‘আমাদের উচিত ছিল কঠোরভাবে শাকিবের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো’
শাকিব খানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পর পর বেশ কিছু ছবি ব্যবসায়িকভাবে অসফল। করোনাকালে সিনেমা প্রযোজনার ঘোষণা দিলেও কাজ শুরু করতে পারেননি। পারিশ্রমিক কমিয়েও নতুন ছবিতে দেখা যায়নি কিং খানকে।
এরই মধ্যে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে শাকিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার নিজেই নায়কের এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন। শাকিবের কারণে অনেক প্রযোজক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, শাকিব খানের কাজ থাকলে একটা বিশাল ইউনিট। ২০০-২৫০ জনের একটা ইউনিট। সেই ইউনিট বসে থেকে যদি কাজ না করতে পারে তাহলে একজন প্রযোজকের অনেক ক্ষতি। সেটা যদি দুই তিনদিন হয় আর সেটা যদি না জানিয়ে হয়। এটা একটা বিশাল লস।
নাম প্রকাশ না করে খসরু অভিযোগ করে বলেন, এমন অনেক আর্টিস্ট আছেন যিনি কোনোদিন সিগারেট খান না। তাকেও শুটিংয়ে এলে দুই প্যাকেট সিগারেট দিতে হবে। এটাও তো একটা অন্যায়। আবার কোনো কোনো হিরোইনকে গোসল করার জন্য মাম পানি দিতে হবে! এটাও তো অন্যায়।
মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, আমরা শাকিবের দু’চারটা বিষয় যখন দেখেছি তখনই আমাদের উচিত ছিল কঠোরভাবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। বড় বড় প্রযোজককেই দেখেছি শাকিবের চামচামি করতে। সরি আমার এই ভাষাটা ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু তারা করেছে। শাকিবের এই অনিয়মগুলোকে তারাই প্রশ্রয় দিয়েছে। অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছে। আমিও এই ভোগান্তিতে পড়েছি। আমার ‘আই লাভ ইউ’ ছবিটা ৭ বছর ধরে নির্মাণ করেছি।
এদিকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ এই প্রজন্মের উঠতি তারকারাও শাকিব খানকে অনুসরণ করে শিডিউল ফাঁসাচ্ছে এবং সেই একই পথ অনুসরণ করছে। তারকারা নিজেরা ফুলে ফেঁপে উঠলেও ইন্ডাস্ট্রিকে রুগ্ন করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
এম/পি
মন্তব্য করুন