ঢাকাশুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪ , ০৭:১৪ এএম


loading/img
ছবি : আরটিভি

বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ার ঘটনায় ভারতকে দায়ী করে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে নূরে তামীম স্রোতের সঞ্চালনায় বক্তারা ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানান। পাশাপাশি ডুম্বুর গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে প্লাবিত করার প্রতিবাদ জানান।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতি ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপসী প্রাপ্তি বলেন, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার মতো মোদি একই ধরনের ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে ভারতে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর লাশের কথা জনগণ ভুলে নাই। কোন ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশের বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। একইভাবে টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার একইভাবে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর জুলুম চালাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে খুনি ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে, তেমনিভাবে মোদিকেও সে পথে যেতে বাধ্য করা হবে।

প্রত্নতত্ত্ব ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, প্রতিবেশী ভারত আমাদের সব ধরনের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। অসংখ্য চুক্তি করে আমাদের পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে যখন রামপালের মতো বিদ্যুৎকেন্দ্র করার পাঁয়তারা করা হয়েছিল, তখন ভারতের জনগণ তার বিরোধিতা করেছেন। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে ভারত থেকেই লোন নেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছে। আমরা জানি, নদীর পানিতে বন্যা কখনো মুহূর্তে সৃষ্টি হয় না। ভারত-বাংলাদেশের যত অন্যায্য দাবি আছে; করিডোর, নদী বিদ্যুৎকেন্দ্র যত অসম চুক্তি আছে সব বাতিল করতে হবে। আমরা ৭১- এ স্বাধীনতা এনেছি, ভারতের গোলামী করার জন্য নয়।

প্রত্নতত্ত্ব ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, স্বাধীনতার পর প্রতিটি সরকার এসে ভারতের গোলামী করেছে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট হাসিনাও হেলিকপ্টারে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের প্রতিটি বড় বড় নেতা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। আজকে ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, খেত-খামার ভেসে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে গোলামীর সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। 

বিজ্ঞাপন

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |