটকের পর নির্যাতনের কারণেই সুরাইয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরিবার। তবে র‍্যাবের দাবি, আটকের পর সুরাইয়া হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।  সুরাইয়া খাতুন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।