শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও টানা দুই হার ক্যান্ডির
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) এবারে শুরুটা ভালো হয়নি শরিফুল ইসলামের। উইকেট পেলেও টানা দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে তার দল। সবশেষ গল মারভেলসের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে ক্যান্ডি ফ্যালকনস। এদিন কিপটে বোলিংয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল, তবে দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
রোববার (৭ জুলাই) দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে শরিফুলের ক্যান্ডি দাঁড় করায় ১৭৫ রানের সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে ১৭ বল এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় গল মারভেলস।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ক্যান্ডির অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বল তুলে দেন শরিফুলের হাতে। প্রথম পাঁচ বলে তিনটি বাউন্ডারি হজম করলেও শেষ বলে দৃশ্যপট বদলে দেয় এই টাইগার পেসার।
শরিফুলের করা বলটা ডিকওয়েলা বাতাসে ভাসিয়ে দেন। ঠাণ্ডা মাথায় ক্যাচটা ধরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। প্রথম ওভারেই ডিকওয়েলাকে ফিরিয়ে ক্যান্ডির শিবিরে স্বস্তি এনে দেন তিনি। তৃতীয় ওভারে আরও একবার বোলিংয়ে আসেন শরিফুল। এবারে ছিলেন দারুণ কিপটে।
গলের দুই মারকুটে ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস এবং টিম সেইফার্টকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে শরিফুলের বল খেলতে। প্রথম ৫ বল থেকে মাত্র ১ রান নিতে পারে গল। বাকি ৪টি বল ডট দেন শরিফুল। তবে ওভারের শেষ বলে শরিফুলের বলে ছক্কা হাঁকান হেলস। তবুও ওভার থেকে এসেছে ৭ রান। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় যা বেশ ভালো।
শরিফুল পরে আবার বোলিংয়ে এসেছেন ১২তম ওভারে। ততক্ষণে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে গল। ওভারের তৃতীয় বলে ভানুকা রাজাপক্ষেকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন ক্যান্ডিকে আশার আলো দেখান শরিফুল। সেই ওভারটা অসাধারণ করেছেন শরিফুল। মাত্র ৫ রান দিয়ে উড়তে থাকা গলের রানের লাগাম টেনে ধরেন তিনি। সেই সাথে তুলে নেন দারুণ একটি উইকেট।
৪৮ বলে গলের দরকার ছিল ৪৪ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা সহজ সমীকরণ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে এই সমীকরণ মিলিয়ে ম্যাচটা জিতে নেয় গল মারভেলস। তবে ক্যান্ডির হয়ে নিজের শেষ ওভারেও বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলার শরিফুল। নিজের চতুর্থ ওভারের জন্য ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে এসেছিলেন শরিফুল। সেই ওভারে গল নেয় ৮ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ৩২ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম।
এই ম্যাচে গলের হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন অ্যালেক্স হেলস এবং টিম সেইফার্ট। ১৯ বলে ৩৮ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে হেলস আউট হলেও সেইফার্টের ৪৮ বলের অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭ বল হাতে রেখে ক্যান্ডিকে ৬ উইকেটে হারায় গল।
ক্যান্ডি ফ্যালকনসের হয়ে ২ উইকেট নেন শরিফুল। এ ছাড়া ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং লক্ষ্মণ সান্দাকান শিকার করেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ক্যান্ডির নায়ক ছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার এবং অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন ফ্লেচার। অন্যদিকে হাসারাঙ্গা খেলেছেন অসাধারণ এক ইনিংস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩২ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। হাসারাঙ্গার ব্যাটে চড়েই ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ক্যান্ডি।
মন্তব্য করুন