ডুবে যাওয়া ‘ওশানগেট’ নিয়ে সিনেমা, মুখ খুললেন জেমস
গেল মাসে আটলান্টিকের অতলে ডুবে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের দিকে যাত্রা করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয় ‘ওশানগেট’। সেই মিনি সাবমেরিনে থাকা পাঁচজন যাত্রীই নিহত হন। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে ১৮ জুন বিস্ফোরিত হয় সাবমার্সিবলটি।
ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে আলোচনা সৃষ্টির পাশাপাশি সিনেপ্রেমীদের মাঝেও তৈরি হয় এক ধরনের কৌতূহল। তাই এ ঘটনাকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার পরামর্শ দেন অনেকেই। একই সঙ্গে সেই আলোচনায় উঠে আসে অস্কারজয়ী নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের নামও।
তবে এই গুঞ্জন আর আলোচনা মোটেও পছন্দ করছেন না অস্কার বিজয়ী এই নির্মাতা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জেমস ক্যামেরন।
শনিবার (১৫ জুলাই) টুইটারে জেমস লিখেছেন, আমি সাধারণত মিডিয়াতে আপত্তিকর গুজবের প্রতিক্রিয়া জানাই না। তবে আমার এখন কথা বলা প্রয়োজন। আমি ‘ওশানগেট’ ফিল্ম নিয়ে আলোচনা একেবারেই পছন্দ করছি না। আমি কখনোই এই ফিল্ম তৈরিতে নিজেকে জড়াতে চাই না।
এর আগে, ১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’ সিনেমাটি নির্মাণ করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা চলচ্চিত্র হিসেবে বক্স অফিসে নিজের রাজত্ব ধরে রেখেছে এটি।
তাই সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ‘টাইটান’-এর দুর্ঘটনাটি নিয়েও অনেকে দাবি করছেন, একমাত্র জেমস ক্যামেরনই পারবেন ঘটনাটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে। মূলত এ কারণেই ডুবে যাওয়া ‘ওশানগেট’ নিয়ে সিনেমা নির্মাণে তার নাম উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ‘ওশানগেট’ বিস্ফোরণের সময় পাইলটসহ আরোহী ছিলেন বিলিয়নেয়ার ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার হামিশ হার্ডিং, বিলিয়নেয়ার ফরাসি সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নার্জেওলেট এবং পাকিস্তানি-ব্রিটিশ মাল্টি-মিলিয়নেয়ার টাইকুন শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান।
সূত্র : ভ্যারাইটি
মন্তব্য করুন