বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক মহেশ ভাটের স্বভাব ও চরিত্র নিয়ে মুখ খুলেছেন তার প্রথম পক্ষের মেয়ে পূজা ভাট। এই নির্মাতার জীবনে প্রথম স্ত্রীর অস্তিত্ব থাকতেই সোনি রাজদানের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান। অন্য নারীর সঙ্গে বাবার পরকীয়ায় জড়ানোর কথা প্রথম জানতে পারেন পূজা ভাট।
একদিন রাতে পূজার ঘুম ভাঙিয়েছিলেন মহেশ ভাট। তিনি মেয়েকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি অন্য এক মহিলার প্রেমে পড়েছি। আমি চাই, সকলের আগে তুমি জেনে রাখো।’
বাবার কথা শুনে পূজা শুধু মাথা নাড়িয়েছিলো। সেই মুহূর্তে মেয়ের মাথা নাড়ানোর অর্থ বুঝতে পারেননি মহেশ। কিন্তু ধীরে ধীরে মেয়ের রাগ প্রকাশ পেতে থাকে। মহেশ চেয়েছিলেন, মেয়ে যাতে তার মন থেকে সব রাগ ও ক্ষোভ বের করে ফেলে।
কিন্তু বিষয়টিকে প্রথমে মেনে নিতে পারেননি পূজা। তার কাছে আলিয়া ও শাহিনের মা সোনি রাজদান ছিলেন খলনায়িকা। যিনি তার বাবাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এমন একটা সময় ছিল, যখন সোনির নাম শুনলেও রেগে উঠতেন পূজা। এমনকি বেশ কয়েক বছর সৎ মায়ের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ ছিল। একপর্যায়ে মা কিরণের সঙ্গে বাবার মনের মিল না হওয়াতেই ওই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে বলে মেনে নিতে শুরু করেন পূজা।
পূজার কথায়, ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারি, বাবার কোন দোষ নেই। মায়ের সঙ্গে বাবার মিলছিল না। তাদের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই উচিত। কিন্তু আজ তারা দু'জনেই খুব ভাল বন্ধু। বাবা নিয়মিত আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করেন। এমনকি আর্থিক সাহায্যও করেন।
সময়ের পরিক্রমায় সোনি রাজদানের সঙ্গে পূজার সম্পর্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে সোনি রাজদানের দুই মেয়ে শাহিন ভাট এবং আলিয়া ভাটের সঙ্গেও পূজার বেশ ভালো সম্পর্ক। তবে পূজা আজও একটি বিষয়ে গর্বিত, মহেশ ভাট তাদের কাছ থেকে কখনও কিছু লুকাননি। সততার সঙ্গে শুরুতেই সব বলে দিয়েছিলেন।
সূত্র- আনন্দবাজার
এনএস