• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
শিবচরে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর
প্রেমিককে স্বামী হিসেবে না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
মাদারীপুরের শিবচরে প্রেমিককে স্বামী হিসেবে না পেয়ে হাফিজা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাবলাতলা এলাকার হাজী কাইমুদ্দিন শিকদারের কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ওসি মো. মোক্তার হোসেন। নিহত হাফিজা ওই গ্রামের চাঁনমিয়া মোল্লার মেয়ে। এবং তিনি চর বাঁচামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। এদিকে গলায় ফাঁসি দেওয়া অবস্থায় নিজের বসতঘরের ভেতরে থেকে হাফিজাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বড় ছেলে পিয়ার সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল হাফিজার। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকবার সালিশ দরবারও হয়েছে এলাকায়। তবে সেখানে চাঁনমিয়া সরদারের বড় ছেলে পিয়ার নিজের দোষ অস্বীকার করলেও তার ছোট ছেলে আলী সরদার সবার সামনে নিজেকে দোষী বলে দাবি করেন এবং ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হন। তবে হাফিজা কোনভাবেই আলীকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। হাফিজার দাবি, তাকে নষ্ট করেছে পিয়ার সরদার। তাই সে যদি বিয়ে করে তবে আলীকে নয় পিয়ারকেই করবে। এ দিকে স্থানীয় সালিশ ও পরিবারের লোকজন আলীকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে হাফিজাকে। আর এ কারণেই হাফিজা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা সবার।  অপরদিকে ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে রয়েছে পিয়ার হোসেনের পরিবার। তালাবদ্ধ রয়েছে তাদের বসতঘর। এ বিষয়ে নিহত হাফিজার বড় ভাই নাসির মোল্লা বলেন, ‘আমরা এলাকায় ন্যায় বিচার পাইনি। আমার বোন সম্পর্ক করেছে কালাম সরদারের বড় ছেলের পিয়ার হোসেনের সঙ্গে। আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে তার বড় ছেলে। অথচ সকলে মিলে বিয়ে দেবে ছোট ছেলে আলীর কাছে। আর এ কারণেই আমার বোন আজ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা এই হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’ এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, নিহত হাফিজার একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছি। এখানে ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে। আরটিভি/এমকে/এআর
টোলপ্লাজায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় এবার বাস মালিক গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
শিবচরে বিএনপি নেত্রীর বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
মাদারীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হাতবোমার আঘাতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মধ্যেরচর এলাকার মতিউর রহমান শিকদারের ছেলে আক্তার শিকদার (৪২), আক্তার শিকদারের ছেলে মারুফ শিকদার (২০) এবং খুনেরচর গ্রামের সিরাজুল চৌকিদার (৩৫)। আক্তার শিকদার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন। আর সিরাজুল পেশায় কৃষক ও দিনমজুর ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্যেরচর এলাকায় ফকির ও শিকদার বংশের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার শিকদার এলাকা ছাড়েন। আজ ভোররাতে শরীয়তপুরের নতুনবাজার দিয়ে আক্তার শিকদার তার লোকজন নিয়ে মধ্যেরচর এলাকায় প্রবেশ করছেন, এমন খবর পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন জলিল ফকিরের লোকজন। পরে আক্তার ও জলিলের লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। হাতবোমার আঘাতে আক্তার শিকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বোমায় গুরুতর আহত হন তার ছেলে মারুফ শিকদার। মারুফকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর সিরাজুল চৌকিদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা বরিশালের মুলাদি ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাঁশগাড়ী এলাকায় র‍্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কালকিনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সংঘর্ষে একপক্ষেরই তিনজন নিহত হয়েছেন। বাবা-ছেলের পর তাদের অনুসারী সিরাজুল চৌকিদার নামে একজন ঢাকা নেওয়ার পথে মারা গেছেন। এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আরটিভি/এএএ/এস
রাজৈরে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৬
মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন।  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার বড়ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে মাদারীপুর থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সার্বিক পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস। রাজৈর উপজেলার বড়ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সুগন্ধা পরিবহনের অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় অন্তত ৬ জন। তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আরজ আলী বলেন, সংঘর্ষে দুটি বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে কিছুটা সময় যান চলাচল ব্যাহত হলেও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আরটিভি/এএএ  
হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
মাদারীপুরের কালকিনিতে সিজারিয়ান অপারেশনের পর যমজ নবজাতকের একটিকে চুরির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।   বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার কালকিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভুরঘাটা এলাকার বেসরকারি নিরাময় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের ফয়সাল সরদারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আয়েশা খানমকে ভর্তি করা হয় কালকিনির ‘ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালে’। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে পরীক্ষা করানোর পর আয়েশাকে জানানো হয় গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে। এজন্য দুটি বিছানা ও অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানকার গাইনি চিকিৎসক ডা. মুসলিমা জাহান ঐশী মঙ্গলবার বিকেলে সিজারিয়ান অপারেশন করে একটি ছেলে সন্তান দেন আয়েশার কোলে। অপর নবজাতকের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিষয়টি অস্বীকার করেন। শিশুটির বাবা ফয়সাল সরদার অভিযোগ করে বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনের আগেও বলছে দুটি বাচ্চার কথা। পরে বলে গর্ভে ছিল একটি সন্তান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বাচ্চা চুরি করেছে। আমি আমার অন্য আরেকটি সন্তানকে ফেরত চাই। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। কালকিনির ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালের প্রধান ও তথ্য প্রদান কর্মকর্তা হান্নান বেপারী বলেন, আমাদের এই হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কাজ হইতেছে, তাই শিশুর পরিবার দুটি বাচ্চার কথা বলছে। যদি দুটি শিশুর কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারে তাহলে এই প্রতিষ্ঠান তালা মেরে আমরা সবাই চলে যাবো।  কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এএএ/এআর
মাদারীপুরের শীর্ষ ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার 
মাদারীপুরে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ২০টি মামলা রয়েছে।  মঙ্গলবার (১৭ ডি‌সেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার ভো‌রে সদর উপজেলার রাস্তি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার পল্টু ফকিরের ছেলে আকাশ ফকির (২৬) ও একই এলাকার নূর মো. কবিরাজের ছেলে অন্তর কবিরাজ (২৪)। এর মধ্যে আকাশের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতাসহ একাধিক অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও শরিয়তপুরের জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। আর অন্তর কবিরাজের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় রয়েছে ৫টি মামলা। পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে জেলা শহরে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ একাধিক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে আকাশ ও অন্তর জড়িত বলে পুলিশ জানতে পারে। তাদের ধরতে একাধিকবার অভিযানও চালায় পুলিশ। পরে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ভোর রাতে রাস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ্ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, শীর্ষ ওই দুই সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদের ধরতেও পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে। এছাড়া শরিয়তপুরের জাজিরা থানায় আকাশের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। আরটিভি/এএএ   
তিন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডা, গুলশান ও বগুড়ায় সংগঠিত তিনটি হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবরকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিবচর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার গুলশান, বাড্ডা ও বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় সংগঠিত তিনটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমানকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। এ ছাড়াও শিবচর থানায় গত ১৭ অক্টোবর দায়ের করা একটি মারামারির মামলায় আতিকুরকে প্রধান আসামি করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে আতিকুল কুতুবপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান মাদবরের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি পুলিশ কুতুবপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. শওকত জাহান বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুরের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, মারামারিসহ কয়েকটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর শিবচর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।   আরটিভি/এএএ/এস