ঢাকাশনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

বিশ্বে রমজান উদযাপনে ইফতার ঐতিহ্য

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ০১ এপ্রিল ২০২২ , ১০:৫০ এএম


loading/img

মুসলিম বিশ্বের মহিমান্বিত মাস পবিত্র রমজান। ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস এটি। এই মাসকে ঘিরে রয়েছে নানা অনুষ্ঠান আর রীতিরেওয়াজ। রোজা রাখা, ইফতারের পর তারাবিহর নামাজ পড়া ইত্যাদি এসব আনন্দ-উৎসব করার মাধ্যমেও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় খুশির আমেজ।

বিজ্ঞাপন

মুসলিম বিশ্বে রমজান উদযাপনে ইফতার ঐতিহ্যের কয়েকটি দৃষ্টান্ত খাবারের তথ্য দেখে নেওয়া যাক—

image

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ
জিলাপি, মুড়ি, হালিম, খেজুর, সমুচা, ডালপুরি, পিঠা, আলু চপ, সিঙ্গারা, বেগুনী, পিয়াজু, ছোলা, ঘুগনি, আমিত্তি, বুন্দিয়া, নিমকি, পাকোড়া, খাজা, বাতাসাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকে বাংলাদেশি ইফতারে। বাঙালিরা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে ইফতার গ্রহণ করতে পছন্দ করে।

পাকিস্তান
বাড়িতে এবং রাস্তার পাশের দোকানে প্রায় তিন ঘণ্টা আগে ইফতার খাবারের প্রস্তুতি শুরু হয়। ইফতারের সময় জিলাপি, সমুচা এবং পাকোড়ার মতো সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। অনেক রেস্তোরাঁও এই সময়ে ইফতার খাবারের নানান অফার দেয়। চাঁদ রাতে স্থানীয় বাজারে প্রচুর ভিড় দেখা যায়।

5

বিজ্ঞাপন

ভারত
ভারতীয় মুসলমানরা মসজিদে আয়োজিত বিনামূল্যে ইফতার খাবার দিয়ে রোজা ভাঙে। খেজুর এবং পানি দিয়ে ইফতারের সূচনা করে। নিরামিষ এবং আমিষ উভয় ধরনের খাবারই থাকে টেবিলে। হায়দ্রাবাদে হালিমের সাথে তাদের রোজা ভাঙে স্থানীয় মুসলিমরা। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে, ইফতার শুরু হয় খেজুর, ফল এবং ফলের রস দিয়ে। তারপর ভাজা খাবারের আইটেম যেমন পাকোড়া এবং সমুচাও খাওয়া হয়।

মিশর
মিশরে ইফতার উদযাপনের সময় লোকেরা রঙিন ফানুস জ্বালায়। তারা হাঁস, রোকাক, মাহশি (ভর্তি সবজি), কেশক, খরগোশ এবং মোলোখেয়ার সুস্বাদু খাবার খান।

সৌদি আরব
সৌদি আরবের মুসলিমরা খেজুর, আরবি কফি, স্যুপ এবং ভাজা বা বেকড স্টাফড পেস্ট্রি দিয়ে তাদের রোজা ভাঙেন। পশ্চিমা অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফাউল এবং টেমিস, যা ফাভা বিন স্টু এবং টেমিস রুটির সংমিশ্রণ। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে, লোকেরা সালুনা নামে পরিচিত মাংস এবং উদ্ভিজ্জ স্টু দিয়েও সৌদিরা রোজা ভাঙে।

মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় ইফতারকে ‘বারবুকা পুয়াসা’ নামে বলা হয়। ঐতিহ্যবাহী খেজুর এবং পানি দিয়ে রোজা ভাঙার পর, লোকেরা বান্দুং পানীয়, আখের রস, ঘাস জেলির সাথে সয়াবিন দুধ, নাসি লেমাক, লাকসা, আয়াম পারসিক, চিকেন রাইস, সাতে এবং পপিয়া দিয়ে ইফতার করেন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |