• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ইজিবাইক চালক হত্যা, কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী
ফের যেন রাজপথে নামতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে এবং সামনে কোনো সংকট তৈরি হলে ফের যেন রাজপথে নামা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।  রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরের পঞ্চগড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে হটাতে তরুণ প্রজন্ম ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যে স্পিরিট নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, সেটা যেন থাকে। সামনে আবারও এমন সংকট তৈরি হলে তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে পারে, একসঙ্গে লড়াই করতে পারে। সে জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছি। তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন তারা। স্কুল-কলেজের অসংখ্য সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেগুলো জানা এবং সম্ভব হলে তাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা, সমস্যাগুলো দেশের সামনে তুলে ধরা। সারজিসরা মনে করেন, এগুলো তাদের দায়িত্ব। সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সিস্টেমগুলো সংস্কার জরুরি। সেই জায়গা থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় এভাবে যাবো এবং আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে কাজগুলো করব। আরটিভি/এসএপি-টি
পঞ্চগড়ে কনকনে শীত, তাপমাত্রা নামল ১০.৫ ডিগ্রিতে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
রাত হলেই বাড়ছে শীত, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি
শীতে নাকাল উত্তরাঞ্চল, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে
শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। গেল কয়েক দিনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। গভীর রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে শিশির।  মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালেও কুয়াশায় ঢাকা ছিল পঞ্চগড়। যদিও দুপুরের দিকে সূর্য উঁকি দিয়ে কিছুটা উষ্ণতা ছড়ালেও বিকেলের পর থেকে কমতে শুরু করে তাপমাত্রা।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায়। জানা যায়, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়। সোমবার এই সময়ে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এ বিষয়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান হওয়ায় প্রতি বছর সবার আগে শীত নামে উত্তরের পঞ্চগড় জেলায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েক দিন ধরেই হিমশীতল বাতাস আর কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে পঞ্চগড়ে। তেঁতুলিয়ায় কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠা-নামা করছে। দিনের অনেকটা সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রার পারদ নামতে থাকে। ফলে রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। তিনি আরও বলেন, হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসের কারণে কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার এই সময়ে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে। আরটিভি/এমকে
পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে
পঞ্চগড়ে শীত ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। দিনে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৩ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করছে। উপজেলা সদরের মমিনপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না। এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোও বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস কারণে তাপমাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কম হয়ে থাকে। আরটিভি/এফআই/এস
জরুরি প্রয়োজন শুনে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে রক্ত দিলেন ইউএনও
হাসপাতালে এক রোগীর জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন কিন্তু রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না, এমন খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে নিজে রক্তদন করেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছিয়া বেগম (৩৮) নামে ওই রক্তশূন্য অসুস্থ্য নারীকে রক্তদান করেন তিনি। অসুস্থ্য আছিয়া বেগম জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া এলাকার জয়নুল ইসলামের স্ত্রী।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছিলেন আছিয়া বেগম (৩৮) নামে এক নারী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে নিচ্ছিলেন চিকিৎসা। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রক্তশূন্যতা ধরা পড়ে। চিকিৎসা দ্রুত ৬ ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেয়। এর পর রক্ত সংগ্রহে আছিয়ার স্বামী জয়নুল ইসলাম রক্ত জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়। এদিকে জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে একজন রোগীর রক্তের বিষয়টি জেনে হাসপাতালে ছুটে যান ইউএনও ফজলে রাব্বি। পরে তার রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক সব প্রক্রিয়া শেষে নিজেই রক্তদান করেন ওই রোগীকে। চিকিৎসক ও রোগীর স্বামীর কাছে খোঁজ-খবর নেন এবং তাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত তেঁতুলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হাসান, তেঁতুলিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবেল আলম, তেঁতুলিয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুনু অর রশিদসহ তার অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ওই রোগীর স্বামী জয়নুল ইসলাম বলেন, আমার বউয়ের রক্ত লাগবে ৬ ব্যাগ৷ আজকের মধ্যেই এক ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। পরে আমার ও আমার পরিবারের কারও সঙ্গে আমার স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ না মেলায় আমি বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু রক্তদাতা না পাওয়ায় অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে ছিলাম। পরে হাসপাতাল থেকে জানানো হলো রক্ত পাওয়া গেছে, আমার স্ত্রীকে একজন রক্তদান করবেন। এ সময় আমি জানতে পারি আমার স্ত্রীকে যিনি রক্ত দান করলেন তিনি আমাদের উপজেলার ইউএনও স্যার। স্যারের এমন সহানুভূতি পেয়ে আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি শুধু রক্তদান করেই পাশে থাকেননি আমাদের। আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আমার কোন প্রয়োজন হলে তাকে জানাতে বলেছেন। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, কাজের মাঝে হঠাৎ জানতে পারি একজন রোগীর জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। একই সঙ্গে রোগীর পরিবার রক্তদাতা সংগ্রহ করতে না পারায় বিষয়টি একটু খারাপ লেগে যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে গিয়ে জানতে পারি আমার রক্তের গ্রুপের সঙ্গে রোগীর রক্তের গ্রুপের মিল রয়েছে। তাই ক্রস চেক করে নিজেই রক্তদান করেছি। রোগীর কোন সমস্যা বা আর্থিক কোন সহযোগিতা চাইলে তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। একই সঙ্গে রোগীর কোনো সমস্যা বা আর্থিক কোনো সহযোগিতা চাইলে তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি। আরটিভি/এমএ  
৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর...
গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলতো তার পরিবার। তবে গত চারদিন আগে ৯ মাসের নিজ সন্তানকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে প্রায় পাগল হয়ে গেছেন শরীফা। তবে ভারসাম্য হারালেও নানা নাটকিয়তার পর আবারও নিজ পরিবারে ফিরেছে শিশুটি। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে অবগত হয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করে বসবাস করতেন। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন। স্থানীয়রা জানান গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যায় শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী। একই সঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যায় শরীফা। পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা বলছেন, নিজ সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার পর শরীফা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। টানা চারদিনে শিশুটির কোন সন্ধান দিতে না পারলেও, এক সময় ঠিকানা জানান। এরপর পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় চারদিনের মাথায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি।  এদিকে এমন ঘটনার পর স্বামী ছাড়া ও ভারসাম্যহীন মায়ের পরিবারটির পাশে সরকারি সহায়তার দাবি প্রতিবেশীদের। এ বিষয়ে শরীফার বড় ছেলে নয়ন ইসলাম জানান, চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে পঞ্চগড় যায়। পরে এক সময় বাড়িতে এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করে। বিষয়টি জানার জন্য ও বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোন কিছু জানাচ্ছিল না। পরে অনেক কৌশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। পরে সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নিবে না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বর্তমানে বোন আমার দেখাশোনাতে আছে। মোস্তাফিজুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, অনেক আগ থেকে ওই মহিলাকে দেখছি। সে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালায়। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে এখন প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, খুব কষ্টে পরিবারটা চলছে তাদের। স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে ভিক্ষা করত । এর মাঝে এমন ঘটনা ঘটে সে পাগল হয়ে গেছে। তার মোট তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুই মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে পরিবারটি ও শিশুগুলোর জন্য অনেক ভালো হবে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন জানায় খবর পেয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। আরটিভি/এফআই
মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম
পঞ্চগড় শহরের উপকণ্ঠে রাজনগর নতুন বস্তি এলাকায় ১০টি হরিজন সম্প্রদায়ের বাড়ির সামনে প্রতিদিন মাদক বিক্রি হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, মাদকের কারণে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার যুব সমাজ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এর প্রতিবাদে পঞ্চগড়ের রাজনগর বকুলতলা মোড়ে মাদক এবং বাল্যবিবাহ বিরোধী সমাবেশ করেছেন তারা। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাজনগর মাদকবিরোধী কমিটির সহযোগিতায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  সমাবেশে কমিটির সভাপতি মনসুর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ, সাবেক পৌর মেয়র জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামসহ ছয়টি মসজিদের ইমাম ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার তরুণরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা জানান, অবাধে চলাফেরার রাস্তায় জনসম্মুখে প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫টি পরিবারের নারী পুরুষরা অবাধে মাদক বিক্রি করছেন। প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও মাদক ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। সাবেক পৌর মেয়র তার বক্তব্যে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা না হলে পঞ্চগড় জেলায় দুর্বার আন্দোলন করা গড়ে তোলা হবে।  এ সময় ইউএনও এর কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকাও তুলে দেন তৌহিদুল ইসলাম। পরে ইউএনও এবং ওসি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে রাতের বেলায় পাহারা বসানোর কথা বলেন। তিনটি গ্রামের আলেম ওলামা, মসজিদের ইমাম, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সহস্রাধিক মানুষ সমাবেশে অংশ নেন। আরটিভি/এমকে
পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে ন্যায্যমূল্যের বাজারে সবজি বিক্রি 
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পঞ্চগড়ে ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন।  সবজি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং ক্রেতাদের হাতে ন্যায্যমূল্যে সবজি তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ কার্যক্রম। সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে উৎপাদিত সবজিসহ নানান পণ্য কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে এই বাজারে।  বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে জেলা অডিটোরিয়াম চত্বরে এই বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। বাজারে সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ‘খেত থেকে আনা কৃষকের পণ্য, সুলভমূল্যে জনগণের জন্য’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ন্যায্যমূল্যের বাজার। পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে এই বাজার কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছে সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী ফোরাম। ফোরামের অধিকাংশ সদস্যই শিক্ষার্থী। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবীরা চাষিদের খেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজারমূল্য থেকে কমমূল্যে বিক্রি করছে। বাজারে আলুর কেজি ৭৫ টাকা হলেও ন্যায্যমূল্যের বাজারে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতি লাউ ২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ২০, মরিচ ৬৫, বাঁধা কপি ৪০, লাল শাক ৩০, মুলা ৩৫, ডাটা ১৮, পেঁয়াজ ৮০, বেগুন ২০, পালং শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন বাজার থেকে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে নানা ধরনের শাক সবজি বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সকাল থেকেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। এতে ক্রেতারা খুশি। তারা বলছেন আরও দোকান এবং পণ্য বাড়ালে সুবিধা হবে। সেই সাথে সপ্তাহের প্রতিদিনই ন্যায্যমূল্যের বাজার পরিচালনা করার দাবি জানান ক্রেতারা।  রামের ডাঙ্গা এলাকার আবদুর রশিদ জানান, বাজারের থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারছি। তবে আরও দোকানের প্রয়োজন আছে। আর সপ্তাহের প্রতিদিনই বাজার বসলে ভালো হয়। এই বাজারে আমরা টাটকা শাক-সবজি পাচ্ছি। সেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক আহসান হাবিব জানান, সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দোকান পরিচালনা করছে। তারা অধিকাংশই ছাত্র। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে কমমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে, তাই এ দোকানে কাজ করছি। প্রতিদিন ভোরবেলা কৃষকের সবজি খেত থেকে আমরা সবজি কিনে এনে এখানে বিক্রি করছি। এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা অতি মুনাফা করতে পারছে না। কৃষকও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। একই সাথে সাধারণ মানুষও কমদামে শাক সবজি কিনতে পারছে। বাজারে দরিদ্র পরিবারদের জন্য সবজি দান বাক্সও আছে। ক্রেতারা ইচ্ছে করলে দরিদ্রদের জন্য সবজি কিনে দানও করতে পারবেন। এদিকে আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে বিভিন্ন কোলেস্টরেল থেকে বুধবার ১৪ টন আলু কিনেছে জেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ওই আলু কম দামে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা, যৌক্তিকতা এবং উদ্যেক্তা পেলে এই বাজার আরও সম্প্রসারিত করা হবে। আরটিভি/এফআই