মাকে ছাড়া পূজায় ভালো নেই পূজা চেরি
শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবটি উদযাপনে ব্যস্ত রয়েছেন দেশের তারকারাও। ব্যতিক্রম নন ঢাকাই চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। এ বছরের পূজা কোথায়, কেমন কাটছে তা জানিয়েছেন এই নায়িকা।
পূজা চেরি বলেন, সবাই জানেন, মা (ঝর্ণা রায়) আমার সঙ্গে নেই। তিনি মারা গেছেন ছয় মাস হতে চলেছে। গতবারও মা আমার সঙ্গে ছিলেন। বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মা আমার হাত ধরে গেছেন। বিষয়টা এমন— আমি তার মা। ওই ব্যাপারটা আসলে রিকল হচ্ছে। এবার আসলে সেভাবে কোনো পরিকল্পনা নেই। নিজের জন্য একটা সুতাও কিনিনি। কিনবও না, কাজে ব্যস্ত থাকব।
এদিকে মন খারাপ থাকলেও প্রার্থনার জন্য পূজামণ্ডপে গিয়েছেন এই নায়িকা। উৎসবেও ব্যস্ত আছেন শুটিংয়ের কাজে। শুটিং ইউনিটের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।
আরটিভি /এএ /এসএ
মন্তব্য করুন
স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠোঁটকাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ সুপরিচিত আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন পোশাকের ব্যবসা নিয়ে। কিন্তু কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।
তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানালেন, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কারণ, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যদিও কি অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি।
এদিকে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেন, মাম্মি আমার তো ২ দিন পরে জন্মদিন! তুমি কি জানো!! প্লিজ ড্যাডিকে নিয়ে চলে আসো- সারফারাজ। কি উত্তর দিবো? ১৭ অক্টোবর ৫ বছর হবে সারফারাজের, ছেলের জন্মদিন নিয়ে কত প্ল্যান ছিল তার ড্যাডির, আমাকে রেখে লন্ডনে চলে যাবে কত হুমকিও দিলো। আল্লাহতালা উওম পরিকল্পনাকারী।
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তনি।
আরটিভি /এএ/এসএ
উপদেষ্টা নাহিদের সমালোচনায় যা বললেন সোহেল রানা
তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন ৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো নয়। আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন দিবসগুলো চাপিয়ে দিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্য গণমাধ্যমে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ভাই নাহিদ, যখন আপনাদের জন্মই হয়নি সেই সময়ের দেশ এবং নেতাদের নিয়ে কথা বলা আপনার জন্য বেমানান। আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে মঞ্চ নাটকের নন্দিত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নূনা আফরোজ মন্তব্য করেছেন, ‘এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে কীভাবে ৭১, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারে! তারা আসলে কারা?’
নূনা আফরোজ ছাড়াও অল্প সময়ে ওই পোস্টে শতাধিক মন্তব্য এসেছে। বেশির ভাগই সোহেল রানার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, ভিন্ন মতও রয়েছে বেশ কিছু।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ওই সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কি না? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।’
জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ৭ মার্চকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
৭ মার্চ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে, লড়াই রয়েছে। ইতিহাসের বহুমুখিতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।’
৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। আপাতত ৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চাইলেই আমলাতন্ত্র পুরো বাতিল করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধেই হতে পারে। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ সবার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া। জনগণের সমর্থন নিয়েই কাজ করছে সরকার।’
আরটিভি/এএ/এসএ
রামপুরা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রামপুরা থানার এস আই খান আবদুর রহমান বলেন, ‘মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কদিন তার বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি প্রতিবেশীরা। এক সময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ‘কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে মাঝে দীর্ঘদিন তিনি নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে ছিলেন।
আরটিভি/এমকে
জীবন আমাকে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে আমি নিরুপায়: তনি
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠোঁটকাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ পরিচিতি আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন পোশাকের ব্যবসা নিয়ে। কিন্তু কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।
তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানান, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কারণ, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামীকে নিয়ে দেশের বাইরে আছে তিনি। তবে কী অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি তিনি।
এদিকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে নিজের ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তনি। যেখানে তিনি লিখের, জীবনে কোনোদিন ভাবিনি আমি টাকার বিনিময়ে অন্য কোম্পানি বা ব্রান্ডের প্রমোশন করব, এ পর্যন্ত যতগুলো প্রোমোশন আমি করে দিয়েছি সম্পূর্ণ ফ্রি, কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না আমি একটি টাকাও কোনোদিন কারও থেকে নিয়েছি। টাকার লোভ আমার কখনোই ছিল না, এখনও নেই। আমি একজন উদ্যোক্তা, সবসময় নিজের কোম্পানির কাজ করেছি। সময় সুযোগমতো পারলে নতুন বা ছোট উদ্যোক্তাদের ফ্রিতে প্রোমোশন করেছি। যখন থেকে আমি পপুলার অনেক বড় বড় ব্রান্ড আমাকে লাইভ বা প্রোমোশনের জন্য বড় অংকের টাকা অফার করেছে, আমি সবসময় ফিরিয়ে দিয়েছি। আল্লার রহমতে আমার যে পরিমাণ ভিউ, চাইলে নিজের বিজনেসের বাইরে প্রোমোশন করে মাসে এক্সট্রা অনেক টাকা ইনকাম করতে পারতাম। টাকা আমাকে কখনো টানেনি, নিজের ব্যবসা থেকে যা আসে আমি সবসময় সন্তুষ্ট, আলহামদুলিল্লাহ। আমি বা আমার হাসব্যান্ডও কখনো চায়নি আমি নিজের ব্রান্ডের বাইরে অন্য কোথাও কাজ করি। কষ্ট করে সৎপথে নিজে যতটুকুই ইনকাম করেছি, তা ইনভেস্ট করে নিজের প্রতিষ্ঠান বড় করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও লিখেন, আপনারা জানেন গত রোজার ঈদের পর থেকে আমার ওপর দিয়ে কী কী যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকারের সাথে ঝামেলা, আন্দোলন, আমার বগুড়া শোরুম লুটপাট, বন্যা, দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা- সবমিলিয়ে বিজনেসর অবস্থা বেহাল। আজ জীবন আমাকে এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে, আমি নিরুপায়। নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্যাংককে ব্যয়বহুল ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যাওয়ার। এটা ঠিক কতদিন লাগবে একমাত্র আল্লাহতা’য়ালা জানেন। আমার অবর্তমানে আমার স্টাফরা দিনরাত চেষ্টা করচে প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে, তারপরও হিমসিম খেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় আমি ঠিক করেছি আমি জীবনের প্রথম শুধুমাত্র তিনটি কোম্পানির সঙ্গে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি বদ্ধ হব, তবে সেগুলো ডিফরেন্ট পণ্যের হবে।
জানি অনেকে জাজমেন্টাল হয়ে অনেক কথা বলবেন উল্লেখ করে তনি লিখেন, অনেকে গুজবও ছড়াবেন, তবে আপনাদের কথায় আমার কিছু করার নেই। হসপিটালের বড় অঙ্কের বিল আমাকেই পরিশোধ করতে হবে। আর একটা কথা, আমি কিন্তু কারও কাছে হাত পাতছি না বা সাহায্য চাচ্ছি না। আমি নিজের যোগ্যতায় পরিশ্রম করে কাজের বিনিময়ে টাকা নেব। আর আমি যেহেতু একজন উদ্যোক্তা, আমি জানি আমি কীভাবে প্রোমোশন করতে হয়, যে প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করব ইনশাল্লাহ তাকে লাভবান করিয়েই হালাল করে টাকা নেব, আল্লাহ ভরসা। প্লিজ দয়া করে উল্টোপাল্টা নিউজ করবেন না এমন যে টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে না সানভীস বাই তনির হাসব্যান্ডের।
আমি আত্মবিশ্বাসী, আমি পারব ইনশাল্লাহ, বাকিটা আল্লাহ জানেন। আর হ্যাঁ, অনেক হয়তো হিংসায় নিজের মনের জ্বলুনিতে বলবেন জামাই অসুস্থ এই সুযোগে টাকা কামানোর নতুন ধান্দা করছে তনি, যা খুশি বলেন, আমার কিছু আসবে যাবে না। আমি শুধু জানি এই পরিস্থিতি আমার একা সামাল দিতে হবে। আল্লাহ ভরসা।
প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তনি।
আরটিভি/এএ-টি
ভাই-বোনেরা চান শেষকৃত্য, মেয়ে চান দাফন
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিটিভিতে গেয়েছিলেন ‘কী ছিলে আমার’। যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর শিল্পীকে এনে দিয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এরপর মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার মণ্ডল জানান, শিল্পীর মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। কারণ, শিল্পী মনি কিশোর বেঁচে থাকতেই তার মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে বাবার মরদেহ দাফনের কথাই নাকি বলে গিয়েছিলেন।
সংগীতজীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানান বড় ভাই অশোক কুমার।
মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর রামপুরা থানার উপপরিদর্শক খান আবদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপাতত শিল্পীর মরদেহ মর্গে থাকবে। শিল্পীর মেয়ে দেশে ফিরলেই তার সিদ্ধান্তে যা হওয়ার হবে। অথবা দূতাবাসের মাধ্যমে কোনো চিঠি পাঠিয়ে যদি কাউকে দায়িত্ব দেন, তখনই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তাছাড়া তিনি যে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এ রকম প্রমাণাদি আমাদের সরবরাহ করতে পারলেও হয়। মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের ওসি (তদন্ত) শাহাদাত হোসেনের কথা হয়েছে।
ওসি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিন্তি চৌধুরী আমাদের কাছে একটা তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি, ওখানকার দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেন পাঠান। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তার বাবাকে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করতে। অন্যদিকে পরিবার, ভাই–বোনেরা চেয়েছিলেন হিন্দুধর্মমতে মরদেহের আনুষ্ঠানিকতা সারতে। দুই পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্যের কারণে একটা বিতর্ক ও জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই বিতর্ক ও জটিলতার অবসানে আমরা শিল্পী মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে উপস্থিত মরদেহ গ্রহণ না হলে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছি। এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
প্রসঙ্গত, ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের, যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা।
আরটিভি/এএ
প্রেমে মজেছেন রেদওয়ান রনি-সাদিয়া আয়মান
শোবিজে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে প্রেম করছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি ও অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। বেশ রাখঢাক করেই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গুঞ্জন যতই ডালপালা মেলুক না কেন, মুখ খুলবেন না এই জুটি। তবে এবার যেন সেই লুকোচুরি প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন দুজনেই। যদিও এখনও শুধু ইশারাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের এই খুনসুটি।
গত ২০ অক্টোবর ছিল রনির জন্মদিন। আর এদিনই নির্মাতার সঙ্গে সাদিয়ার প্রেমের খবর অনেকটাই স্পষ্ট হলো। জন্মদিন উদযাপনের জন্য এক ছাদের নিচে হাজির হয়েছিলেন শোবিজ তারকারা।
যেখানে ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেহজাবীন চৌধুরী, আদনান আল রাজীব, আশফাক নিপুন, এলিটা করিমসহ অনেকেই। তবে সবার মাঝে একটু বিশেষভাবেই নজর কেড়েছেন সাদিয়া। যাকে পরোক্ষভাবেই ‘প্রিয়তমা’বলেই সম্বোধন করলেন রনি।
ইতোমধ্যে জন্মদিন উদযাপনের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন রনি। ক্যাপশনে নির্মাতা লিখেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজ এবং ফোনকলে জন্মদিনের ভালোবাসা শুভেচ্ছা পেয়ে অভিভূত হয়েছি। প্রতিটি ইচ্ছা, সুন্দর শব্দ আর আন্তরিক ভালোবাসা আমার দিনটি বিশেষ করে তুলেছে।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নির্মাতা লেখেন, আমি সত্যি দুঃখিত, প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে উত্তর দিতে পারিনি। একইসাথে কৃতজ্ঞ, আমার চারপাশে এমন চমৎকার মানুষ থাকার জন্য।
এসবের মাঝে নিজের ‘প্রিয়তমা’-কে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রনি। তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো সারপ্রাইজ পার্টির পরিকল্পনা করার জন্য আমার প্রিয়তমাকে বিশেষ ধন্যবাদ! আমি খুব খুশি এবং প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ, আমাকে এত ভালোবাসা এবং প্রশংসা করার জন্য।
রনির সেই পোস্টে ভক্তরাও মন্তব্য কররেও একটি কমেন্টস বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। নির্মাতার উদ্দেশে সাদিয়া লিখেছেন, ‘আমার জীবনে যা পেয়েছি, তার মাঝে তুমি সবচেয়ে সেরা।’
এতে ভক্তদেরও বুঝতে আর বাকি রইলো না যে, প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাদিয়া-রনি। অনেকদিনের সেই গুঞ্জনই সত্যি। বলা যায়, নির্মাতা-অভিনেত্রীর মাঝের সমীকরণ বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নেটিজেনদের।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য দিতেই নারাজ তিনি। বরং প্রেমের বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
বিমান দুর্ঘটনায় কাজলের মৃত্যুর খবর শুনে যা হয়েছিল মা তনুজার
নব্বই দশক থেকে বড় পর্দায় কাজ করছেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। তার সাবলীল অভিনয় এখনও মুগ্ধ করে সিনেমাপ্রেমীদের। তবে যখন প্রচারে ছিলেন না সে সময় একই রকম উৎসাহ ছিল অভিনেত্রীকে ঘিরে। জনপ্রিয়তায় কখনই ভাঁটা পড়েনি তার।
এদিকে খ্যাতির যে বিড়ম্বনাও আছে সেটাও হাড়ে হাড়ে বোঝেন কাজল। একবার অভিনেত্রীর মায়ের কাছে ভুয়া ফোনকল আসে। বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মৃত্যু হয়েছে কাজলের! মেয়ের মৃত্যুর এমন খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রীর মা তনুজা মুখার্জি।
সম্প্রতি কপিল শর্মার শো-তে হাজির হয়েছিলেন কাজল। সেখানেই মৃত্যুর এই গুজব নিয়ে কথা বলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে একাধিকবার নিজের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে একবার বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যায়।
কাজল বলেন, প্রায় ১০ বছর আগের কথা, একবার মায়ের কাছে ফোন আসে বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মারা গেছি। ওই সময় নেটদুনিয়া সচল ছিল না। তাই আমি ফোন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল মাকে। খবরটি শুনে তখন খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল মায়ের।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্বামী অজয় দেবগন, মেয়ে নাইসা ও ছেলে যুগকে নিয়ে সুখেই দিন পার করছেন কাজল। সন্তান হওয়ার পর কাজ থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন কাজল।