ঢাকাসোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রশিক্ষণ নিলেন এডিসি জাহাঙ্গীর

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩ , ০৩:৪৮ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিজ্ঞাপন

জাইকার রোড ট্রাফিক সেইফটি প্রজেক্টের আওতায় ‘ট্রাফিক সিস্টেম সলিউশন ইন হায়দারাবাদ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পাঁচ সদস্য। এ দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।

বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ, চৌকস ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন আলীর সন্তান। তিনি ১৯৮৪ সালে কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে এসএসসি এবং ২০০১ সালে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে মেরিন সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পুলিশ সায়েন্স-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে জার্মান ভাষা সার্টিফিকেট কোর্স ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন।

৩০তম বিসিএসের মাধ্যমে ২০১২ সালের ৩ জুন সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীতে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে প্রথমে দিনাজপুর জেলায় শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষানবীশকাল শেষে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ৪ এপিবিএন বগুড়ায় যোগদান করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে মো. জাহাঙ্গীর আলম সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রামপুরা, মিরপুর ও দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবেও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

বিজ্ঞাপন

রামপুরা ট্রাফিক জোনের প্রথম সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর ডিএমপি’র মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় একটানা ১২ বার শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন। ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে একটানা ১৬ বার শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে পুরষ্কার অর্জন করেন।

প্রথম অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (কোয়ার্টার মাস্টার -পিওএম) হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিওএম এ থাকাকালীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফোর্স ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করে ‘আইজিপি ব্যাচ -২০২০’ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বর্তমানে ডিএমপি’র ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টিশীল ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখে মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

তিনি ঢাকা মহানগরীসহ আশপাশের জেলার যানযট নিরসনে বাস্তবিক ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণধর্মী বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। ট্রাফিক ইন্টারসেকশন ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক মার্জিং, আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল, নিরাপদ পথচারী চলাচল, ই-চালান, রিয়েল টাইম ট্রাফিক ভলিউম ক্যাপচার, কেন্দ্রীয় ট্রাফিক সার্ভার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, মহানগরীর ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনা, যানবাহন শ্রেণীবিন্যাস ও অধিকতর নিরাপদ ব্যবহার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সময়োপযোগী প্রযুক্তির ব্যবহার, “ট্রাফিক সেফটি অ্যান্ড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইউজিং আইটিএস সেন্সিং টেকনোলজি” এবং “কালেকশন অ্যান্ড এনালাইসিস অব ট্রাফিক এক্সিডেন্ট ডাটা অ্যান্ড ইউজ অব এনালাইসিস রেজাল্টস” ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিবিড়ভাবে জ্ঞান চর্চা করছেন।

এছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, ট্রাফিক পার্ক, ট্রাফিক সচেতনতা বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম, ড্রাইভার আচরণ, প্রকৌশলগত উত্তম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক আইন ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা ও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে ট্রাফিক আইন প্রয়োগে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যসহ অংশীজনদের ভূমিকা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন।

তিনি ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের জন্য প্রতিটি ইন্টারসেকশনের সুবিধাজনক স্থানে আধুনিক সকল সুবিধাসম্পন্ন ট্রাফিক বক্স স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন অংশীজন সমন্বয় সভায় সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক জোনের জন্য আধুনিক অফিস, জোনভিত্তিক সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম স্থাপন, আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জাতীয় অর্থনীতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। যানযট নিরসনে আধুনিক ট্রাফিক সিস্টেম নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |