আর্জেন্টিনার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আলফ্রেডো অস্টিজের সঙ্গে তুলনা করায় সেই পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে লিওনেল মেসির পরিবার।
‘সোনালি চুলের মৃত্যুদূত’ বলে সমধিক পরিচিত অস্টিজ। তিনি সামরিক শাসক হোর্হে রাফায়েল ভিদেলার শাসনামলে নৌবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৬-৮৩ সময়ে বন্দীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও হত্যার দায়ে তাকে ২০১১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত ঘোষণা দেয়, অস্টিজের মতো অপরাধীর শাস্তি কমানো হতে পারে।
প্রায় একই সময়ে লিওনেল মেসির ওপর চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে সকহারী রেফারিকে গালি দেয়ার অভিযোগে এ দণ্ড ঝুলছিল পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরার ওপর।
এরপরই যুদ্ধাপরাধী অস্টিজের সঙ্গে লিওনেল মেসিকে তুলনা করে প্রতিবেদন ছাপায় আর্জেন্টাইন পত্রিকা দিয়ারিও পারফিল। এর শিরোনাম ছিল ‘মেটামোরফোসিস’। শুধু তাই নয়, অস্টিজের একটি ছবিকে মেসি বানিয়ে ছাপায় পত্রিকাটি।
এটি জানার পর চরম ক্ষুব্ধ হয় মেসির পরিবার। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার পরিবারের মুখপাত্র জানান, এটি খুবই ন্যাক্কারজনক। এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
তবে এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি মেসির প্রাণপ্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা।
ডিএইচ