ম্যাচের টসের সময় ছবিটা প্রথম দেখা যায়। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার বাঁ চোখের ওপরে ব্যান্ডেজ বাঁধা। তখনই চারদিকে আলোচনা শুরু হয়, কী হয়েছে মুম্বাই অধিনায়কের? কীভাবে চোট পেলেন হার্দিক? অধিনায়ক বা মুম্বাই দলের পক্ষ থেকে তখন কিছু না জানালেও পরে বিষয়টি জানা যায়।
রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে খেলার আগে অনুশীলন করে হার্দিক। অনুশীলন করার সময় স্থানীয় এক বোলারের বল সুইপ মারতে যান তিনি। সেই বলটি ব্যাটে লেগে পান্ডিয়ার বাঁ চোখের ওপরে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে দলের চিকিৎসকরা হার্দিকের চোট পরীক্ষা করে দেখেন। এর পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কপালে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়। সেই সেলাই নিয়েই রাজস্থানের বিপক্ষে খেলতে নামেন হার্দিক। এই ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে খেলতে নেমে বিশেষ ধরনের একটি রোদচশমা ব্যবহার করেন তিনি। চশমাটি এমনভাবে পরেছেন, যেন কপালে চোট না লাগে। ম্যাচ শেষে হার্দিক জানান, দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।
চোট নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন হার্দিক। যত ইনিংস গড়িয়েছে ততেই হাত খুলে মেরেছেন। শেষ দিকে এসে ফজল হক ফারুকির এক ওভারে ২২ রান তুলে নেন। ২৩ বল খেলে ৪৮ রান করেন হার্দিক। ছটি চার ও একটি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। সূর্যকুমার যাদবের সাথে জুটি গড়ে দলের রান ২১৭-তে নিয়ে যান হার্দিক।
উল্লেখ্য, ১১ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে আছে মুম্বাই। হার্দিকের দল যে ভাবে খেলে যাচ্ছে প্লে-অফে ওঠা সময়ের ব্যাপার তাদের। ২০২০ সালের পর আইপিএলের ট্রফি জিততে পারেনি মুম্বাই। এ বার ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের।
আরটিভি/এসকে-টি