ম্যাচ ফিক্সিং ও বেটিং রুখতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংসদে একটি বিল পাস করানো হয়েছে।
আইসিসি’র দুর্নীতি দমন শাখার (আকসু) সঙ্গে বৈঠক করেই বিলের খসড়া তৈরি করেছেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রিভেনশন অব অফেন্সেস রিলেটেড টু স্পোর্টস’ বা খেলা সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ বিল।
সোমবার বিলটি পেশ করেন ফার্নান্দো। সংসদে বসেই এই বিলের সমর্থন জানান শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান যোগাযোগ ও সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রী অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো বলছেন, ‘অনেকেই চেয়েছিলেন যাতে এই বিল সংসদে পাস না হয়, কিন্তু অবশেষে এই বিল পাস হলো। আমি অত্যন্ত খুশি।’
বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি খেলার দুর্নীতি করে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। পাশাপাশি দিতে হতে পারে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা।
খেলার সঙ্গে জড়িত কেউ যদি সরাসরি ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে পড়লেই কেবল শাস্তি ভোগ করতে হবে না। ভেতরের তথ্য বাইরে ফাঁস করলেও পেতে হবে শাস্তি। কিউরেটর বা ম্যাচ অফিসিয়ালরাও এই আইনের বাইরে নন। যদি কেউ বেটিং চক্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেন বা টাকার বিনিময় কোনও অপরাধ করেন তাকেও পেতে হবে শাস্তি।
ইচ্ছাকৃত ভাবে নিয়মের অপব্যবহার করলেও করতে হতে পারে কারাদণ্ড। এই বিলে সাফ বলা আছে, দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার পর শুধু আইসিসি’র দুর্নীতি দমন শাখাকে জানালেই হবে না, শ্রীলঙ্কা সরকারের বিশেষ তদন্তকারী শাখাকেও করতে হবে রিপোর্ট।
আরো পড়ুন
ওয়াই