ক্যাসিনো কাণ্ডের পর গেল মৌসুমে কোনও মতে দল গুছাতে সক্ষম হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। আর্থিক সংকটের কারণে এবারতো ফেডারেশন কাপেই অংশ নিতে পারছিল না দলটি। একটি জাপানি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে মাঠে নেমেছিল তারা। যদিও প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়তে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী দলটির।
অবশেষে স্থায়ী পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠান মিলেছে মুক্তিযোদ্ধার। ‘হিসাব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে দলটির হাল ধরতে। যার নেপথ্যের নায়ক সেই জাপানি ফুটবলার ইউসুকে কাতো।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
হিসাব লিমিটেডের চেয়ারম্যান জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কেউ এগিয়ে আসছে না। ফেসবুকের মাধ্যমে তারা সহায়তা চেয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এসে মুক্তিযোদ্ধা দল মাঠে নামবে না, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এটা হতে পারে না। আমি বিষয়টি শোনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রাজি হয়ে যাই। এখন আমরা আরও বিস্তারিত কথা বলছি। আগামী দিনে দুই পক্ষ এক সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের অ্যাকাডেমি, সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থাও করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
‘কর্তৃপক্ষ ও মালয়েশিয়ান কোচের রাজা ইসার সঙ্গে কথা বলেছি। তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কাজ করতে আগ্রহী আমরা। মুক্তিযোদ্ধা দলের ঐতিহ্যটা ফিরিয়ে আনা। কারণ এরাই একমাত্র দল যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ধারক।’ যোগ করেন জুবায়ের।
আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ তার আগে দলের হাল ধরায় প্রতিষ্ঠানটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক কাতো। জাপানি এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘দলের প্রতি অনেকেই ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। যারা এগিয়ে এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম আগামী আসরে সেরা দল গঠন করতে চান বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফেডারেশন কাপের আগে জাপানি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বেশ কিছু দেশী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনুদান পেয়েছিলেন। খেলোয়াড়দের আপাতত কিছু টাকাও শোধ করেছি। ‘হিসাব’ আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে। আশাকরি আগামী আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারমতো দল গঠন করবো।’
ওয়াই