ম্যাচজুড়ে বল দখল কিংবা আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ন্যাপোলি। কিন্তু ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাবটি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। উল্টো প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় এসি মিলান। এরপর দুই দল আর গোল আদায় করতে না পারায় ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল সাতবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে মিলানের সান সিরোয় অল-ইতালিয়ান কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে এসি মিলান। ৪০তম মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি এসেছে ইসমাইল বেনাকারের পা থেকে। এ ছাড়া শেষ দিকে লাল কার্ড খেয়ে একজন কম নিয়ে খেলেছে ন্যাপোলি।
এদিন শুরু থেকেই স্বাগতিকদের আক্রমণে চেপে ধরেছিল ন্যাপোলি। তবে ৪০তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায় মিলান। ন্যাপোলির দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বল নিয়ে ছুটে গিয়ে বক্সে লেয়াওয়ের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বেনাকারকে পাস দেন যান ব্রাহিম দিয়াস। এই মিডফিল্ডারের বুলেট গতির শট প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করেছিল ন্যাপোলি। কাভারাৎসখেলিয়ার ক্রস থেকে পাঠানো বলে এলমাসের হেড মিলানের গোলরক্ষকের হাতে লেগে ক্রসবার ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়। ৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ন্যাপোলি। মাত্র চার মিনিটের মধ্যে দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক জাম্বো আনগিসা।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে আরেকটি দুর্দান্ত সেভে জাল অক্ষত রাখেন মিয়াঁ। জিওভানি দি লরেন্সোর জোরাল শটে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই ১ গোলই হয়ে গেলো জয়-পরাজয়ের নির্ধারক এবং ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এসি মিলান।
এই প্রথম ২০০৪-০৫ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ৫টি ম্যাচের কোনোটিতেই গোল হজম করেনি এসি মিলান। জয়ের সঙ্গে গোল হজম না করাটাও বড় একটি আনন্দের উৎস মিলান কোচ এবং সমর্থকদের জন্য। তবে আগামী ১৮ এপ্রিল ফিরতি লেগে ন্যাপোলির মাঠে মুখোমুখি হবে এসি মিলান। ওই ম্যাচে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে পারলে সেমিতে উঠবে ন্যাপোলি।