• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
logo

যেসব কারণে কোরবানি আদায় হয় না

আরটিভি নিউজ

  ১২ জুন ২০২৪, ২০:৩৮
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি শব্দটি আরবি। এর অর্থ ত্যাগ, আত্মোত্সর্গ; নৈকট্য লাভ এবং জবাই করা ইত্যাদি। আর ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় কোরবানির অর্থ হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।

প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর পশু কোরবানি ওয়াজিব। একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই। কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য বেশকিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হয়। নিম্নে সেসব বিষয় তুলে ধরা হলো।

নিয়তে সমস্যা থাকলে

কোরবানি একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে। অন্য কারো সন্তুষ্টি অথবা লোক-দেখানো উদ্দেশ্য অথবা কম টাকায় অধিক গোশত বা ভালো গোশত পাওয়া যাবে, এ ধরনের নিয়তে কোরবানি করলে ওই কোরবানি শুদ্ধ হবে না; কবুলও হবে না। তবে কোরবানি শেষে গোশত খাবো, এ ধরনের কামনা অন্তরে বিরাজ করলে কোরবানি অশুদ্ধ হবে না। (সুরা হজ ৩৭, মুসনাদে আহমদ ২২৯৮৪)

হারাম টাকায় কোরবানি

হারাম টাকায় কোরবানি করলে ওই কোরবানি শুদ্ধ হবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।’ (মুসলিম ১০১৫)

পশুর বয়স কম হওয়া

তিন ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। যথা, ১. ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। ২. গরু, মহিষ। ৩. উট। তাদের আবার নির্দিষ্ট বয়সসীমা আছে। এর কমে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বার বয়সও এক বছর তবে সংকটের সময় ৬ মাসের হলে সমস্যা নেই। (মুসলিম ১৯৬৩)

ত্রুটিপূর্ণ পশু

কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য পশু হতে হবে বড় ধরনের দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত। হাদিসে এসেছে, ‘চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট; পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ও আহত, যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।’ ( ইবনে মাজাহ: ৩১৪৪)

জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ না বলা

কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে কোরবানি হবে না। কিন্তু যদি ভুলে বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে কোরবানি হয়ে যাবে। (সুরা আনআম ১২১)

পশুর গলার অন্তত তিন রগ না কাটা

জবাই করার সময় চারটি রগ কাটা জরুরি। যথা- ১. কণ্ঠনালি, ২. খাদ্যনালি, ৩. দুই পাশের মোটা রগ, যাকে ওয়াজদান বলা হয়। এই চারটি রগের মধ্যে যেকোনো তিনটি কাটা হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। যদি দুটি বা একটি কাটা হয়, কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (হেদায়া: ৪/৪৩৭)

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে ৮ শ্রেণির মানুষের জন্য জান্নাত ওয়াজিব
মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই
পূরণ হয়নি আশ্বাস, দুর্গন্ধ ডিএসসিসির বাতাসে
ঈদের দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানির বিধান