রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জামাল (১৮) নামে এক যুবক মারা গেছেন। এ ঘটনায় আমির হোসেন নামে একজনসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামাল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন যাত্রাবাড়ীর কাজলা শেখদি এলাকায়।
গুরুতর আহত আমিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মানিক ও জাহিদ হাসান জানান, তারা দুই গ্রুপের সবাই একই এলাকায় থাকেন। গত পরশু তাদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে তারা নিজেরাই সেদিন ওই ঘটনার মীমাংসা করে ফেলেন। সেই ঘটনার জের ধরে আজ রাতে দুই গ্রুপের আবার মারামারি হয়। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দুই গ্রুপের চারজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জামালকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু আসাদুল্লাহ জানান, তারা কুতুবখালী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন একই এলাকার সিফাত নামে একজন এসে জামালকে ডেকে একটু দূরে নিয়ে যান। পরে সেখানে কথা-কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে সিফাত, ফারদিন, শিমুল, আরাফাত, ইমনসহ ৮ থেকে ১০ জন মিলে জামালকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। যতটুকু হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটে।