হাফ বয়েল না পুরো সিদ্ধ, কোন ডিম খাবেন?
খরচ কম কিন্তু পুষ্টি বেশি। এজন্য গরিবদের ভরসা ডিম। ডিম এমনই এক খাবার যার স্বাস্থ্যগুণ সর্বজনবিদিত।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। মেদ নিয়ে ভয় থাকলে ডিম বাদ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং বেশ কিছু উপায়ে ডিম খেলে মেদের সঙ্গে লড়া যায় নির্বিঘ্নে। ভাজাভুজি এড়াতে ঘন ঘন পোচ বা অমলেটেও না বলুন।
যেভাবে ডিম খাবেন-
তেল নয়, পানি দিয়ে পোচ করে ডিম খান:
পোচ রাঁধুন পানি ও ভিনিগারের সাহায্যে। একটি পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে তাতে অল্প ভিনিগার যোগ করে পানিটা নেড়ে নিন। খুব সাবধানে প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ফেলুন পানিতে। তার ওপর ফেলুন ডিমের কুসুম। এমনভাবে কুসুম যোগ করতে হবে যাতে তা ভেঙে না যায়। খানিক পরে ডিমের সাদা অংশ ফুলে উটে ঢেকে দেবে হলুদ কুসুমকে। সাদা আস্তরণের ভিতর টলটল করবে কুসুম। ঝাঁঝরি হাতা দিয়ে পোচটিকে আলতো করে তুলে নিন পানি থেকে। তেল ছাড়া এমন পোচই বিশ্বে জনপ্রিয়। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। মেদ জমার ভয়ও থাকে না।
স্যালাদের সঙ্গে খান:
পালং, শশা, ব্রকোলি, সিদ্ধ করা গাজর, কড়াইশুটি, টমেটো-পেঁয়াজের স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে দিন সিদ্ধ ডিমের কুঁচানো অংশ। ওপর থেকে গোলমরিচ ছড়িয়ে লেবুর রস দিয়ে দিন। এতে গোটা ডিমের পুষ্টিগুণ যেমন মিলবে, তেমনই আবার সবুজ সবজি, শাক ও গাজরের প্রভাবে মেদ বাধা পাবে। ফলে ডিমে বাড়বে না ওজন।
আরও পড়ুনঃ
সূত্র- এই সময়
জিএ
মন্তব্য করুন