• ঢাকা শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

ঘুমাতে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

ধর্ম ডেস্ক

  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:০৪
ঘুম
ছবি: সংগৃহীত

মুমিনের জীবনের প্রত্যেকটি কাজই ইবাদতের অংশ। একজন মুমিন আল্লাহর স্মরণ-জিকির ও তার বিধান মোতাবেক জীবন পরিচালনা করে থাকেন। মুমিনের জন্য ঘুমও একটি ইবাদত।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, হে অমুক, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে তখন নামাজের ন্যয় অজু করবে। তারপর তোমার ডান পার্শ্বের ওপরে শুবে এবং উক্ত দোয়া পড়বে। তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি তুমি সেই রাতে মৃত্যুবরণ কর, তবে তুমি ইসলামের ওপর মৃত্যুবরণ করবে আর যদি তুমি ভোরে ওঠ, তবে তুমি কল্যাণের সঙ্গে উঠবে।

নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার ওপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি না। তারপর এ দোয়া পড়বে—হে আমার রব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠব।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬৩২০)

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর সন্ধ্যাবেলায় তোমাদের বাচ্চাদের ঘর থেকে বের হতে দিও না, কারণ এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও (প্রভাব ফেলে) করে। ঘুমের আগে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বলিত সলিতাযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং ঘরের লোককে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৩৩১৬)

ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘নবী করিম (সা.) কোনো ঘরে একাকী রাতযাপন ও একাকী সফর করতে নিষেধ করেছেন।’ (আহমাদ, হাদিস নং: ৫৬৫০)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমায়, (কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোনো জিম্মাদারি নেই।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ৫০৪১)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের রাতের গল্পগুজবে মত্ত হতে নিষেধ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ২৪৩৫)

রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন ‘আয়াতুল কুরসি’ পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস নং: ২৩১১)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কেউ রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করে, তবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (বোখারি ও মুসলিম)।

নাওফাল আল-আশজায়ি (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেন, তুমি সূরা কাফিরুন পড়ে ঘুমাবে, এতে শিরক থেকে তুমি মুক্ত থাকবে।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্রিত করে তাতে সূরা এখলাছ, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর মাথা ও চেহারা থেকে শুরু করে যত দূর সম্ভব দেহে তিনবার দুই হাত বুলাতেন।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫০১৭)

ঘুমানোর আগে দোয়া পড়া-

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় আমি পুনর্জাগ্রত হব।’

আরটিভি/এফএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যেভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
আপনারা চট্টগ্রামের দিকে তাকালে আমরা কি আমলকী চুষব: রিজভী
আ.লীগের আমলে বঞ্চিত ৭৫৪ জনকে পদায়নের সুপারিশ
আজকে যে আমলা, কাল রাজনীতিবিদ, পরের দিন সে ব্যবসায়ী: দেবপ্রিয়