তাসমানিয়ান সাগরের দুই প্রান্তে অবস্থান অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের। আগামী রোববার (১৪ নভেম্বর) আরব আমিরাতের মাটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে দেশ দুটি। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর অ্পআবারও কোনও বিশ্ব আসরের ফাইনালে দেখা হতে যাচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশের।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন প্রথম সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জয় তুলে শেষ দুইয়ে জায়গা করে নেয় কিউইরা।
দুবাইয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানের দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় অজিরা।
শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি অজিদের। প্রথম ওভারের দলীয় এক রানে সাজঘরে ফেরেন অ্যারন ফিঞ্চ। মিচেল মার্শকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। এ জুটির ৫১ রানে সাঁজঘরে ফেরেন মিচেল মার্শ।
২২ বলে ২৮ রান করেন মার্শ। ৩০ বলে ৪৯ রান আসে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। স্টিভ স্মিথ ৫, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৭ রানে ফিরে যান।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন স্টইনিস ও ম্যাথু ওয়েড। ১৭ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওয়েড। এতে চারটি ছক্কা ও দুটি চার ছিল।
অন্যদিকে ৩১ বলে ৪০ রানে ক্রিজে ছিলেন স্টইনিস। দুটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। দুজনে মিলে দলকে পৌঁছে দেন চূড়ান্ত লক্ষ্যে। পাকিস্তানের পক্ষে শাদাব খান চারটি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি একটি উইকেট তুলেন।
এর আগে ব্যাট হাতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭১ রানের জুটি গড়েন। দশম ওভারে বাবর ৩৯ রানে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ানকে সঙ্গ দেন ফখর জামান। এ জুটির ৭২ রানে সাজ ঘরে ফেরেন রিজওয়ান।
যাওয়ার আগে ৫২ বলে ৬৭ রান তুলেন এ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ফখর জামান ৩২ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। অজিদের হয়ে দুটি উইকেট আদায় করেন মিচেল স্টার্ক। একটি করে উইকেট তুলেন প্যাট কামিংস ও অ্যাডাম জাম্পা।
ওয়াই