ক্রিকেটের মূল শাসক ভারত, আইসিসি দর্শক
ক্রিকেটে একসময় ইংল্যান্ডের রাজত্ব দেখেছে বিশ্ব। ইংলিশ রাজাদের বাজিমাত করে একসময় ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ চাউর হয় ‘বিগ থ্রি’র হুংকার। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড নিয়ে গঠন করা বিগ থ্রি’র কাণ্ড, কম যায়নি সেই সময়। এক সময় এই তিন ক্রিকেটের শ্বসনেই চলতো পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। এবার অবশ্য ভিন্ন চিত্র, বাকি দুই মোড়লকে পেছনে ফেলে ক্রিকেটের হর্তাকর্তা বনে যায় ভারত।
এর প্রভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে ভারতের গোঁয়ার্তুমিতে এখনও সূচি ঠিক করতে পারছেনা বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়ে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের আবদার পূরণ করিয়েছে ভারত।
এর ফলে, ভারত টুর্নামেন্টে নিজেদের সব ম্যাচ এখন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে। এমনকি টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ পাকিস্তানকেও ভারতের বিপক্ষে খেলতে হলে চড়তে হবে বিমানে।
মেলবোর্নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। সে ম্যাচের আগে এবিসি স্পোর্ট কয়েকজন অজি ক্রিকেটারদের ভারত ও আইসিসির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করে। সেখানে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মনে করেন, ক্রিকেটের মূল শাসক ভারত। আইসিসি এ ক্ষেত্রে কেবল দর্শকের ভূমিকায় থাকে।
এবিসি স্পোর্টকে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেছেন, ‘ভারতীয় বোর্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের তুলনায় আইসিসির শক্তি কম।’
ভারতকে ধসিয়ে দেওয়া ব্যাটার ট্র্যাভিস হেডের মতে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই ‘ক্রিকেটের শাসক’, তবে আইসিসিও কম শক্তিশালী নয়।
অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটার উসমান খাজা এবং উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির মতো ক্রিকেটারেরাও বিসিসিআইকে আইসিসির চেয়ে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মতে, শক্তির দিক দিয়ে বিসিসিআই এবং আইসিসির অবস্থান সমান্তরাল।
ভারতের খেলা মানেই ব্যবসা। বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটের বাজারে ভারতের আধিপত্য রয়েছে। আইসিসির যে কোন আয়োজনে ভারতের ম্যাচ থেকে একটা বড় রাজস্ব পায় আইসিসি। ভারতের খেলায় দর্শক চাহিদা থাকায় অন্য যে কোন ম্যাচের চাইতে গুরুত্ব পায় তারাই। সেই কারণে আইসিসির লাভের সিংহভাগও পায় ভারত। নিঃসন্দেহে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তিও বেশি।
ভারতের আপত্তির কারণেই আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এককভাবে আয়োজন করতে পারছে না পাকিস্তান। এর আগে এশিয়া কাপও পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে করতে বাধ্য হয়েছিল।
আরটিভি/এমএম-টি
মন্তব্য করুন