নতুন বছরে খাওয়া-দাওয়ার ভরপুর পরিকল্পনা থাকলে শরীরকে আগে থেকে একটু ‘ডিটক্স’ করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে যেমন হজম ভাল হবে, তেমনই গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। আর এই ডিটক্সের জন্য বাজারের সফট ড্রিংকস নয়, বরং ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়ই হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী।
ডিটক্স কী এবং কেন প্রয়োজন?
পুষ্টিবিদদের মতে, “ডিটক্সিফিকেশন মানে শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া। প্রতিদিনের খাবার ঠিক মতো হজম না হলে বা অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, ভাজা খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শরীরে ক্ষতিকর টক্সিন জমে যায়। অ্যালকোহল বা ওষুধের উপাদান থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। এগুলোকে শরীর থেকে দূর করতে ওষুধ নয়, ভেষজ উপাদান দিয়ে ডিটক্স করাই ভাল।” তবে সব ধরনের ডিটক্স পানীয় সবার শরীরে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই জেনে-বুঝে পান করাই ভাল।
ঘরোয়া কিছু কার্যকর ডিটক্স পানীয়
শসা-লেবুর ডিটক্স পানীয়
- শসার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে নিন।
- পাতিলেবুও ছোট করে কেটে নিন।
- কাচের পাত্রে পানি নিয়ে শসা ও লেবু ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত।
- চাইলে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
- সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।
পুদিনা-মশলার ডিটক্স পানীয়
- পুদিনা ও ধনে পাতা, সঙ্গে আদা, দারুচিনি, আস্ত হলুদ, লবঙ্গ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
আমলকির রস
- আমলকি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
- অল্প পানি মিশিয়ে নিন। যোগ করুন গোলমরিচ গুঁড়া ও বিট লবণ।
- এই পানীয় হজমের সমস্যা দূর করে, বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
জোয়ান-জিরার পানি
- দুই কাপ পানিতে ১ চা চামচ জোয়ান ও ১ চা চামচ আস্ত জিরা দিয়ে কম আঁচে ফুটিয়ে নিন।
- নামিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ, তারপর ছেঁকে পান করুন।
- গ্যাস, অম্বল ও অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে কার্যকর।
ধনে-পুদিনা পাতার রস
- একমুঠো ধনে ও পুদিনা পাতা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
- ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন।
- চাইলে সামান্য মধু ও লেবুর রস মেশাতে পারেন।
নতুন বছরে পেট থাকুক ঠিকঠাক, আর আনন্দেও যেন ভাটা না পরে। তাই খান, মজে খান, আর শরীরেরও খেয়াল রাখুন এই সহজ কিছু ডিটক্স পানীয় দিয়ে।
আরটিভি/জেএম