নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে চুমুকাণ্ডের জের ধরে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসকে ৯০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অনশনে নেমেছিলেন রুবিয়ালেসের মা আনহেলেস বেহার। নিষিদ্ধের বিষয়টি পরিবর্তন না করা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
কিন্তু অনশনের মাঝপথেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তিনি। যে কারণে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
রুবিয়ালেসের মা যে গির্জায় অনশন করছিলেন সেখানকার যাজক আন্তোনিও রদ্রিগেজ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অনশনের চতুর্থ দিন তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
এএফপিকে গির্জার যাযক রদ্রিগেজ বলেন, ‘তার (আনহেলেস বেহার) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বেশ কমে গেছে। সেটি দেখে আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তিনি শারীরিকভাবে ভালো বোধ করছিলেন না। তার পা দুটো ফুলে উঠেছিল, অনেক ক্লান্তও ছিলেন তিনি।’
উল্লেখ্য, নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা নিশ্চিতের পর স্প্যানিশ ফুটবলাররা যখন পুরস্কার নিতে একে একে স্টেজে উঠছিলেন, সে সময় সকলকেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এ সময় আনন্দে আপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কোলেও তুলে নেন তিনি।
তবে জেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বাড়াবাড়িই করে ফেলেছেন তিনি। স্টেজে ওঠার পর তাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু দেন লুইস। আর তাতেই শুরু হয় সমালোচনা।
সেই ঘটনার জের ধরে রুবিয়ালেসকে ৯০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
সেই ঘটনার জের ধরে এএফপিকে রুবিয়ালেসের পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাজিন ভ্যানেসা রুইজ বেহার বলেন, ‘যে ভোগান্তিটা হয়েছে, সেটি মোটেও ন্যায্য না। তার (রুবিয়ালেস) মা ধর্মপরায়ণ, তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি অনশন শুরু করেছেন, গির্জা ছাড়তে চাইছেন না। আসলে যা ঘটেছে, তা ন্যায্য বলে মনে হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে আগেভাগেই দোষী বানানো হয়েছে। এটা মোটেও স্বাভাবিক লাগছে না...আমরা চাই হেনি সত্যিটা বলুক। কারণ, সে তিনবার নিজের বক্তব্য পাল্টেছে। তার (রুবিয়ালেস) পরিবার খুব ভোগান্তির মধ্যে আছে।’