স্বতন্ত্র আবাসিক হলসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত কর, ধর্মাচরণ পালনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা কর’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন উদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
সনাতনী শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসিক হলের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দুই দাবি হলো, প্রার্থনা কক্ষ ও নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সনাতন শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র হলের ব্যবস্থা করতে হবে যেন আমরা নির্বিঘ্নে থাকতে পারি এবং প্রতিটা হলে আমাদের জন্য একটা প্রার্থনালয় থাকা জরুরি। আমাদের খাবার নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্ব। কেন আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সামনে গরুর মাংস নিয়ে আসবে। গরুর মাংস আমাদের সনাতনধর্মদের জন্য নিষিদ্ধ, তারা কি সেটা জানে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্দিরে কোনো পুরোহিত নেই। আমরা আমাদের এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
বিপু চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন কুমার বলেন, আমি প্রথম থেকেই হলগুলোতে গরুর মাংস দিতে দেখে আসছি, এখনও তা চলছে। আমরা অন্য ধর্মকে ছোট করে দেখছি না। কিন্তু স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করার অধিকার আমাদেরকেও দিতে হবে। আমাদেরকে যদি আলাদাভাবে দেখা হয়। তাহলে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা হলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি তন্ময় কুমার কুণ্ডু বলেন, হলগুলোতে ধর্ম পালন করা আমাদের জন্য কষ্টকর। একই চামচ দিয়ে গরু ও মুরগির মাংস বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা সনাতনী বলার পরও আমাদের সঙ্গে এমনটা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা আশ্বস্ত করে কিন্তু কোনো সমাধান করে না। সনাতনীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না রেখে বর্তমানে সবগুলো হলেই গরুর মাংস দিচ্ছে, যা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এখানে সবাই অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিত।
এ সময় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী অংশ নেন।