• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
logo
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
জাহাজে নিহত নড়াইলের ২ জনের দাফন সম্পন্ন
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাতজনের মধ্যে নড়াইলের আমিনুর রহমান মুন্সী (৪৮) ও সালাউদ্দীন ফকিরের (৪০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে আমিনুর এবং ১০টার দিকে সালাউদ্দিনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। পরে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী রাতেই তাদের দাফন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার আমিনুর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি আল বাখেরা জাহাজের সুকানি ছিলেন। অন্যদিকে সালাউদ্দিন ছিলেন ইঞ্জিনচালক। তিনি একই উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের এগারোনলী গ্রামের আবেদ উদ্দীন ফকিরের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে প্রায় ১২ বছর ধরে জাহাজে কাজ করছিলেন আমিনুর। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) গ্রামের বাড়ি নড়াইল থেকে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। এবার ছুটিতে বাড়ি ফিরে বোনের দেওয়া জমিতে নতুন ঘর তোলার কথা ছিল তার। কিন্তু ৪ দিনের ব্যবধানে তার বাড়িতে ফিরল নিথর দেহ। কোনোভাবেই এ শোক সইতে পারছেন না তার পরিবারের সদস্যরা। আমিনুরের স্ত্রী পপি বেগম বলেন, শুক্রবারে রাত ৮টার দিকে আমি স্বামীকে বাসে উঠায়ে দিয়ে আসছিলাম। এক সপ্তাহ পর আসার কথা ছিল। আর আসল না। আমার স্বামীরে যারা মারছে, আমি তাদের বিচার চাই। স্বামী ছাড়া আমার আপন কেউ নেই।  অন্যদিকে সালাউদ্দিন ২০ বছর ধরে জাহাজে চাকরি করছেন। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার ছিল তার। হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় দিশেহারা তার পরিবার। সালাউদ্দিনের ছেলে নাইম ফকির বলেন, আব্বুর আয় দিয়েই আমাদের পরিবার চলতো। এভাবে যদি মেরিন ডিপার্টমেন্ট চলতে থাকে, আজকে আমাদের ক্ষতি হইছে কালকে আরেকজনের হবে। আজকে যেমন আমরা রাস্তায় নামছি কালকে আরেক পরিবার রাস্তায় নামবে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এর আগে, গত রোববার চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আরটিভি/এএএ/এস     
নড়াইলের ওপর দিয়ে চলল ট্রেন, স্বপ্নের দুয়ার খুলল আজ 
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
বঙ্গবন্ধুর সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা ‘বেদুইন সাত্তার’ আর নেই
নড়াইলে গলায় ফাঁস নিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এলো ৩৫ হাজার টন চাল
দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৯ দিনে ৯৬৯ ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়েছে। ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের চাল আমদানি হয়েছে। যার আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা।  আমদানিকৃত এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট ও মোটা স্বর্না এবং জামাইবাবু জাতের চাল। আমদানিকারকদের দাবি, এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির প্রভাব এখনও সাতক্ষীরার চালের বাজারগুলোতে পড়েনি। এ বিষয়ে ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬৯টি গাড়িতে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩ টন। সরকার যেহেতু চালের ওপর ডিউটি ফ্রি করে দিয়েছে যার জন্য এখানে কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি। উত্তরবঙ্গের চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভারত সরকার চাল রপ্তানি শুরু করার পর থেকে অন্যান্য বন্দরের পাশাপাশি ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। তবে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল আমদানি শুরু হয়েছে। এখনও তেমন প্রভাব পড়তে শুরু হয়নি দেশের চালের বাজারগুলোতে। সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, চিকন আটাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা এবং মোটা জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া আমদানিকৃত মোটা স্বর্ণা ও জামাইবাবু জাতের চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। তবে ভারতীয় চাল আমদানিতে দেশি চালের বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সাতক্ষীরার চালের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরুর কারণে শিগগিরই চালের বাজার কমতির দিকে আসবে বলে আশা করছি।  আরটিভি/এমএ
মাশরাফী ও তার পিতাসহ ২৯৫ জনের নামে নাশকতার মামলা, গ্রেপ্তার ২
নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। গতকাল (সোমবার) জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার এবং তার পিতা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ এ মামলায় দুজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, এ মামলায় উপজেলার চরকরফা গ্রামের জুন্নু মুন্সি এবং বয়রা গ্রামের আজাদ শেখ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদেরকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।  মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, আসামিরা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী ও গুন্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি, অস্ত্রধারী ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার কর্মসূচি চলাকালে লোহাগড়ার সি এন্ড বি চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্তরা।  বর্তমান নড়াইল জেলা সমন্বয়ক নেতা কাজী ইয়াজুর রহমানসহ আরও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলা বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেছেন। মামলায় মাশরাফী এবং তার পিতা ছাড়াও সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আমীর লিটু, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত সাড়ে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নড়াইল সদর থানা ও লোহাগড়া থানায় নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এসব মামলায় একাধিক নেতা কর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।  আরটিভি/এসআর/এআর  
নড়াইলে ছিনতাই হওয়া আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার
কালিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া হত্যা মামলার আসামি ছাব্বির শেখসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছাব্বির শেখ কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর এলাকার আলিম শেখের ছেলে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন ছাব্বির শেখের ভাই নিষাণ শেখ (২১) এবং অন্যজন একই এলাকার  জাহিদ মোল্যা (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।  পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল চাঁদপুর এলাকা থেকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছাব্বির শেখকে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় পুলিশের গতিরোধ করে আসামির স্বজনরা মারধর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা হয়। আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে আজ সকালে আসামি ছাব্বির ও তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার দুপুরে কালিয়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ আরও দুজনকে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাতকড়াটিও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।  আরটিভি/এমকে
স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার 
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের বিলদুড়িয়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এসআই আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শনিবার রাত ৮টার দিকে নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।  রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত ২৭ অক্টোবর অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী অপহৃত হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ওই এলাকার মানিক হোসেনের বিরুদ্ধে ওইদিন কালিয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়া এসআই আশিকুজ্জামান গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকার আশুলিয়া থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এরপর এসআই আশিকুজ্জামান কালিয়া থানায় না এনে নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রীকে। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে এসআই আশিকুজ্জামান নিজের বাড়িতে রেখে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।  এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই মারা যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগীকে গাড়িতে রেখে জানাজা শেষ করে শুক্রবার কালিয়া থানায় নিয়ে আসি। গাড়িতে নারী পুলিশসহ অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসআই আশিকুজ্জামানকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ আরটিভি/এমকে
পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই
নড়াইলে কালিয়া উপজেলায় পুলিশের কাছ থেকে হত্যা মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্বজনেরা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামির নাম ছাব্বির শেখ (২৫)। তিনি কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর এলাকার আলিম শেখের ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে আরবি পড়ে রঘুনাথপুরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী নাসিম শেখ। চাঁদপুর-রঘুনাথপুর আঞ্চলিক সড়কে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নাসিম শেখকে হত্যার দায়ে আটজনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আমলি আদালতে পিটিশন দাখিল করেন মা তানিয়া সুলতানা জোনাকি। চলতি সাসের ২ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে কালিয়া থানা হত্যা মামলা রুজু করেন। একপর্যায়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল চাঁদপুর এলাকা থেকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে।  এ সময় তাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পথ আটকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় স্বজনরা।  কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ছিনতাই হওয়া ওই আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।  এর আগে গত ২৩ নভেম্বর নড়ল সদর উপজেলার গোবরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এক আসামি বিল্লাল শেখকে (৫০) হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়েছিল স্বজনরা। পরে গত ৬ ডিসেম্বর গাজীপুর নগরের গাছা থানার কুনিয়া তারাগাছা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরটিভি/এএএ   
লোহাগড়ায় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম
নড়াইলের লোহাগড়ায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের মধ্যপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য শাওন হোসেন (২৬) উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে। তিনি বরিশাল রেঞ্জে কর্মরত। ২৭ নভেম্বর ছুটিতে নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শাওন হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে জমি ও ঘরবাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রোববার দুপুর ২টার দিকে একই গ্রামের মৃত আমির হোসেন ফকিরের ছেলে মফিজ ফকির, লায়ন ফকির, মেহেদী ফকির, আব্দুর রহমান, শাহানারা বেগম ও রুমা বেগম রাম দা, ছ্যান দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত শাওন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুর্বৃত্তরা পুলিশ কনস্টেবল শাওন হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এলাকাবাসী শাওনকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় শাওনের সঙ্গে থাকা অন্যান্যদেরও পিটিয়ে নীলা-ফোলা জখম করে। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আরটিভি/এমএ/এস