ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

ভোটের হাওয়া: সিরাজগঞ্জ-২ ও ৩

মাঠ চষে বেড়াচ্ছে প্রার্থীরা

সুকান্ত সেন, সিরাজগঞ্জ

শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮ , ০৭:৪৪ পিএম


loading/img

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগম হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ-২ ও ৩ আসনের রাজনীতি। তফসিল ঘোষণা না হলেও দলীয় মনোনয়ন পেতে আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আর দল সুসংগঠিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

বিজ্ঞাপন

সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কামারখন্দের চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসন সিরাজগঞ্জ-২। এ আসনেই ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। বর্তমান সরকারের সময়ে এ আসনে কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ও দলের সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত থাকায় এ আসনে জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

সিরাজগঞ্জ-২ এর সংসদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জেলা আওয়ামী লীগের অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, সিরাজগঞ্জে বড় বড় ব্রিজ কালবার্ট হয়েছে, কোনও কাচা রাস্তাও খুঁজে পাওয় যাবে না। মানুষের আয় বেড়েছে তাই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

বিজ্ঞাপন

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কমিশনের কর্মকর্তারা বিভক্ত, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল
-------------------------------------------------------

বিএনপি দলীয় কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও দল সুসংগঠিত রয়েছে বলে দাবি নেতাদের।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমর কৃষ্ণ দাস বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি, সিরাজগঞ্জে বিএনপি নির্বাচন প্রার্থী হচ্ছে ইকবাল হাসান মাহমুদ টিপু। 

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে রায়গঞ্জ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন এবং তাড়াশের ৮টি ইউনিয়ন ও নবগঠিত পৌরসভা ও সলঙ্গার ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৩। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইসহাক হোসেন তালুকদার বিএনপির মান্নান তালুকদারকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইসহাক হোসেন তালুকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এর কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করলে এই আসনে উপ-নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাড়াস উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আমজাদ হোসেন মিলন। এবার মিলন ছাড়াও বেশ কয়েকজন এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সিরাজগঞ্জ-৩ সংসদ সদস্য গাজী আমজাদ হোসেন মিলন বলেন, আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করলে আমি উনাকে এ আসন উপহার দিতে পারবো।

রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিন্নাহ আল মাজী বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমাদের বর্ধিত সভা, সহযোগী সংগঠন গুলোকে উদ্বুদ্ধ করে মাঠে নামানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত আছি। এই আসনে আওয়ামী লীগ-ই জয়ী হবে।

অপরদিকে এ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদার বয়সের কারণে রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকায় আরও কয়েকজন প্রার্থী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

তাড়াশ উপজেলা বিএনপি সভাপতি সেলিম জাহাঙ্গির বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করতে হবে সরকারকে, সেই নির্বাচনে আমরা আসবো এবং আমি একজন প্রার্থী হিসেবে তাড়াশ রায়গঞ্জ সলঙ্গাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়াই করতে চাই। 

তবে উন্নয়নকে গুরুত্ব দেবেন যেসব সৎ ও যোগ্য প্রার্থী তাদেরকেই বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

 

আরও পড়ুন :

জেএম/এসএস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |