মিশরের জনপ্রিয় খাবার হাওয়াশি
হাওয়াশি, মিশরের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। এই খাবারটি অনেকটা তুরস্কের লামাকুন পিৎজার মতো। এটি মূলত রান্না করা গরুর মাংস কিমা করে পেঁয়াজ এবং মরিচ দিয়ে মাখিয়ে আরবীয় ময়দার ডোর মধ্যে দুই স্তরে সাজিয়ে স্যান্ডউইচের মতো করে কাঠের চুলায় ঝলসানো হয়। এরপর এটি মাঝখানে কেটে টুকরো করে বিক্রি করা হয়।
এটি মিশরের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড। তবে হাওয়াশি মিশরের বিভিন্ন ভালো মানের রেস্টুরেন্টেও পাওয়া যায়, সেখানে অবশ্য মাঝখানে না কেটে আস্তই পরিবেশন করা হয়। কায়রোর বিভিন্ন রাস্তায় জনপ্রিয় এই খাবারটি পাওয়া যায় এবং কায়রো গেলে এই খাবারটির স্বাদ নিতে কখনই ভুলে যাবেন না।
সূত্র: ড্রিমসটাইম
এস/এম
মন্তব্য করুন
যে লক্ষণে বুঝবেন প্রাক্তন জীবনে আবার ফিরতে চাচ্ছে
সম্পর্ক নেই বহু দিন হয়ে গিয়েছে, ব্রেকআপ মিউচুয়াল ছিল না। কিন্তু আপনি জীবনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। প্রাক্তনকে হয়তো সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাননি। কিন্তু তার কথা খুব একটা মনেও পড়ে না। অতীত সবারই থাকে। কিন্তু সেই অতীতকে, অতীতের মানুষের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বর্তমানে ভালো থাকাটা কঠিন। বিশেষ করে যেকোনো প্রেমের সম্পর্কেই নিজের প্রাক্তনকে ভুলতে না পারা, বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে থেকেও প্রাক্তনের স্মৃতিতে ডুবে থাকার মতো সমস্যা একসঙ্গে দুজন মানুষকে অসুখী করে ফেলতে পারে।
জেনে নিন লক্ষণগুলো—
বন্ধুদের থেকে খবর নেওয়া: আপনার বন্ধুদের থেকে আপনার খবর নেওয়ার অর্থ সে আপনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। হঠাৎ করে আপনার বন্ধু বা আত্মীর পরিজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হলেই আপনার খবর নিচ্ছে। আপনি কেমন আছেন, কী করছেন, আপনার জীবনে কী চলছে—এই ধরনের খবর নিলে বুঝবেন প্রাক্তন আপনার জীবনে ফিরতে চাইছে।
সিঙ্গেল থাকা: ব্রেকআপের পর যদি মানুষটা সিঙ্গেল থাকে, বুঝবেন সে আপনাকে সত্যি তার জীবনে চায়। পাশাপাশি আপনার দেওয়া গিফট যদি সযত্নে রেখে দেয়, আপনাকে সম্মান দেয় এবং আপনি যাতে কষ্ট না পান, সেই মতো কাজ করা কিংবা আপনাকে খুশি রাখতে চাওয়া—এগুলোই বলে দেয় যে প্রাক্তন এখনও আপনাকে ভালোবাসে। সেই কারণেই আবার আপনার জীবনে ফিরতে চায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করা: হঠাৎ করে দেখলেন আপনার প্রাক্তন আপনাকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আনব্লক করে দিয়েছে। পাশাপাশি আপনার স্ট্যাটাস সিন করছে। নিয়মিত আপনার পোস্টে লাইক দিচ্ছে। এমনকী কমেন্ট করেছে মাঝেমধ্যেই। আপনি কখন কী পোস্ট করছেন, সব নজরে রয়েছে তার।
ক্ষমা চাওয়া: হঠাৎ করে আপনাকে টেক্সট করছেন তিনি। আপনাকে দেখা করার জন্য জোর করছেন। এমনকী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইছেন। এমন কিছু হলে বুঝবেন আপনার প্রাক্তন আবার নতুন করে সম্পর্ক শুরু করতে চাইছে আপনার সঙ্গে। অতীতে যা কিছু ঘটেছে তা সব ভুলে আবার নতুনভাবে শুরু করতে চাইছেন সব কিছু।
আরটিভি/এফআই
পুরুষদের খাদ্যতালিকায় ৪০ এর পরে যেসব খাবার রাখতেই হবে
অফিস, সংসারের দায়িত্ব, বাইরের কাজ— সব কিছু সামলে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় সবসময় থাকে না। কিন্তু একটি বয়সের পর মহিলা এবং পুরুষ, উভয়েরই নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি নজর রাখা উচিত। পুরুষরা অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পুষ্টির চাহিদারও পরিবর্তন হয়। দেহের শক্তি কমতে থাকে এবং বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
বাইরে থেকে পুরুষদের সুস্থ এবং সবল দেখালেও, অনেকেই আছেন যারা ভিতরে ভিতরে বেশ দুর্বল। কম বয়সে শারীরিক সমস্যা তেমন না দেখা গেলেও, বার্ধক্যে এর প্রভাব পড়ে। তাই বয়সকালে সুস্থ থাকার প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। বিশেষ করে ৪০-এ পা রেখেই নিজের খাদ্যতালিকার দিকে নজর দিন। পাতে রাখুন এইসব খাবার।
চর্বিযুক্ত মাছ: মোটা তেলযুক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই রোজকার পাতে রুই, ইলিশ, পমফ্রেট, পাঙাশ, কাতলা, আর, বোয়াল মাছ রাখার চেষ্টা করুন।
সবুজ শাকপাতা: পালং, পুঁই, কলমি, বাধাকপি, লেটুশ ইত্যাদি যত রকম শাকপাতা পারবেন, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি শরীরের ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর ঘাটতি মেটায়, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। এর ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আস্ত শস্য: গম, ব্রাউন রাইস, যব, ওটস্, কুইনো ইত্যাদি গোটা শস্যগুলি ফাইবার এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ। হজমশক্তি বাড়াতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টরল কমাতে এগুলি সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ: ব্রেকফাস্ট কিংবা বিকেলের স্ন্যাকসে আমন্ড, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্লেক্সসিড ইত্যাদি রাখুন। এগুলি শরীরকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন সরবরাহ করে। আখরোটে রয়েছে উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
প্রতিদিন ফল খান: প্রতিদিন অন্তত একটা করে হলেও ফল খান। আপেল, পেয়ারা বা কোনও সিজ়নাল ফ্রুট কামড়ে খান। পাতে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, আঙুল, বেদানার মতো ফলও।
টমেটে: পাতে রাখুন টমেটো। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই সবজি প্রস্টেটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো। পাশাপাশি হার্টের পক্ষেও এটি উপকারী।
চর্বিহীন প্রোটিন: রেড মিট বন্ধ করে মুরগির মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান। খাদ্যতালিকায় রাখুন মুসুর ডাল, ছোলা ইত্যাদি। পেশীর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিপাকক্রিয়ার পক্ষে এগুলি উপকারী। ডিমে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং কোলিন। বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য একটি অপরিহার্য খাবার।
কপি জাতীয় সবজি: সবুজ শাকসবজি ছাড়াও নিয়মিত ফুলকপি, ব্রোকোলি, ব্রাসেলস্ স্প্রাউট, বাঁধাকপি ইত্যাদি খান। এই সবজিগুলিতে গ্লুকোসিনোলেট নামে একধরনের যৌগ রয়েছে, যা পরোস্টেট ক্যান্সার সহ একাধিক ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, শরীরের প্রদাহ কমায়।
ডার্ক চকোলেট: সাধারণ চকলেটের পরিবর্তে খান ডার্ক চকলেট। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ এই চকলেট রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মাঝারি পরিমাণে ডার্ক চকলেট রক্তচাপ কমাতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে মানুষের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
শীতের শুরুতেই গোড়ালির ফাটলরোধে ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়ায় এখন হালকা শীত শীত ভাব। এই সময়ে ফাটা ঠোঁট আর ফাটা গোঁড়ালির সমস্যায় নাজেহাল হন অনেকেই। কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময়ে পার্লারে গিয়ে পায়ের পরিচর্চার করার সময় হয় না। অথচ বাড়িতেই মিনিট পাঁচেক খরচ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন পায়ের ফাটা দাগ দূর করার ঘরোয়া টোটকা।
পেট্রোলিয়াম জেলি: ঠোঁট হোক বা গোড়ালি, শীতকালে ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ দেয় পেট্রোলিয়াম জেলি। প্রতিদিন গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখলে পা ফাটার সমস্যা এড়াতে পারবেন। তবে অবশ্যই রাতে শোয়ার আগে এটি মাখুন। আর পরের দিন সকালে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। না হলে গোড়ালিতে নোংরা জমে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
মাউথওয়াশ: ১ ভাগ মাউথওয়াশের সঙ্গে ২ ভাগ জল মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। মাউথওয়াশ পায়ে থাকা সমস্ত জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখলে চামড়া শুকিয়ে যায় না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের তলায় নারকেল তেল মালিশ করুন। টানা কয়েক সপ্তাহ পায়ে নারকেল তেল মালিশ করলে পা ফাটার সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন। সঙ্গে পায়ের গোড়ালিও হবে ঝকঝকে।
মধু: পা ফাটার সমস্যা দূর করতে মধুকেও কাজে লাগাতে পারেন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালিকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
কলার খোসা: ফাটা গোড়ালির উপর কলার খোসা ঘষতে পারে। এছাড়া কলার মেখে নিয়ে ফাটা অংশের উপর লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কলা গুণেও পায়ের চামড়া ভালো থাকবে।
আরটিভি/এফআই
শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সেরা ৭ খাবার
শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। অনেকেই শারীরিক দুর্বলতার কারণে শীতে নিজেকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন এবং বিভিন্ন খাবারের ওপর নির্ভর করেন। তবে কিছুদিন পর দেখা যায়, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
শীতে শারীরিক দুর্বলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাইট্রাস ফল, রসুন, দই ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এই বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলুন তাহলে একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
হলুদ: হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী সমৃদ্ধ। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি জোগায় এবং লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্লান্তি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা: প্রাচীনকাল থেকেই নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রদাহবিরোধী হিসেবে বিশেষ কার্যকারী। আদা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজতর করে।
রসুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রসুন একটি অতি কার্যকরী উপাদান। এতে থাকা অ্যালিসিন, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
গ্রিন টি: গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য প্রসিদ্ধ, বিশেষ করে এতে থাকা ক্যাটিচিন উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে সজীব রাখে। ক্যাফিন শরীর ও মনকে চাঙা করার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও ভাল রাখতে সহায়তা করে। পরিমিত পরিমাণ গ্রিন টি পানে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পালং শাক: এই শাকে ভিটামিন সি, ই, এবং বিটা-ক্যারোটিনসহ নানা খনিজ রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে সহায়তা করে। পালং শাকের আয়রন রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
দই: দই হলো ভালো ব্যাকটেরিয়ার একটি পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর উৎস। এর মধ্যে যুক্ত ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যে উপকারী। সুস্থ অন্ত্রের জন্য ইমিউন সিস্টেম জরুরি, আর দই সেই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
সাইট্রাস ফল: লেবু, মোসাম্বি, কমলা, এবং আঙুর সাইট্রাস ফলের অন্তর্ভুক্ত। এই ফলগুলো ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এ খাবারগুলো আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আরটিভি/এমএসআর/এস
আজ ‘প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরা দিবস’
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলেই ভারি বুক হালকা হয়, কিংবা মনটা একটু বেশিই চনমনে হয়ে ওঠে—এ কথা অস্বীকার সুযোগ নেই। জড়িয়ে ধরা কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং সংযোগের প্রতীক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আলিঙ্গন মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে, সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে এবং সুখ বাড়াতে সহায়তা করে।
প্রিয়জনকে কম-বেশি সবাই-ই জড়িয়ে ধরি। এই জড়িয়ে ধরাটা বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।
আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন বা ‘লেটস হাগ ডে’। এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয়, সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
যতদূর জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন।
দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা; যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।
জানলে অবাক হবেন, আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট একাডেমিক পাবলিশিং কোম্পানি প্রকাশিত সেজ জার্নালস চার শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষকেরা সেখানে দেখেন, আলিঙ্গন কোনো ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করতে পারে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আলিঙ্গন পেয়েছেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম ছিল।
হয়তো আদিকাল থেকেই মানুষের মধ্যে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের আনন্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কতটা মধুর। যেভাবেই দিবসটির শুরু হোক না কেন, আজও এটি বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিদ্যমান।
মজার বিষয় হলো, জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন একটি সর্বজনীন ভালোবাসার প্রকাশ। যখন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অভিবাদনের ধরন পরিবর্তিত হয়, যেমন—করমর্দন, নমস্কার বা হাই-ফাইভ, তখন আলিঙ্গন প্রায় সব সংস্কৃতিতেই ভালোবাসা ও সংযোগ প্রকাশের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। মানুষের সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলিঙ্গন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশুরা ছোটবেলায় আলিঙ্গন বা স্নেহলাভ পায় না, তারা সাধারণত সুস্থ এবং ভালোবাসা-ঘেরা শিশুদের মতো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না।
তবে কেবল শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও আলিঙ্গনের সুফল পেতে পারে। আসলে, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে আলিঙ্গন কেবল মানসিক ও আবেগগত দিক থেকেই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও উপকারী।
তাই লজ্জা নয়—প্রস্তুত হন এবং ‘জড়িয়ে ধরা দিবস’-এ কাউকে জড়িয়ে ধরুন!
সূত্র্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার
ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি
লিভার বা যকৃতে অল্প চর্বি থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিষয়টি লিভার ক্যানসার ও সিরোসিসের দিকে যেতে পারে।
হাঁটু এবং পিঠে ব্যথার কারণে বছরখানেক আগে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন ইয়ানিক ফ্যাশার। সেই সময় তার লিভার পরীক্ষা করা হলে ডা. ফ্রিডহেল্ম জাইক তাকে জানান, তার ফ্যাটি লিভার রোগ হয়েছে৷
ফ্যাশার জানতেন, তার ওজন বেশি। ১.৮০ মিটার উচ্চতার ফ্যাশারের ওজন ১৩০ কেজি ছিল। তবে লিভারের সমস্যা তাকে অবাক করেছিল।
ডা. ফ্রিডহেল্ম জাইক বলছেন, আগামী বছরগুলোতে আমরা এই সমস্যা আরও বেশি দেখবো- ফ্যাটি লিভার, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে। এটা আমাদের ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারগুলোর জন্য উদ্বেগের। ফ্যাশার নিশ্চিতভাবেই সেদিকে এগোচ্ছেন। ফ্যাটি লিভারের কারণে ক্যানসার ও সিরোসিস হতে পারে। এক পর্যায়ে ট্রান্সপ্ল্যান্টই একমাত্র সমাধান হতে পারে। ফ্যাশার সেটি এড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা হলো, ফ্যাটি লিভারের জন্য কোনো ওষুধ নেই।
ডা. জাইক বলেন, ফ্যাটি লিভারের জন্য কোনো পিল নেই৷ অনেক গবেষণা চলছে, কিন্তু এখনও প্রমাণিত কোনো চিকিৎসা নেই। তাই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনাই এখন পর্যন্ত একমাত্র সমাধান।
ফ্যাশারের কাছে জীবনযাপন পরিবর্তন মানে ওজন কমানো। এখন তিনি নিজের জন্য অনেক সবজি রান্না করেন। আগে অনেক ফাস্ট ফুড খেতেন। ফ্যাশার বলেন, ওজন কমানো শুরু না করলে কী হতে পারে সেটা যখন ডা. জাইক ব্যাখ্যা করেছিলেন তখন সত্যিই আমার চোখ খুলে গিয়েছিল। আমার বয়স ত্রিশের দিকে ছিল, জীবনের অর্ধেক তখনও বাকি। তাই মনে হয়েছিল, এখন না হলে আর কখন? তাই শুরু করেছিলাম৷ ফ্যাশার শুধু খাওয়ার মেন্যু পরিবর্তন করেননি, খাওয়ার সময়ও বদলেছেন।
তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করেছিলেন- অর্থাৎ দিনের প্রথম খাবারটা ছিল দুপুরে। এভাবে ২৫ কেজি কমিয়েছেন।
ডা. জাইক বলেন, ওজন কমানো ও জীবনযাপনে পরিবর্তন করাকে ম্যারাথন হিসেবে ভাবাটা গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্য অনেক স্ট্যামিনার প্রয়োজন হয়। এটা এমন বিষয় হওয়া উচিত নয় যেটাতে আপনি দ্রুত ওজন কমানোর পর আবার দ্রুত ওজন বাড়ান।
ফ্যাশার আশা করছিলেন যেন তার লিভারের সমস্যা দূর হয়, তবে তিনি পার্থক্য অনুভব করতে পারছিলেন না। এক বছর পরে ফলোআপের সময় তিনি জানতে পারেন, ওজন কমানোর কারণে তার লাভ হয়েছে। লিভারে চর্বি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। ফ্যাশার তার লিভার ক্যানসার ও সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়েছেন। ওজন যেন আবার না বাড়ে সেজন্য নতুন জীবনযাপন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি।
শীতে জুতো পরলে মোজায় গন্ধ, সমাধানে রইল টিপস
ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে দেশে নেমেছে শীত। আর এই সময় মোজা দিয়ে জুতা পরায় অনেকের পায়েই দুর্গন্ধ হয়। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকার কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। শীতে পা ঘামার বড় কারণ পা ঢাকা জুতা পরা। তবে শুধু ঘামের জন্যই যে দুর্গন্ধ হয়, তা নয়। পায়ে দুর্গন্ধ হওয়াকে বলা হয় ব্রোমোডোসিস।
এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন জেনে নিন—
১) শীতকালেও অনেকের পা ঘেমে যায়। তাই পায়ের যত্ন নিন সবার আগে। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরে উষ্ণ পানিতে লবণ ফেলে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
২) প্রতিদিন মোজা ধুয়ে নিন। পারলে ডেটল পানি ব্যবহার করুন, কিংবা একাধিক মোজা কিনে মাঝে মধ্যে বদলে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা মিটবে।
৩) ভুলেও গন্ধ মোজায় পারফিউম স্প্রে করবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
৪) মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে নিন। একটু বেকিং সোডা হাতে নিয়ে ভালো করে পায়ে ঘষে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা দূর হবে।
৫) বাড়িতে ফিরে জুতার মধ্যে কিছুটা পরিমাণ কাগজ ঢুকিয়ে রাখুন। এতে জুতার মধ্যে হওয়া দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬) সপ্তাহে একবার জুতা রোদে দিন। এতে জুতাও ভালো থাকবে এবং দুর্গন্ধও হবে না। প্রয়োজনে জুতার মধ্যে ন্যাপথোলিন রাখতে পারেন।
আরটিভি/এফআই