চলমান আইপিএল থেকে বিতর্ক যেনো পিছু ছারছে না। এবার আইপিএলে দেখা গেলো চড়-কাণ্ড। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কলকাতা-দিল্লি ম্যাচ শেষে মাঠে কেকেআরের রিঙ্কু সিংহকে চড় মারেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কুলদীপ যাদব। এই ঘটনা সাথে সাথে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। কুলদীপ হয়তো মজার ছলেই রিঙ্কুকে চড় মেরেছিলেন। কিন্তু বিষয়টি রিঙ্কু যে ভাল ভাবে নেননি তা তার চোখমুখ দেখেই পরিষ্কার বুজা যাচ্ছিল।
আইপিএলে ম্যাচ শেষে মাঠে দাঁড়িয়ে গল্প করেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। কখনও একই রাজ্যের ক্রিকেটারেরা এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। আবার বিদেশি ক্রিকেটারেরাও নিজ দেশের সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন। শুধু ক্রিকেটাররা নন, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এমনকি, দলের মালিকরাও এসময় আড্ডা দেন। দিল্লি-কলকাতার ম্যাচ শেষেও সেই দৃশ্য চোখে পড়ে।
এদিন খেলা শেষে উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারেরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। সেখানে রিঙ্কু ও কুলদীপ ছিলেন। তাঁরা দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন। ম্যাচে জয় পাওয়ার পর রিঙ্কুর আনন্দ ছিল অনেক বেশি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কুলদীপ হঠাৎ তাকে চড় মারেন। কুলদীপকে দেখে মনে হয়েছে, মজার ছলেই সেটি করেছেন। রিঙ্কুকে হাসতে দেখেই হয়তো সেই কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু রিঙ্কু বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি। আচমকা চড় খেয়ে তিনি প্রথমে বোঝার চেষ্টা করেন কেন কুলদীপ সেই কাজ করলেন। তাকে কিছু বলতে দেখা যায়। ঠিক তখনই আবার কেউ এক জন তাকে চড় মারতে যান। তাতে কিছুটা রেগে যান রিঙ্কু। দ্বিতীয় বার কে চড় মারতে গিয়েছিলেন তা অবশ্য ভিডিওতে দেখা যায়নি।
২০০৮ সালে মুম্বাই বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচ শেষে পাঞ্জাবের শ্রীসান্থকে চড় মারেন মুম্বাইয়ের হরভজন সিংহ। মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শ্রীসান্থ। তাকে সামলান যুবরাজ সিংহ। এই ঘটনার জন্য হরভজনকে শাস্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই ঘটনার জন্য শ্রীসন্থের কাছে অনেক বার ক্ষমা চেয়েছেন হরভজন। কুলদীপকে হয়তো তা করতে হবে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত রিঙ্কু বা কেকেআর কর্তৃপক্ষ কেউ এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।
উল্লেখ্য, অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে কলকাতা। জবাবে, ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে দিল্লি। ফাফ ডু’প্লেসি দিল্লির হয়ে সর্বাধিক ৬২ রান করেন। ১৪ রানের জয় পায় কেকেআর।
আরটিভি/এসকে