গ্রিন টির যত উপকারিতা
ক্লান্তি দূর করতে আমরা চা পান করি। কিন্তু যদি গ্রিন টি পান করা হয় তাহলে ক্লান্তি দূরের পাশাপাশি আরও অনেক উপকারও পাওয়া যায়। দেখে নিন গ্রিন টি পান করলে যেসব উপকার পাবেন-
- হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
- কিডনি রোগের জন্য উপকারী।
- রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।
- এর লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে।
- পোকামাকড় কামড়ালে যদি ওই স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে গ্রিন টির পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়।
- ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
- কাটা জায়গায় গ্রিন টির লিকার লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
ডি/
মন্তব্য করুন
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, সুরক্ষায় যা করবেন
প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এদিন সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২৪১। বায়ুর এই মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
এদিকে, গতকাল সোমবার ও গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এক গণমাধ্যমকে বলেন, টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঢাকার বায়ুর মান ৩০০–এর বেশি আছে। কোনো এলাকায় টানা ৩ দিন ৩ ঘণ্টা ধরে একটানা বায়ুর মান ৩০০–এর বেশি থাকলে সেই এলাকায় স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত। ঢাকায় এখন যে অবস্থা, তাতে অবশ্যই জনসাধারণকে অন্তত জরুরি বার্তা দেওয়া উচিত দূষণ পরিস্থিতি সম্পর্কে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিন্দুমাত্র কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। মঙ্গলবার ঢাকার বাতাসের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি।
কিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
সুরক্ষায় করণীয়:
আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না।
ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
আরটিভি/এফআই
যে ডায়েটে নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন এই অভিনেত্রী
বলিউড অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিংয়ের অভিনয়ের পাশাপাশি ছিপছিপে মেদহীন চেহারার ফ্যান রয়েছেন অনেকেই। রাকুলের মতো টানটান মেদহীন চেহারা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। কিন্তু মেদহীন চেহারা চাই বললেই তো হল না। মেদহীন চেহারার জন্য কিন্তু প্রয়োজন কড়া ডায়েট। কী খেয়ে এই সুন্দর চেহারা ধরে রাখবেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসে নিজেই জানালেন এই অভিনেত্রী।
রাকুল জানান, তার দিন শুরু হয় গরম পানি দিয়ে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দারুচিনির পানি বা হলুদের পানি খান তিনি। পানির পরেই পাঁচটি ভেজানো বাদাম এবং একটি ভিজানো আখরোট খান রকুল।
তারপর স্পেশাল ঘি কফি খান অভিনেত্রী। এরপরেই সোজা শরীরচর্চার পালা। ওয়ার্কআউট শেষ করার ওপর নির্ভর করে, কখনও প্রোটিন স্মুদি আবার কখনও ভারী নাস্তা করেন রাকুল। নাস্তায় ডিমের পোহা বা স্প্রাউট চিলার খেতে বেশ পছন্দ করেন তিনি।
রাকুল বলেন, দুপুরের খাবার সাধারণত ভাত বা জোয়ারের রুটির সঙ্গে সবজি দিয়েই করেন তিনি। প্রোটিনের জন্য থাকে মাছ বা মুরগি। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে সন্ধ্যা ভোজন সারেন রকুল। সেই সময়ে প্রোটিন চিয়া পুডিং রকুলের পছন্দের খাবার।
তারপর দই দিয়ে ফল বা চিনাবাদাম মাখন টোস্ট খান তিনি। রাতের খাবার কিন্তু ঘড়ি ধরে সময় মতো খেয়ে নেন তিনি। বিশেষজ্ঞরাও তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করার পরামর্শ দেন সব সময়।
রাকুল জানিয়েছেন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ডিনার শেষ করার চেষ্টা করেন তিনি। এই সময়ে কিছু কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থাকে তার ডায়েটে। তবে তা বিকেলের ডায়েটের তুলনায় কম কার্বহাইড্রেট থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কড়া ডায়েট যদি কেউ মেনে চলতে পারেন তাহলে, তিনিও কিন্তু পেতে পারেন রাকুলের মতোই মেদহীন ছিপছিপে চেহারা।
আরটিভি/এফআই
ঘরোয়া উপাদানেই রাখুন চুলের খেয়াল
শীতে ত্বকের তো যত্ন নেবেন সঙ্গে চুলেরও যত্ন নিন। উজ্জ্বল, ঝলমলে চুল পেতে এর জন্য যে সব সময় কেনা হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে তা নয়। আপনার চারপাশে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা দিয়ে সহজেই ন্যাচরাল কন্ডিশনার তৈরি করে নিতে পারবেন। তাতে যেমন রাসায়নিকের ভয় নেই, তেমনই অতিরিক্ত টাকা খরচ হওয়ার চিন্তাও করতে হবে না।
জেনে নিন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ঝলমলে চুল পাওয়ার ন্যাচরাল কন্ডিশনার তৈরির নিয়ম:
কলার কন্ডিশনার: একটি কলার সঙ্গে তিন টেবিল চামচ মধু, তিন টেবিল চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম ভালো করে মিশিয়ে নিন একেবারে পেস্টের মতো করে। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখবেন তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। তাহলেই টের পাবেন উপকার।
ভিনিগার ও ডিমের কন্ডিশনার: দুই কিংবা তিনটা ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভিনিগার, ২ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। তারপর তাতে দেড় চা চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ মধু দিয়ে আবার মিশিয়ে নেবেন। মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুল তো মসৃণ হয়ই হেয়ার ফলও বন্ধ হয়।
নারকেল ও মধুর কন্ডিশনার: এক টেবিল চামচ নারকেলের তেল নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। তারপর শ্যাম্পু করা চুলে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলবেন। নারকেলের তেল চুলের গোড়া ভালো রাখে।
দইয়ের কন্ডিশনার: বাটিতে একটি ডিম নিয়ে ফেটিয়ে নিন। তাতে ছয় টেবিল চামচ দই মেশান। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলের পক্ষে খুব ভালো।
আরটিভি/এফআই
রাশমিকার সৌন্দর্যের সিক্রেট
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও, বলিউডেও তার পরিচিতি কম নয়। অল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করে এর আগেই নজর কেড়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘গুডবাই’ ছবির হাত ধরে সম্প্রতি বলিউডেও অভিষেক ঘটেছে নায়িকার। অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন রশ্মিকা মন্দানা। রাশমিকার ফিটনেসে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তার হাজারো নারী অনুরাগীদেরও।
শুধু কি ফিটনেস! রশ্মিকার ত্বকও যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। রূপটানহীন ত্বকেও উজ্জ্বলতার কমতি নেই তার। একটি সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা জানিয়েছেন, ত্বক যত্নে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দেন। যে খাবারগুলো থেকে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যথাসম্ভব সেগুলো এড়িয়ে চলেন। তেল-মশলাদার খাবার পাতে নেন না একেবারেই।
রাশমিকা মনে করেন রোগা থাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভেতর থেকে সুস্থ থাকা। সপ্তাহে চারদিন নিয়ম করে কিকবক্সিং, লাফদড়ি, নাচ, সাঁতার, যোগাসন করে থাকেন অভিনেত্রী। বিভিন্ন ধরনের কার্ডিও করেন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলে মাঝেমাঝে ওজন তুলতেও দেখা যায়। সবল পেশী তৈরিতেও সমান ভাবে মনোযোগী এই দক্ষিণী নায়িকা। তবে প্রতিদিন একই পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করার পরিবর্তে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করাতেই বেশি আগ্রহী তিনি।
শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করতে ভোলেন না রাশমিকা। নিয়মিত রূপচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বের করে নেন। ত্বক ভালো রাখতে বারোমাস সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও নিয়ম করে ত্বকে ভিটামিন সি সিরাম লাগাতে ভোলেন না। ত্বক ভালো রাখতে ময়শ্চারাইজার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিনের রূপরুটিনে নিজেও ময়েশ্চারাইজার রাখেন। শুটিংয়ের পর অনেকটা সময় নিয়ে মেকআপ তোলেন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঠিক নিয়মে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করেন নায়িকা।
এ ছাড়াও ত্বকের যত্নে রাশমিকা ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকার ওপর। ঠাকুমার বলে দেওয়া ফেস প্যাকেই ভরসা রাখেন নায়িকা। ভাত চটকে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেন ফেস প্যাক। ত্বকের যত্ন নিতে তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকেন। শাকসবজি, ফলের মতো খাবার বেশি করে খান তিনি।
রাশমিকা তার এই নির্মেদ চেহারা ধরে রাখতে শুধু যোগাসন বা নিয়ম করে ব্যায়ামই করেন না, পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়াও করে থাকেন। দক্ষিণী এই অভিনেত্রী তার সকাল শুরু করেন এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে। বেলা বাড়লে ফল, দু’টি সেদ্ধ ডিম এবং অ্যাপেল সিইডার ভিনিগার খান।
আরটিভি/এফআই
প্রচুর ফল খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন
ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু কোনও খাদ্যদ্রব্য খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়, তা ফল হলেও। অতিরিক্ত ফল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও ফল স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ধরা হয়। তবে ফল মানে প্রাকৃতিক চিনির উৎস। তাই ‘ন্যাচারাল ক্যান্ডি’ হিসেবে পরিচিত এই খাবার অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব পড়তেও পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা স্থূলতা, দাঁত এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। ওজন কমাতে বা সুস্থ থাকতে চাইলে শুধুমাত্র ফল না খেয়ে সম্পূর্ণ সুষম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা:
বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, অনেকেই দ্রুত ওজন কমাতে যতটা সম্ভব ফল খান। এটা ঠিক না। উল্টে, মনে করা হয় যে, অতিরিক্ত ফল খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ফলের মধ্যে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা স্থূলতা বাড়ায়।
বেশি ফল খেলে কী হয়:
খুব বেশি ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। খুব বেশি ফল খেলে পেট ফুলে যাওয়া, ডায়েরিয়া এবং হজমের সমস্যার মতো সমস্যা হতে পারে। ফলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা যা, স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। শুধু তাই নয়, ফলের মধ্যে পাওয়া প্রাকৃতিক অ্যাসিড এবং চিনি দাঁতের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। ফলের মধ্যে পাওয়া প্রাকৃতিক শর্করার অতিরিক্ত পরিমাণ শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্যও বেশি ফল খাওয়া ক্ষতিকর।
নির্দিষ্ট কিছু রোগীর ক্ষেত্রে যে রকম প্রভাব ফেলে:
‘প্রিডায়াবেটিস’ ও ‘ডায়াবেটিস’য়ে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আর ফলে প্রচুর পরিমাণে কার্ব থাকে।
‘টু-ডে ডায়াবেটিস ডায়েট’ বইয়ের মার্কিন লেখক ও পুষ্টিবিদ এরিন পালিনস্কি-ওয়েড এই বিষয়ে বলেন, যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে। বেশিরভাগ ফলই কার্বোহাইড্রেইটে পরিপূর্ণ তাই সামঞ্জস্যতা রক্ষাই হল প্রধান চাবিকাঠি।
পরিমাণের পাশাপাশি কোন কোন ফল ও খাবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত সেটা জানতে হবে।
পালিনস্কি-ওয়েড পরামর্শ দেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা দিনে একবেলার খাবার হিসেবে বা নাস্তায় ফল খেতে পারেন। তবে অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি বা তেল।
আবার যাদের ‘গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনল’ বা পেট ও অন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন তারা সকালে, দুপুরে বা রাতের খাবারের সময় ফল খেলেও জটিলতায় পড়তে পারেন। হতে পারে সেটা গ্যাসের সমস্যা বা ফোলাভাব।
পালিনস্কি-ওয়েড বলেন, আইবিএস’ সমস্যা একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়। তাই ফল খেয়ে জটিলতা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ফলগুলো বাজে প্রভাব রাখবে না, সেগুলো বাছাই করতে হবে।
দিনে কতটা ফল খাওয়া উচিত:
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির দিনে মাত্র ৪-৫টি ফল খাওয়া উচিত। ফল, সবজি, আস্ত শস্য, মটরশুটি, উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের পাশাপাশি আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আরটিভি/এফআই
শীতে যে চারটি বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস শরীর উষ্ণ রাখবে
সারাবছরই কয়েকটি বাদাম এবং খেজুর নিয়মিত খাওয়া ভালো। নিয়মিত দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে অনেক এনার্জি পাবেন আপনি। তবে অন্যান্য মৌসুমে না খেলেও, শীতকালে অবশ্যই খেতে হবে চারটি বাদাম।
তালিকায় কোন কোন বাদাম রয়েছে এবং কেন সেগুলো খাওয়া জরুরি, জেনে নিন—
খেজুর- ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবে জনপ্রিয় খেজুর। নিয়মিত দুই-তিনটি খেজুর খেলে ভরপুর এনার্জি পাবেন আপনি। পানিতে ভিজিয়ে খেজুর খেতে পারলে উপকার সবচেয়ে বেশি। শীতকালে খেজুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় থাকবে। এছাড়াও যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তাই এই ড্রাই ফ্রুট খেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। হজমশক্তি ভালো করতেও বেশ ভালো কাজ করে ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর।
আমন্ড- প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি বাদাম খান। আগের দিন রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। তাহলে আর পেটের সমস্যা বা আমন্ড হজম করতে অসুবিধা হবে না। শীতকালে নিয়মিত আমন্ড খেতে পারলে সারাদিন ভরপুর এনার্জি পাবেন আপনি। ফলে কাজ করলে ক্লান্তি আসবে না সহজে। আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন।
আখরোট- প্রতিদিন আখরোট খেতে পারেন, কিন্তু দুইটা বা তিনটার বেশি নয়। মস্তিষ্ক সজাগ এবং প্রখর রাখতে আখরোট খাওয়া উচিত। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে আখরোটের মধ্যে। আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো করতেও কাজে লাগে আখরোটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। হেলদ ফ্যাট থাকার কারণে শীতের দিনে আখরোট খেলে শরীর গরম থাকবে। এছাড়াও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আখরোট। এটি একটি হেলদ স্ন্যাক্স।
কাজুবাদাম- কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শীতকালে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য কাজুবাদাম খেতে পারেন শীতকালে। তবে পরিমাণে তিন থেকে চারটি, তার বেশি নয়। কাজু যে খেতেই শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয়। শীতের মৌসুমে আপনার শরীর গরম রাখতেও কাজে লাগে এই বাদাম।
আরটিভি/এফআই
ঘুরতে যাওয়ার আগে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
শীত মানেই ভ্রমণের মৌসুম। ভ্রমণ পিপাসুরা এই মৌসুমেই ঘুরতে বারবার ছুটে ছুটে যায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে। সারদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুরতে গিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত খাওয়া দাওয়ার উপরেও। উলটো পালটা খেলে কিন্তু শরীর খারাপ হতে বাধ্য, তখন পুরো ট্যুরটাই নষ্ট।
জেনে নিন ঘুরতে গিয়ে ফিট থাকতে কী কী রাখবেন ডায়েটে:
ব্যাগ গোছানোর সময় শুকনো খাবার সঙ্গে নিতেই হবে। ড্রাই ফ্রুটস (যেমন -কাজু, কিশমিশ, পেস্তা বা আখরোট), কেক, বিস্কুট, চিঁড়ে ভাজা, মুড়ি, ছোলা ভাজা বা রোস্টেড মাখানার মতো খাবার নিতে পারেন। ট্রেকিং-এ গেলে সঙ্গে চকোলেট রাখতে পারেন। এতে এনার্জি পাওয়া যায়।
বেড়াতে গিয়ে অনেকেই সেখানকার স্ট্রিট ফুড বা স্থানীয় খাবার খেতে ভালবাসেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে পাহাড়ি মোমো বা চাউমিনের বেশ কদর রয়েছে। তবে না বুঝে উলটো পালটা জায়গা থেকে খেয়ে পেটের অবস্থা খারাপ যেন না হয়। স্থানীয় খাবার শরীরে সহ্য নাও হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
বেড়াতে গিয়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। দীর্ঘক্ষণ বাস, গাড়ি কিংবা ট্রেনে থাকতে গেলে হালকা খাবার খান। এছাড়া বেড়াতে গিয়ে তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে পেট ফোলা, গ্যাসের সমস্যা এড়াতে পারেন। ভাজাভুজি খাবারও এড়িয়ে চলুন।
সারাদিন রাস্তায় ঘুরেও ফিট থাকতে হলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা ভীষণ জরুরি। সঙ্গে পানির বোতল রাখতে ভুলবেন না। পানি খেতেই হবে। পানির পাশাপাশি ফলের রস খেতে পারেন, এতে এনার্জি পাবেন।
বেড়াতে গিয়ে খাবার খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। অনেকে লাঞ্চ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু চেষ্টা করুন সঠিক সময়ে খাবার খেয়ে নেওয়ার। প্রয়োজনে ভরপেট ব্রেকফাস্ট করুন। আর সঙ্গে শুকনো খাবার রাখুন।
বেড়াতে গিয়ে ভালো থাকুন:
অনেকেরই নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। কোনো ওষুধ রোজকার, কোনোটি সাপ্তাহিক। কোনোটি আবার প্রয়োজন হয় মাঝেমধ্যে। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল তো বটেই, ইনহেলার বা ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় অনেকের। এই ওষুধগুলো সঙ্গেই রাখুন। কিছু ওষুধ (যেমন ইনসুলিন) নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। সেটির ব্যবস্থাও করতে হবে অবশ্যই। দেশের বাইরে গেলেও ওষুধ সঙ্গে রাখা ভালো, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও সঙ্গে নিয়ে নিন দেশের বাইরে যাওয়ার সময়।
প্রাথমিক চিকিৎসার টুকিটাকি রাখুন নিজের সঙ্গেই।
সঙ্গে বাড়তি মাস্ক রাখা ভালো। জীবাণু ও ধুলাবালু থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক যে কতটা প্রয়োজন, তা বোধ হয় নতুন করে আর বলার দরকার নেই। যেখানে–সেখানে মাস্ক ফেলবেন না।
নিয়মমাফিক হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির আদবকেতা মেনে চলা, যেখানে–সেখানে কফ-থুতু না ফেলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এমন জায়গায় না যাওয়াই ভালো, যেখানে খুব বেশি ভিড়।
আবাসিক হোটেলের কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন অবশ্যই। আলো-বাতাস প্রবেশ করে, এমন কক্ষ বেছে নেওয়া ভালো।
যেখানে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, যেমন বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুবাহী মশা রয়েছে, সেখানে মশার কামড় থেকে বাঁচতে কিছু আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ফুলহাতা পোশাক মশার কামড় থেকে কিছুটা সুরক্ষা তো দেবেই। এ ছাড়া মশা প্রতিরোধী সামগ্রী ব্যবহার করুন। তবে শিশুদের এমন সামগ্রী দেওয়ার আগে জেনে নিন, সেটি শিশুর উপযোগী কি না। কিছু কিছু পণ্য তিন বছর বয়স হওয়ার আগে প্রয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
শরীরের ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করে অল্প সময়ে অনেক জায়গা ঘুরে আসার প্রবণতা ভালো নয়। ‘অমুক জায়গায় সবাই ছবি তোলে বলে আমাকেও সেখানে যেতেই হবে’—এমন ভাবনা মনে ঠাঁই দেবেন না।
অত্যন্ত দুর্গম এলাকার দুর্লভ সৌন্দর্য দেখার আশায় নিজের জীবন ও সুস্থতাকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। ঝোপ-জঙ্গলে ঢোকার ক্ষেত্রেও সাবধান। বেড়াতে গিয়ে অবশ্যই সেখানকার স্থানীয় দিকনির্দেশনা মেনে চলুন।
বেড়াতে গিয়ে মনের যত্ন নিতে ভুলবেন না। হাসি-আনন্দে সময় কাটান। বিষণ্নতাকে জায়গা দেবেন না। ব্যস্ততাকে ছুটি দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কম দিন, সম্ভব হলে ‘ছুটি’ নিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও। কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। মন ভালো থাকবে।
বেড়াতে গিয়ে আপনি কোনো জায়গা অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রেখে আসছেন না কিংবা পরিবেশের ক্ষতি করছেন না—এগুলোও খেয়াল করুন। এটি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে।
আরটিভি/এফআই