মেয়েদের ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করলো ইংল্যান্ড। শুক্রবার (২মে) ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে জানানো হয় যারা ‘জৈবিক নারী’ তারাই কেবল মেয়েদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবে। জৈবিক নারীদেরই আইনত নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে একটি আইন পাশের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিবি।
এই বিষয়টি গত ১৫ এপ্রিল মাসে কোর্টে উত্থাপন করা হয়। কোর্টের এই রায়ে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। সেখানেও ট্রান্সজেন্ডার মেয়েদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ‘আইন, বিজ্ঞান বা স্থানীয় ফুটবলের জন্য এই নীতি পরিবর্তিত হলে আমরা এই বিষয়ে আবারো পর্যালোচনা করব। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমরা নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করছি। ’
এই বিষয়ে ইসিবি জানায়, ‘সুপ্রিম কোর্টের নতুন এই আইনের পর আমরা বিশ্বাস করি এটা এখনই কার্যকর করা উচিত।’ তবে বিবৃতিতে ক্রিকেটের মধ্যে কোনো ‘বৈষম্য’ না রাখার কথাও জানায় ইসিবি।
নতুন নীতির সমালোচনা করে ফুটবল বনাম ট্রান্সফোবিয়া গ্রুপের নাটালি ওয়াশিংটন বলেন, ‘অনেক ট্রান্স খেলোয়াড় এখন পুরুষদের দলে নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবে খেলতে চাইবেন না।’
ট্রান্স অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই সিদ্ধান্তের উপর তীব্র নিন্দা জানায়।কিন্তু বেশিরভাগ নারী অধিকার সংগঠন এফএ-এর এমন নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
আরটিভি/এসকে