ওয়ানডেতে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। অথচ তাদের কাছে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি। ২০১০ সালে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে ফাইনালে খেললেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় দেশে।
এবার বড় সুযোগ অজিদের সামনে। সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের অনেকটা কাছে তারা। সেমি-ফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে অজিদের সামনে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের বিপক্ষে অজিরা বরাবরের মতোই এগিয়ে অজিরা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এ পর্যন্ত ১৪ বারের দেখায় অস্ট্রেলিয়ার জয় ৯টি আর নিউজিল্যান্ডের জয় ৫টি। তবে বিশ্ব কাপের আসরে কিউইদের বিপক্ষে একবারের দেখায় হারতে হয়েছিল অজিদের।
গত বিশ্বকাপ আসরের ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে হারতে হয়েছিল ৮ উইকেটে। তবে অতীত আর মনে করতে চাইছেন না অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
ফাইনালের লড়াইয়ে নামার আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অজি অধিনায়ক বলেছেন, “অবশই, এই ফরম্যাটে আমরা অতীতে ব্যর্থ হয়েছি। এখন বিষয় হলো আমরা এখন ফাইনালে আছি, এবং এটা আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ বাস্তবায়নের জন্য। আমি মনে করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খুবই দারুণ একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। তারা খুবই দুর্দান্ত দল, গত ছয় বছর ধরে তারা সবগুলো ফাইনালেই আছে। আমরা এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছি।”
ফিঞ্চ যখন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন সামলাচ্ছেন, তখন আইসিসি একাডেমি মাঠে ঐচ্ছিক অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন দলের দশ সদস্য। অনুশীলন শেষে বেশ ফুরফুরা মেজাজেই বের হতে দেখা গেছে হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারসহ ক্রিকেটারদের।
সেমিফাইনালের পরদিন শুক্রবার হোটেলেই ছিল অজিরা। ফিঞ্চ বলেছেন, “সেমিফাইনালের পরে আমাদের খুব ভালো একটি দিন কেটেছে। আজকে ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। ছেলেরা সকলেই ফুরফুরে আছে। এটা আসলেই খুব ভালো ছিল। ছেলেরে সবাই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে এবং আগামীকালের (ফাইনাল) জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।”
দলে পরিবর্তন বা একই একাদশ নিয়ে খেলবে কী না অস্ট্রেলিয়া এমন প্রশ্নে ফিঞ্চ বলেছেন, “এ বিষয়গুলো আমরা আগামীকালের জন্য রেখে দিয়েছি।”
এমআর/