ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই টুর্নামেন্টের খেলাই মাঠে চলছে। এবার সেই টুর্নামেন্টের মাঝেই নেমে এলো দুঃসংবাদ। টুর্নামেন্টের মাঝে এক আম্পায়ার অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর সেই আম্পায়ারের মৃত্যু হয়।
মুম্বাইয়ে কেআরপি একাদশ সিসি বনাম ক্রিসেন্ট সিসি’র মধ্যকার ম্যাচের ১১তম ওভারে অসুস্থ হন অন-ফিল্ড আম্পায়ার প্রসাদ মালগাওকার। তার বয়স হয়ে ছিলো ৬০ বছর। পরে তাকে বোম্বের এক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিড-ডে’র বরাত দিয়ে নিউজ১৮ এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ বছর বয়সী এই আম্পায়ার ১১তম ওভারে স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ছিলেন। ওভারের দুটি ডেলিভারি হওয়ার পরই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ম্যাচের আগে তার এসিডিটি হয়েছিল বলে জানান আরেক আম্পায়ার পার্থমেশ অঙ্গন।
তিনি মিডডেকে বলেন, ‘তিনি (মালগাওকার) সুস্থ বোধ করছিলেন না, টস দেওয়ার আগে এসিডিটি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তখন আমি বলি, ‘‘যদি আপনি সুস্থ বোধ না করেন, দয়া করে বিশ্রাম নিন’’। তখন তিনি ঠিক আছে বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে প্রথম ১০ ওভার পর্যন্ত তিনি ঠিকঠাকই ছিলেন, কিন্তু ১০.২ ওভারের পর হঠাৎ পড়ে যান এবং তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান আমাদের এমসিএ (মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) সমন্বয়ক দত্ত মিথবাভকর।’
হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মালগাওকার মারা যান বলে ধারনা করেন এমসিএ সমন্বয়ক দত্ত মিথবাভকর। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বোম্বে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করি। ইব্রাহিম স্যার ও খেলোয়াড়দের সহায়তায় তাকে সুন্দর সিসি মাঠ থেকে পাশের ন্যাশনাল সিসি পর্যন্ত চৌকি দিয়ে নিয়ে যাই, সেখান থেকে একটি ট্যাক্সিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ধারণা, তিনি পথেই মারা গেছেন।’
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেন, মালগাওকারের পরিবারের চাওয়া মতে ময়নাতদন্ত করা হয়নি তার। পারিবারিক চিকিৎসকের কাছ থেকেই তারা মৃত্যু-সনদ নিয়ে যান।
আরটিভি/এসকে