ঢাকাশনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

কোরবানির আগে ট্রিপল সেঞ্চুরি কাঁচা মরিচের, শসা ছাড়াল সেঞ্চুরি

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪ , ০৮:৩৯ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এর আগে আগে হঠাৎ অস্থির সবজির বাজার। বিশেষ করে সালাদ পণ্যে গলাকাটা দাম চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মাত্র একদিনের ব্যবধানে আরও এক বড় লাফ কাঁচামরিচের দামে; কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। সেঞ্চুরি পার করেছে শসার দামও। প্রতি কেজি শসা ঈদের আগের দিন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও খোঁজ-খবর নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বরাবরের মতো এবারও ঈদের আগে  সিন্ডিকেট করে শসা ও কাঁচা মরিচের দাম বাড়ানো হয়েছে। ঈদে মেহমানদের আপ্যায়নের অন্যতম অনুষঙ্গ সালাদ। আর কাঁচা মরিচ ছাড়া তো রান্নার কথা কল্পনাও করা যায় না। সময়ের চাহিদাকে পুঁজি করে এবার এই দুই জিনিসের দাম ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই তারা দাঁড় করাচ্ছেন খোঁড়া যুক্তি। বলছেন, একদিকে ঈদ, অন্যদিকে বৃষ্টি; সব মিলে সরবরাহ কম।  

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর মিরপুরের সবজি বিক্রেতা সবুজ বলেন, দুই দিন আগে বৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে গাড়ি ভাড়াও বেশি। সরবরাহও কম। দুই দিন আগে এক পাল্লা (৫ কোজি) কাঁচা মরিচের পাইকারি সাম পরতো ৮০০ টাকা; আজকে খরচসহ ১১০০ টাকার ওপরে পড়েছে। তাই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি। 

মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুইদিন আগেও যে শসার দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা, ঈদের আগের দিন তা ১০০-১৩০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে টমেটোর দামও; প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। আর প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

বাজার ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। এ সময় তৌফিক রহমান নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ঈদ আসতেই আমাদের পকেট কাটতে ব্যস্ত হয়ে গেছে ব্যবসায়ীরা। সব সময়ই ঈদের আগে এমন কাজ করে তারা। তবে, এবার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করলেই যত সব উল্টাপাল্টা যুক্তি শোনা যায় তাদের মুখে। অভিযোগ করে কোনো লাভ হয় না। আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা সবদিক থেকেই মরে। 

বিজ্ঞাপন

শসা, টমেটো ও কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও ঈদের আগের দিন অন্যান্য সবজির চাহিদা কম থাকায় দাম আগের সপ্তাহের মতো আছে। প্রতি কেজি কাঁকরোল ৭০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, কচুমুখি ১০০ টাকায়, গাজর ৮০ টাকায়, পেঁপে ৫০ টাকায়, ধুন্দল, ঝিঁঙে ও করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৬০ টাকায় ও গোল বেগুন ৭০ টাকায় ও পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মিষ্টি কুমড়ার পিস সাইজ অনুযায়ী ২০-৩০ টাকায় ও লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে রোববার।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |