মেহরাব হোসেন অপি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ঝরেপড়া এক নায়কের নাম। ১৯৯৮ সালে যখন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামেন তিনি, সে সময় জাতীয় নারী দলের ওপেনার ফারজানা হকের বয়স মাত্র ৫ বছর।
সেদিনকার সেই ছোট ফারজানা দুই যুগ পর এসে মিলে গেলেন একই বিন্দুতে। প্রশ্ন আসতে পারে কীসের সঙ্গে কী মেলানো হলো? বিষয়টা তাহলে পরিষ্কার করেই বলা যাক।
একটু ফিরে তাকানো যাক ১৯৯৯ সালের ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের ম্যাচে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছিলেন মেহরাব হোসেন অপি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৯টি চার ও দুইটি ছক্কার মারের মাধ্যমে ১০১ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলেছিলেন অপি। বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ডবুকে নাম তোলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর দিনে দিনে আরও অনেক সেঞ্চুরিয়ান পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু যতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট থাকবে ততদিনই অপি থাকবেন নায়ক হয়ে। কেননা দেশের ক্রিকেটেরে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান যে তিনিই।
ছেলেদের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বাংলাদেশ পেয়েছিল ১৯৯৯ সালেই। কিন্তু মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের মুকুট কেউই নাগাল পাচ্ছিলেন না।
অবশেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর সঙ্গী পেলেন অপি। অভাব ঘুচলো ওয়ানডে ফরম্যাটে নারী ক্রিকেটের সেঞ্চুরিয়ানের।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১৫৬ বলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ওপেনার ফারজানা হক। আর তাতেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় অপির পাশে জায়গা করে নিলেন তিনি।
টাইগ্রেস এই ব্যাটারের এর আগে সেঞ্চুরি ছিল শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া একমাত্র নারী ক্রিকেটারও এখন তিনি।