আইপিএল ২০২৪
হায়দরাবাদকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে কলকাতা
আইপিএলে গত ১৬ আসরের মধ্যে দুইবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ সালে প্রথম এবং ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ট্রফি জিতেছিল শাহরুখ খানের দল। এরপর ২০২১ সালে ফাইনালে উঠলেও চেন্নাইয়ের কাছে হেরে যায় তারা। এবার কালকাতার সামনে আরও একটি ট্রফি জেতার সু্বর্ণ সুযোগ। আইপিএলের ১৭তম আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ফাইনালে উঠেছে স্টার্ক-রাসেলরা।
আসরের প্রথম সেমিফাইনালে হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা। এই ম্যাচে কামিন্সদের ব্যাটে-বলে রীতিমতো বিধ্বস্ত করছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। হায়দরাবাদকে উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে কলকাতা।
মঙ্গলবার (২১ মে) আগে ব্যাট করে কলকাতাকে ১৫৯ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় হায়দরাবাদ। জবাব দিতে নেমে ৩৮ বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় কলকাতা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে কলকাতার দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সুনীল নারিন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ১৪ বলে ২৩ রান করে গুরবাজ আউট হলে ১৬ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন নারিন।
এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ভেঙ্কাতিশ আইয়ার। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটতে থাকে দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা।
মারকুটে ব্যাটিং করে ২৮ বলে ভেঙ্কাতিশ এবং ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন শ্রেয়াস। শেষ পর্যন্ত ভেঙ্কাতিশের ২৮ বলে ৫১ রান এবং শ্রেয়াসের ২৪ বলের অপরাজিত ৫৮ রানে ভর করে ৩৮ বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কলকাতা।
হায়দরাবাদের হয়ে প্যাট কামিন্স এবং টি নাতারাজান একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দরাবাদ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ট্রাভিস হেডকে বোল্ট আউট করে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারে আরোরার শিকার হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। ৪ বলে ৩ রান করেন এই ভারতীয় ব্যাটার।
নিজের তৃতীয় ওভারে নিতিশ কুমার (৯) এবং শাহবাজকে ডাক আউট করে হায়দরাবাদের টপ অর্ডারকে বিধ্বস্ত করেন মিচেল স্টার্ক।
এরপর হেইনরিচ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলানো চেষ্টা করেন রাহুল থ্রিপাঠী। ২১ বলে ৩২ রান করে ক্লাসেন আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন রাহুল। পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন আব্দুল সামাদ। তবে দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে ৩৫ বলে ৫৫ রান করে রান আউট হন রাহুল।
পরের বলেই ডাক আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইমপ্যাক্ট সাবে খেলতে নামা সানভীর সিং। এতে দলীয় ১২১ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় হায়দরাবাদ।
১২ বলে ১৬ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সামাদও। শেষ দিকে ২৪ বলে ৩০ রান করে কামিন্স আউট হলে তিন বল হাতে থাকতেই ১৫৯ রানে অলআউট হয় হায়দরাবাদ।
মন্তব্য করুন