• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আন্দোলনের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি।  সদ্য গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে। তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছো, সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত এবং অবারিত। তোমরা তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। মনে রাখবে এ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে এক বন্ধুর ও অমসৃণ পথে তোমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে।  ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, একটি কঠিন পথ অতিক্রম করে নিয়মানুবর্তিতা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তোমরা সম্মানজনক সনদ অর্জন করেছো। তবে এর চেয়েও কঠিন পথ তোমাদের সামনে রয়েছে। তোমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অপরিসীম ধৈর্য ও মেধাশক্তি কাজে লাগিয়ে সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তোমাদের পৌঁছাতে হবে। নিজেদের দক্ষতা এবং যোগ্যতায় কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করতে হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম বলেন, কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে। তোমাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে। তোমরা শুধু কাজ করবে না, কর্মদক্ষ মানুষ তৈরিতেও সহায়তা করবে এবং নিজেদের মাধ্যমে বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে।  
চতুর্থ দিনেও উত্তাল চুয়েট, সড়ক অবরোধ
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক গ্রেপ্তার
গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন ১২ হাজার ৩৪১ জন 
বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব নিলেন ডা. আতিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমানকে আগামী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাকে। উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।  নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আরটিভি অনলাইনকে ডা. আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাই হবে তার লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী যে তাগিদ দিয়েছেন সেদিকে আরো নজর দেয়ার কথা জানান তিনি।  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উপ উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার টিটো, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. বেলাল সরকার, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, ডা. জাহান শামস নিটোল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এর আগে দুই মেয়াদে সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। তিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বক্ষব্যধির উপর এমডি এবং ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অফ চেস্ট ফিজিশিয়ান্স থেকে এফসিসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন।  বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় রয়েছে অনন্য সাধারণ অবদান। রোগীদের কাছে তিনি অত্যন্ত অমায়িক ও সজ্জন চিকিৎসক হিসেবে সুপরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। দেশী বিদেশী জার্নালে বিভিন্ন সময়ে তার গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাসমূহ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন চিকিৎসকদের মানসম্মত গবেষণাধর্মী থিসিস সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তিনি গাইড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে ৪৭টি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জনপ্রিয় শিক্ষক ও উপ-উপাচার্য মরহুম অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপনের স্মরণে গঠিত জাকারিয়া স্বপন স্মৃতি সংসদের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পালমোনারি হাইপারটেনশন সোসাইটি, ডিপিএলডি ফাউন্ডেশন এবং পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর মেম্বার সেক্রেটারি, ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ স্পোর্টস মেডিসিন-এর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, ইথিক্যাল রিভিউ বোর্ড (ইআরবি)-এর সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনলজি বিষয়ের ফাউন্ডার কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, এসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশ, দি চেস্ট এন্ড হার্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, এজমা এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ব্রনকোলোজি এন্ড ইন্টারভেনশনাল পালমোনলজি, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং পাবলিক হেলথ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর আজীবন সদস্য। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্রের চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের পিতা। তার সহধর্মিণী ডা. কাজী রাহিলা ফেরদৌসি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তার বাবা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মা হাসিনা রহমান।
দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তাল চুয়েট
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কাপ্তাই সড়ক অবরোধ এবং ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৯ দফা দাবি দিয়ে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কর্মসূচি ঘোষণার সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে পেছন থেকে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এছাড়া গুরুতর আহত পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী জেলা সদরের চার নাম্বার ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়েট ক্যাম্পাসে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৌফিক হোসেনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুধারামে দাফন করা হয়েছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিলো সবার বড়। তারা বাবা দেলোয়ার হেসেন নোয়াখালী পৌরসভার প্রকৌশলী বলে জানান তৌফিকের বন্ধু নাফিজ হাসান নাফি। আর শান্ত সাহার মরদেহ নরসিংদীতে তার গ্রামের বাড়িতে সৎকার করা হয়েছে বলে তার ভাই পার্থ সাহা জানান। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। তারা ক্যাম্পাসের সামনে গাছের গুড়ি ফেলে কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে এবং শাহ আমানত পরিবহনের চারটি বাস আটক করে। এর মধ্যে একটি বাস তারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবার কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করলে মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছে। তারা দিনভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। কাপ্তাই সড়কে তারা টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা বিকেলে ১০ দফা দাবি জানান সংবাদ সম্মেলন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পলাতক চালক ও তার সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, সুযোগ সুবিধা সংবলিত আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, হাসপাতালে আধুনিক সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেয়া, রাস্তার মাথা (কাপ্তাই) এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, শাহ আমানত ও এবি পরিবহন এই সড়কে নিষিদ্ধ করা, শিক্ষার্থী অনুপাতে ছাত্র বাস বাড়ানো, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা, ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা, নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন অনুরাগ নন্দি অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা অনুরোধ করেও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্স পাইনি। পেলে হয়তো আরো একজনকে বাঁচানো যেত। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রথমে অটোরিকশা ও পরে অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায়। আর মেডিকেল সেন্টারেও এই ধরনের আহতদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নাই। তিন জানান, কয়েক মাস আগেও এই সড়কে এবি ট্রাভেলস নামে আরেকটি পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ায় দুই জন ছাত্র আহত হয়েছিলেন। তখনো আমরা ওই পরিবহনের বাস আটকে সড়কের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলাম। তখন আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা এখন যে ১০ দফা দাবি দিয়েছি তা পূরণের জন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাই। কোন দাবি কত দিনে পূরণ করা হবে তাও লিখিত দিতে হবে। তার আগ পর্যন্ত আমাদের সব ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা, বলেন তিনি। আরেক জন ছাত্র নাজমুল হাসান বলেন, কর্মসূচি ঘোষণার সময় ভিসি, প্রোভিসিসহ প্রশাসনের লোকজন ছিলেন। তারা দাবি মেনে নেয়ার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিশ্রুতি না দিয়ে সময় নিয়েছেন। তবে তারা দাবির সঙ্গে একমত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, দুইজন ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ছাত্রদের দাবির সবগুলো আমাদের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য নানা কর্তৃপক্ষ আছে। আর কিছু দাবি আছে যা পূরণ করতে সময় লাগবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে দাবিগুলো নিয়ে কথা বলব। কীভাবে পূরণ করা যায় দেখব। যেমন চার বা ছয় লেনের মহাসড়ক তো আমরা করতে পারব না। দায়ীদের আটক করবে পুলিশ। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আর আমরা যেগুলো সম্ভব সেগুলো পূরণ করব। দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল সেন্টারে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। তবে তিনটি তখন জরুরি রোগী বহন করছিল। আর ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকার একটি ক্ষতিপূরণ দেয় সেটা তারা পাবে। বাস মালিককেও দিতে হবে। আর আমরা নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আহতের চিকিৎসা খরচ দিচ্ছি। আরও কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ শিক্ষকরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন দাস জানান, এখনো তারা ওই বাসের চালক ও হেলপারকে আটক বা চিহ্নিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, আমরা শাহ আমানত পরিবহনের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের ওই বাসের চালক ও কর্মচারীদের নাম জানাবে। আশা করি দ্রুত তাদের আটক করতে পারব।
ঢাবির সুইমিং পুলে ছাত্রের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিং পুলে মো. সোহাদ হক নামের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে সোমবার সাঁতার কাটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্র মো. সোহাদ হকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে। এই মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্যসচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন। কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিং পুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নোবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ হাজার ৭৬৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ৭ হাজার ৭৬৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।  মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র আরটিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, নোবিপ্রবি কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ৪৫০৮ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮১ জন এবং সি ইউনিটে ১ হাজার ৪৭৪ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। বিজ্ঞান শাখাভুক্ত ‘এ' ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ২৭ এপ্রিল, মানবিক শাখাভুক্ত ‘বি' ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘সি' ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বছর গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইবিতে বিবস্ত্র করে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পৃথকভাবে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি। এতে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। যাদের মধ্যে দুইজনের নির্যাতনের মাত্রা অধিক ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। ফলে বিধি অনুযায়ী দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্নগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এ ঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এ ছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।  এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছে। এ ছাড়াও প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।’ লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।’
সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে মুহাম্মদ সোয়াদ (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা ২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোহাগ ও সাগর নামের দুজন শিক্ষার্থী জানান, গরমের কারণে দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সুইমিং পুলে বন্ধুদের নিয়ে গোসল করতে নামি। সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ সোয়াদ পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সোয়া দুটোর দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানাচ্ছি। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। শহীদুল্লাহ হলের এক শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে ফোন করে। প্রক্টর সাহেবও আমাকে জানিয়েছেন। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। সেখানে গেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারব। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
তাপদাহ / বশেমুরবিপ্রবিতে ভার্চ্যুয়ালি ক্লাস, বন্ধ থাকবে সকল পরীক্ষা
সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহমান তাপদাহের প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ভার্চ্যুয়ালি ক্লাসের নির্দেশ দিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বন্ধ থাকবে সকল পরীক্ষা। রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. এ কিউ এম মাহবুবের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ৮ম জরুরি সভায় (ভার্চ্যুয়ালি) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আগামী ৪ মে পর্যন্ত চলমান থাকবে এ সিদ্ধান্ত। রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহমান তীব্র তাপদাহের কারণে ২২ এপ্রিল হতে আগামী ৪ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে এবং সকল প্রকার পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অফিস কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। তবে দাপ্তরিক প্রয়োজনে দপ্তর প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দপ্তরে অবস্থান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এবং জরুরি পরিষেবাসমূহ যথানিয়মে চলবে।’ তাপদাহের প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে সকলকে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর কর্মকার বলেন, ‘তীব্র গরমে ঘরের বাহিরে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। এই রোদে-গরমে আমাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক বেশি। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।’  অপরদিকে ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আতিক ফয়সাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু আসলেই কি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করা হয়েছে? অনেক বিভাগের সেশনজট আছে সেসব কথা কি কেউ ভেবে দেখেছে? ক্লাস অনলাইনে নিয়ে, অন্তত সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারতো। এই সিদ্ধান্তের পরে অনেক বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেল। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অনেক বিভাগের অনার্স শেষ করে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু করেছে। সেখানে অনেক বিভাগের অনার্সই শেষ হয়নি। পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে আরও জট বাড়বে। কারণ, জুন মাস থেকে আবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৭ এপ্রিল ও ৩ মে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির অফিস যথানিয়মে চলবে।