রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
![রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/05/image-281334-1720200108.jpg)
ফাইল ছবি।
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় মো. মুজিবুল হক চৌধুরী (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় খিলক্ষেত রেল ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই আজাদুল হক জানান, আমার ভাই মানসিক রোগে ভুগছিল। বিকেলে খিলক্ষেত রেল ক্রসিং এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: যা বলল সেই পুলিশ কনস্টেবলের পরিবার
রাজধানীর গুলশান থানাধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসার আলী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। এ জন্য একাধিকবার চিকিৎসাও নিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসার আলী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়েরপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টারের ছেলে। তিনি ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশে যোগদান করেন।
ছেলের বিসয়ে কাউসারের মা মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে এমনিতে ভালো। তার মাথার সমস্যা আছে। চাকরিতে যোগদানের পর ২০১০ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। শনিবার রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। ভালোভাবেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলতো আমার ছেলে।’
এ বিষয়ে তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথি বলেন, ‘আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। তিনি মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যেতেন। কয়েকবার তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র তার কাছে রয়েছে। আমাদের পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না। মানসিক সমস্যা শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কম যোগাযোগ করতেন। কথাও কম বলতেন।’
দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বলেন, ‘চাকরিতে যোগদানের পাঁচ বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত। পরে তার চিকিৎসা করানোর পর সুস্থ হলে আবার চাকরিতে যোগদান করেন।’
এদিকে এ ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামি কনস্টেবল কাওসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এরই মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বারিধারা এলাকায়। ঘটনাস্থল ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে মোতায়েন রাখা হয়েছে ডিবি, সোয়াটসহ পুলিশের একাধিক দল।
![সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: যা বলল সেই পুলিশ কনস্টেবলের পরিবার](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/10/image-277609-1717956389.jpg)
নয়াপল্টনে ৩০ হাজার সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার
রাজধানী নয়াপল্টনে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ৩০ হাজার সিম কার্ড ও অনুমোদনবিহীন বেশ কিছু ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।
এ সময় অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহির্বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবসার অভিযোগে মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম রাজ (৩৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে পল্টনের একটি বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আছে ৫১২ পোর্টের তিনটি সিমবক্স, ২৫৬ পোর্টের পাঁচটি সিমবক্স, ১২৮ পোর্টের পাঁচটি সিমবক্স, ১৬ পোর্টের তিনটি সিমবক্স, পাঁচটি ওয়্যারলেস রাউটার, ছয়টি সুইচ, ২৫টি জিএসএম এন্টিনা, তিনটি মিনি পিসি, তিনটি মিডিয়া কনভার্টার, একটি এসএসডি হার্ড ডিস্ক, একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিও, দুটি পাওয়ার ক্যাবল, দুটি ইউএসবি ক্যাবল, দুটি চার্জার, দুটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার সিমকার্ড, একটি মাইক্রোটিক রাউটার, পাঁচটি পেনড্রাইভ ও চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি।
তিনি জানান, বিভিন্ন চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ জানতে পারে, কয়েকজন অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ঢাকা মহানগরীর নয়াপল্টন এলাকায় একটি বাড়িতে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, রাজধানীর গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে সাইফুলের একটি মোবাইল দোকান ছিল। তার দোকানের কর্মচারী ওয়ালির মাধ্যমে সে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়ায়। ওই দোকানেই তারা চার-পাঁচ মাস ব্যবসা পরিচালনা করেন। পরে যে টাকা আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে তারা আরও যন্ত্রপাতি কিনে এই বাড়িতে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। এ ছাড়া ওয়ালি দুবাইতে গিয়ে আন্তর্জাতিক একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। সেখানে বসেই তিনি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। আর দোকান মালিক সাইফুল ওয়ালির কর্মচারী বা সহযোগী হিসেবে দেশে বসে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন জামান নামে এক জার্মান প্রবাসী। তার মাধ্যমে একটি বিশেষ সফটওয়্যার সংগ্রহ করে সাইফুল। সাধারণত বৈধভাবে আন্তর্জাতিক গেটওয়ের কলগুলো গ্রাহকের কাছে এলে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সরকার সঠিক রাজস্ব পেত। কিন্তু এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করায় আন্তর্জাতিক কলগুলো সাধারণ কলে পরিণত হয়। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সেগুলো লোকাল কলে পরিণত হয়। আর সরকারও বিশাল রাজস্ব হারায়।
![নয়াপল্টনে ৩০ হাজার সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/10/image-277703-1718016378.jpg)
রাজধানীতে ভিকারুননিসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরা ওয়াপদা রোডের একটি বাসায় ফাতিমা আহমেদ সান (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। সে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার (১০ জুন) রাতে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফাতিমা জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার মোসলেমাবাদ গ্রামের ফারুক আহমেদের মেয়ে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে রামপুরায় ভাড়া বাসায় থাকতো। দুই বোনের মধ্যে সে ছোট।
ফাতিমার বাবা ফারুক আহমেদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে সোমবার (১০ জুন) সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় ফাতিমা।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানায় ফাতিমা আর বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ঈদের পর নতুন সূচিতে চলবে মেট্রোরেল
পবিত্র ঈদুল আজহার পর মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারি অফিসের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন সূচিতে চলবে মেট্রোরেল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএল পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচলের সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। পিক ও অফপিক আওয়ারে তারতম্য আনা হয়েছে। এতে অফিসগামী যাত্রীরা সুবিধা পাবেন।
ডিএমটিসিএল পরিচালক বলেন, ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার দিন মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ১৯ জুন থেকে সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচলের শিডিউলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তারতম্য আনা হয়েছে পিক, অফপিক আওয়ারে। এতে সুবিধা পাবেন অফিসগামী যাত্রীরা।
নতুন সময়সূচি কেমন হবে তা উল্লেখ করে এমএএন ছিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আগের মতই স্পেশাল অফ পিক থাকবে। এই সময় হেডওয়ে হবে ১০ মিনিট।
আর সকাল ৭টা ৩১ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ার। এই সময় হেডওয়ে হবে ৮ মিনিট। আবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২৪ মিনিট থেকে অফ পিক আওয়ার। এ সময় ১২ মিনিট হেড ওয়ে। আবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩২ মিনিট পিক আওয়ার। এ সময় হেডওয়ে ৮ মিনিট। আবার রাত ৮টা ৩৩ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্পেশাল অফ পিক। এই সময় হেডওয়ে হবে ১০ মিনিট।
আবার অন্যদিকে মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত স্পেশাল অফ পিক। এই সময় হেডওয়ে ১০ মিনিট। সকাল ৮টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৮ মিনিট পিক আওয়ার। এইসময় হেডওয়ে ৮ মিনিট। দুপুর ১২টা ৯ মিনিট থেকে দুপুর ৩টা ০৪ মিনিট স্পেশাল অফ পিক। এই সময় হেডওয়ে ১২ মিনিট। আবার দুপুর ৩টা ০৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ১২ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ার। এই সময় হেডওয়ে ৮ মিনিট। রাত ৯টা ১৩ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ স্পেশাল অফ পিক। এই সময় হেডওয়ে ১০ মিনিট।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলে কোরবানির পশুর চামড়া এবং কাঁচা বা রান্না করা মাংস বহন করা যাবে না। এ ছাড়া অন্যান্য আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে সূচি পরিবর্তন করে ২০ জানুয়ারি থেকে নতুন সময়সূচিতে চলছে মেট্রোরেল। ওই সময়সূচি অনুযায়ী, উত্তরা-মতিঝিল অংশে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত যাত্রীরা মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করছেন।
![ঈদের পর নতুন সূচিতে চলবে মেট্রোরেল](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/13/image-278195-1718274222.jpg)
মেট্রোরেলে পকেটমার, অতঃপর....
রাজধানীর মেট্রোরেলে মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী ট্রেনে এক পকেটমার ধরা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরের দিকে ওই পকেটমারকে ধরেন মেট্রোর যাত্রীরা।
এদিন ঘটনার পর ভোমর ধীমান নামে একজন বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক গ্রুপ ‘ট্রাফিক অ্যালার্ট’-এ একটি পোস্ট দেন। তিনি ওই ট্রেনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
মেট্রোরেলের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘মেট্রোলের কাওরান বাজার স্টেশনে থামলে ট্রেন থেকে নামার সময় এক যাত্রীর পকেট মারার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই পকেটমার। তাকে তেজগাঁও থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের সবগুলো স্টেশন এবং কোচ সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। আর মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে কাজ করে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশ (এমআরটি পুলিশ)।
![মেট্রোরেলে পকেটমার, অতঃপর....](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/13/image-278212-1718278295.jpg)
বসুন্ধরায় এসি বিস্ফোরণ / শিশু আয়মানের পর চলে গেলেন খালাও
রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শিশু আয়মানের পর চলে গেলেন তার খালা ফুতু আক্তারও (১৮)। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও ভর্তি আছেন শিশুটির মা ও নানা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফুতু। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে বুধবার ভোর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তিন বছরের শিশু আয়মানের। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তার।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। বিষয়টি ভাটারা থানাকে অবগত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও শিশুটির মা রকসি আক্তার (২০) ও নানা আব্দুল মান্নান (৬০) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার (১০ জুন) রাতের বিস্ফোরণের ঘটনায় রকসি আক্তারের শরীরের ৫৫ শতাংশ ও আব্দুল মান্নানের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রকসি আক্তারের চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার মহেশখালী থেকে ঢাকায় এসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সে বাসায় একটি রুমের এসি থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই রুমে থাকা পরিবারের চারজন দগ্ধ হন।
জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় বিদুৎ চলে যায় ওই এলাকায়। রুমে এসি চালানো ছিল। যখন বিদুৎ চলে আসে, তখন এসিটি বিস্ফোরিত হয়। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
![শিশু আয়মানের পর চলে গেলেন খালাও](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/14/image-278293-1718332965.jpg)
হঠাৎ মেট্রো স্টেশনের ছাদে ফায়ার সার্ভিস কেন?
মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাজধানীর মতিঝিলের মেট্রো স্টেশনের তিনতলার ছাদে পড়ে থাকা ড্রোন উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়। গত ১০ জুন ড্রোনটি মেট্রো স্টেশনের ছাদের ওপর আটকে পড়ে।
ওই সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মেট্রোরেল চলাচল করছে এবং হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ থাকায় তখন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকায় টিটিএল দিয়ে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মতিঝিলের মেট্রোরেল স্টেশনের তিনতলার ছাদে একটি ড্রোন পড়েছিল। মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের টিটিএল দিয়ে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মেট্রোরেল চলাচল করায় হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ থাকায় ড্রোন উদ্ধার করা যাবে না। এ কারণে শুক্রবার মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়।’
![হঠাৎ মেট্রো স্টেশনের ছাদে ফায়ার সার্ভিস কেন?](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/14/image-278353-1718361140.jpg)