জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ইমরানের
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল রোববার বিকেলে তিনি ওই অভিযোগ করেন।
ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, সীমান্তের ওপারে সাধারণ নাগরিকদের ওপর যে অত্যাচার চলছে এবং যে ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এই ঘটনার নিন্দা করি। এতে ১৯৮৩ কনভেনশনও লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক শান্তির পরিপন্থি। সেজন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বিষয়টিতে নজর দেয়া উচিত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের মানুষের ভোগান্তির দীর্ঘ কালরাত্রি অবসানের সময় এসেছে। নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তি মতো তাদের স্বতন্ত্রতার অধিকার দেয়া উচিত। কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানই খুলে দিতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তা রাস্তা।
সম্প্রতি পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে মধ্যস্থতা করার অনুরোধ করেছেন। তার ওই মন্তব্যে ভারতের জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিরোধীরা সংসদে সরকারকে চেপে ধরলে অবশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ওই ইস্যুতে সাফাই দিয়ে বলতে হয় প্রধানমন্ত্রী মধ্যস্থতার কথা বলেননি।
যদিও ট্র্যাম্পের ওই দাবির কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। সেটা করার এটাই সময়। কারণ ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপে নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। আঞ্চলিক সমস্যা এতে আরও বাড়বে।
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারিভাবে গত শুক্রবার পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রার তীর্থযাত্রীদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। চলমান উত্তেজনার মধ্যে সেখানে নতুন করে কমপক্ষে ৩৫ হাজার অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কাশ্মীর জুড়ে নানা গুজব-বিভ্রান্তিসহ চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আরো পড়ুন:
এ/পি
মন্তব্য করুন