ঢাকারোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

কী দেখে বিপিএলে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়, প্রশ্ন ইমরুলের

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ , ০৫:০১ পিএম


loading/img
ছবি- সংগৃহীত

নির্ধারিত সূচি অনুসারে আগামী ২৭ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। এর আগে আগামী ১৪ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার ড্রাফট। এবারের ড্রাফটের জন্য প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনকৃত ১৮৮ দেশি ক্রিকেটারদের তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে বিসিবি।

বিজ্ঞাপন

এবারের ড্রাফটে ক্রিকেটারদের ৬ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ৬০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরি ৬০ লাখ, ‘বি’ ক্যাটাগরি ৪০ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরি ২৫ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরি ২০ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরি ১৫ এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা ১০ লাখ টাকা করে পাবেন।

তবে বিপিএলের গ্রেটিং বা ক্যাটাগরি নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ইমরুল কায়েস। সাবেক এই ক্রিকেটার প্রশ্ন তুলেছেন নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিপিএলের ক্যাটাগরি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে করেন ইমরুল কায়েস।

বিজ্ঞাপন

পোস্টে তিনি লিখেছেন, আসসালামু আলাইকুম। বিপিএলের প্লেস ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেটিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেটিঙটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছর-জুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?

নিজের উদাহরণ টেনে এই ক্রিকেট লিখেছেন, বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোনো সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।

তিনি আরও লিখেছেন, জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?

বিজ্ঞাপন

এবারের বিপিএলের ড্রাফটে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ইমরুল কায়েসকে। গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। 

বিজ্ঞাপন

ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ড্রাফটের নিবন্ধনকৃত ক্রিকেটারের তালিকা:

‘এ’ ক্যাটাগরি- সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ ও তাওহীদ হৃদয়।

‘বি’ ক্যাটাগরি- আফিফ হোসেন ধ্রুব, এনামুল হক বিজয়, হাসান মাহমুদ, জাকের আলী অনিক, মাশরাফী বিন মুর্তজা, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, তানভীর ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব।

‘সি’ ক্যাটাগরি- আবু হায়দার রনি, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল হাসান জয়, আল আমিন হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জাকির হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফ হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুমিনুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাহিদ রানা, নাহিদুল ইসলাম, নাইম শেখ, নাসুম আহমেদ, রাকিবুল হাসান জুনিয়র, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, ইয়াসির আলী রাব্বি।

‘ডি’ ক্যাটাগরি- আবু জায়েদ রাহি, আকবর আলী, আলিস আল ইসলাম, আরাফাত সানি, আরিফুল হক, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, হাবিবুর রহমান সোহান, ইরফান শুক্কুর, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জিসান আলম, সৈকত আলী, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, নাঈম হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, নিহাদ উজ জামান, রেজাউর রহমান রাজা, রিপন মণ্ডল, রবিউল হক, রুবেল হোসেন, সাদমান ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সোহাগ গাজী, শহিদুল ইসলাম, শুভাগত হোম, সুমন খান, সানজামুল ইসলাম এবং জিয়াউর রহমান।

আরটিভি/এমএসআর/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |