ফরাসি লিগ ওয়ানের চলতি মৌসুমে শীর্ষেই আছে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমারের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘরোয়া লিগে মোনাকোর বিপক্ষে ৩-১ গোল ব্যবধানে হেরে হোঁচট খায় দলটি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এই হার নিশ্চিতভাবে ব্যাকফুটে রাখবে দলটিকে। সেই ম্যাচে দলের দুই সেরা তারকা মেসি এবং এমবাপ্পে ছিলেন না মাঠে। যার ফলে পিএসজির সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে ছিলেন নেইমার।
কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ান থাকা সত্ত্বেও দলের হারের কারণে হয়ত কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিলেন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস কাম্পোস। হতাশ ছিলেন নেইমারও। যার ফলে পিএসজির লকার রুমে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এমন খবর চলে আসে গণমাধ্যমে।
গণমাধ্যমে আসা তর্কাতর্কির এই খবরের সত্যতা প্রকাশ করেছেন এবার নেইমার নিজেই। জানিয়েছেন, লকার রুমে এমন তর্কাতর্কি ফুটবলেরই অংশ। নিজেদের উন্নতির জন্যই এমনটা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন নেইমার। কিছুটা মজার ছলেই এই সেলেসাও তারকা বলেছেন, এটা ঠিক যেন বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কের মতো।
তর্কাতর্কির বিষয় নিশ্চিত করলেও লকার রুমের ঘটনা বাইরে চলে যাওয়ায় বেশ হতাশাই প্রকাশ করেছেন নেইমার। জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে চলে যাওয়া লকার রুমের প্রতিটি তথ্যই সত্য নয়, বেশির ভাগ সময়ই সেটি গুজব হয়ে বিরক্ত করেন তাদের।
বায়ার্নের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে নেইমার বলেন, ‘এটা হয়েছিল, একটু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, আমরা কিছু বিষয় নিয়ে একমত ছিলাম না। এটা ফুটবলের অংশ। প্রতিদিন এমন কিছু হয়। কিন্তু আমি তাদের সবাইকে ভালোবাসি।
এটা অনেকটা আমার বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কের মতো। ফুটবল শুধু ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের নয়। সেখানে শ্রদ্ধা আছে, কিন্তু মাঝেমধ্যে দ্বিমত ও আলোচনা আপনার উন্নতির জন্য দরকার। আমরা হারতে অভ্যস্ত নই, তাই আমরা যখন হারি, তখন অবশ্যই সেটা আমাদের হতাশ করে। কিন্তু এটা উন্নতির প্রক্রিয়ার অংশ।
কিছু সময় গণমাধ্যমে এমন কিছু গুজব ওঠে, যেগুলো উদ্দেশ্যমূলক। খুব দ্রুত তা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক মানুষ দেখে এবং কিছু সময় এটা মিথ্যা আর জটিল। আমি এসবের জন্য দায়ী নই। কিন্তু এটা কোচ ও আমার সতীর্থদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করে।
আমাদের সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। কারণ, আমাদের লকার রুমে যা হয়, সেটা শেষ হয় গণমাধ্যমে। এটা খুব দুঃখজনক কারণ এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমাদের মধ্যে থাকতে পারে। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে সেগুলো যেন ড্রেসিংরুমের বাইরে না যায়। আমরা ক্ষুব্ধ কিন্তু কীভাবে এগুলো ফাঁস হয় বের করা কঠিন। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি, বেশির ভাগ খবরই মিথ্যা, যদিও কিছু কিছু বিষয় সত্যি।’