মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মা, সুস্থ করতে পাগলপ্রায় শাহাদাৎ হোসেন। জাতীয় দলের এক সময়ের এই তারকা পেসার যতটা সুনাম কুড়িয়েছেন লাল-সবুজের জার্সিতে ঠিক তারও বেশি দুর্নাম কুড়িয়েছেন বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কাজ করে।
২০১৯ সালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রের গায়ে হাত তুলে ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন ৫ বছরের জন্য। এরপর থেকে বন্ধ শাহাদাতের রুটি-রুজি।
লম্বা এই সময়ে মায়েরও ক্যান্সার ধরা পড়েছে। দিক বেদিক উপায় না পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আর্জি জানিয়েছেন, শাস্তি মওকুফের জন্য।
মানবিক আবেদনে সাড়া দিবে কী না বিসিবি এ নিয়ে বেশ কদিন গুঞ্জন চললেও সোমবার জানান যায়, টাইগারদের ক্রিকেট বোর্ড এই মানবিক আবেদনে সাড়া দিচ্ছে।
বিসিবি'র ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান বিষয়টি নিয়ে বাকি দুই পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ভালো সাড় পেয়েছেন। পরিচালকরা ছাড়াও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও শাদাতকে মাফ করে দেয়ার পক্ষে। অপেক্ষা এখন বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির 'হ্যাঁ' বলার।
বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি থেকে সবুজ সংকেত পেলে ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনো বাধা থাকবে না শাহাদাতের।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে আকরাম খান জানান, ‘আপনারা জানেন এনসিএল চলাকালীন রাজিব শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিল। তাই ক্রিকেট বোর্ড ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিছুদিন আগে টিভিতে দেখেছি এবং ও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ফোন করেছে তাছাড়া একটি চিঠিও দিয়েছে যেহেতু ও একটা বিরাট পারিবারিক সমস্যায় পড়েছে।’
আকরাম খান আরও বলেন, ‘ওর আম্মার ক্যান্সার হয়েছে এবং সে কোনো ক্রিকেট খেলতে পারছে না। ওর বিষয়টি বিবেচনা করে আমি কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি বিশেষ করে মল্লিক ভাই ও দুর্জয়ের সঙ্গে। ওনারা ওর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আমরা শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছি। আশা করছি ওখান থেকেও ইতিবাচক কিছুই আসবে। এর সাথে আমরা মাননীয় বোর্ড সভাপতিকেও জানিয়েছি এবং তিনিও ইতিবাচক আছেন। ও যেন এবারের এনসিএল থেকে পুরো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারে সেই আশা করছি।’
এমআর/