• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ইসকনের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
ভৈরবে আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর করা হবে: এম সাখাওয়াত 
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভৈরব নদী বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভৈরব বাজার নদী বন্দর পরিদর্শন করার সময় এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, বন্দর নগর ভৈরব কিশোরগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। ভৈরব বাজার বন্দর নগরে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রকল্পটি নিয়ে পর্যালোচনা চলছিল। রোববারই আমি প্রকল্পটির সম্পর্কে জেনেছি। সেজন্যই আজ প্রকল্পের কাজ শুরু করার পূর্বে সরেজমিনে এসে পরিদর্শন করলাম। তিনি আরও বলেন, এখানে আন্তর্জাতিকভাবে স্ট্যান্ডার্ড বন্দরের মান রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের কতগুলো প্রজেক্টের মধ্যে ভৈরব বন্দরটি নির্মিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রকল্পটির মধ্যে চারটি ঘাট নির্মিত হবে। যেখানে লঞ্চঘাট, স্পিডবোট ঘাট, মালামাল পরিবহন ঘাট ও কার্গোঘাট থাকবে। মূলত, প্রোপার একটি আধুনিক বন্দর নির্মিত হবে। তবে এখানে প্রকল্প তৈরির সময় জনগণের সাময়িক অসুবিধা হতে পারে, আপনারা দেশের বৃহৎ স্বার্থে এটি মেনে নেবেন। আগামী বছরের ডিসেম্বেরে শেষ না করলে অর্থ ফেরত যাবে। তবে আশা করছি তা হবে না। সব তৈরি আছে, ঠিক সময়েই কাজ শেষ হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটির প্রকল্প পরিচালক আয়ুব আলী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমীন, ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি নাজমুস সাকিব, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) রিদুওয়ান আহমেদ রাফি, থানার ওসি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ প্রমুখ। আরটিভি/এমকে-টি
ভৈরবে আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
ভৈরবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় ব্রিজ থেকে ছিটকে পড়ে নারীসহ নিহত ২
ভৈরবে জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে এসে দুই রোহিঙ্গা আটক
সৌদিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরগঞ্জের ২ যুবকের মৃত্যু
সৌদি আরবের রিয়াদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন।  স্থানীয় সময় রোববার (২৬ মে) দুপুরে রিয়াদ শহরের একটি বিল্ডিংয়ে এসি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারা মারা যান। নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের হাজী বাড়ির সাত্তার মিয়ার ছেলে সাফিকুল মিয়া (৩২) ও একই এলাকার বাওয়াল বাড়ির আওয়াল মিয়ার ছেলে মোজাহিদ (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাফিকুল মিয়া ৭ বছর আগে কাতার যান। বছর দুয়েক আগে দেশে আসেন। ২ সপ্তাহ আগে সাফিকুল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পাড়ি জমান। আর মোজাহিদ আড়াই বছর আগে রিয়াদে যান। একই এলাকার হওয়ায় মোজাহিদ ও সাফিকুল রিয়াদ শহরের ইশারা ডাইরেক্টর এলাকায় একসঙ্গে থাকতেন। কাজও একসঙ্গে করতেন। রোববার রিয়াদ শহরে একটি ভবনে এসি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুজন একসঙ্গে মারা যান। আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দুটি পরিবারেরই উপার্জনকারী ছিল তারা। মরদেহ দুটি যেন ঠিকভাবে দেশে আনতে পারে সেজন্য মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। আল্লাহ পরিবার দুটির শোক সহ্য করার তৌফিক দান করুক।’
র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, আরও ৩ সদস্য প্রত্যাহার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‌্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্পের আরও তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরবে নবযোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি আব্দুল হাই। প্রত্যাহারকৃত র‌্যাব সদস্যরা হলেন, ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ইকবাল হোসেন, কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম ও কনস্টেবল মনির হোসেন। এএসপি আব্দুল হাই বলেন, ‘র‌্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. ফাহিম ফয়সালসহ আরও তিনজন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মোট ৪ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) র‌্যাবের প্রধান কার্যালয় থেকে এ আদেশ আসে।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সুরাইয়া খাতুনকে আটক করে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরদিন শুক্রবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান র‍্যাব সদস্যরা। আটকের পর নির্যাতনের কারণেই সুরাইয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরিবার। তবে র‍্যাবের দাবি, আটকের পর সুরাইয়া হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।  সুরাইয়া খাতুন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। 
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের মারামারি, আহত ৫০
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে আগানগর গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তরপাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও ব্যাপারি বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ও বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হন। জানা যায়, উপজেলার আগানগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তর পাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও ব্যাপারি বাড়ির লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের পাশে আনন্দ বাজার নামে একটি বাজার রয়েছে। এ বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ড্রেজার পাইপ চুরির বিষয় নিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে শুক্কর মিয়া ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষে আক্কাছ মিয়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় এই ২ বংশের লোকজন মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে আবার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এক পর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ৫০ জন আহত হন। যদিও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রওশন আরা রিপা বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আহত রোগী আসতে থাকে। ৩০ জন আহত রোগী দেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় কৃষক
চলতি বছরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পড়তে হবে লোকসানের মুখে।  স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরসহ বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর এবং আগানগরের ডিগচর অন্যতম। চলতি বছরে ভৈরবে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।  আবাদকৃত জমির মধ্যে আগাম জাতের বিআর ২৮, ৮৮ ও বঙ্গবন্ধু ধান অন্যতম। তবে, ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের আগাম জাতের ১০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে।  কৃষকদের দাবি, ধান উৎপাদনে সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। ফলে লোকসান দিয়েই তাদেরকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ধানের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মোটা বোরো ধান ৭৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখনও বাজারে চিকন ধানের আমদানি শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই কৃষকের। অথচ, সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৮০ টাকা দাম পড়ে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরের কৃষক ছানু মিয়া বলেন, জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি ফসল ঘরে তুলতে পারব।  আবুল মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, জমি চাষাবাদ, সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে যে হারে উৎপাদন খরচ পড়ে, সে হিসেবে আমরা ন্যায্য দর পাই না। তাই, কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার দাবি করছি।  এদিকে হাওরের কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইচ গেটসহ কাচা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।  তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে কৃষকরা সহজে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এ ছাড়াও সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
ফেসবুকে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফেসবুকে হা হা রিঅ্যাক্টকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৫ জন। এ ছাড়াও ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ভৈরবের কমলপুর লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাতে কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে আজিবরের সঙ্গে পূর্বপাড়ার রউফ মিয়ার ছেলে ওমর মিয়ার ফেসবুকে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে মিলিয়ে দেন দোকান মালিক মানিক মিয়া। ঘটনার আধা ঘণ্টা পর দু’পক্ষ দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে পূর্বপাড়ার ১০টি দোকান কুপিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল মিয়াসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা বলছেন, আমরা তারাবির নামাজের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম দোকান বন্ধ করে। এসে দেখি দোকানের শাটারগুলো কুপিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এরা সবাই কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য। আমরা এদের বিচার চাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।  অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। 
ট্রলারডুবি : কনস্টেবলসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার চার দিনের মাথায় পুলিশ সদস্য সোহেল রানা ও বেলন দে নামে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮টি মরদেহ উদ্ধার হল।  এ ঘটনায় এখনো রাসুল নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৪ মার্চ) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিওটিএ) ডুবুরি দল নিখোঁজ ছয়জনের সন্ধানে উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে মেঘনার তীরবর্তী পুলতাকান্দা এলাকা ও রেলসেতু এলাকা থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।